নীলফামারীতে দফা রফায় নববধুর লাশ দাহ
https://www.obolokon24.com/2017/03/nilphamari_98.html
বিশেষ প্রতিনিধি ৫ মার্চ॥
স্বামীর পরকিয়া প্রেমে বাধা দিতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার নববধু সুধা রানী (১৯) মারা গেছে। পুলিশকে না জানিয়ে মেয়ে পক্ষকে যৌতুকের সকল কিছু ফেরত দিয়ে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে আজ রবিবার দুপুরে লাশ দাহ করেছে ওই নববধুর স্বামীর পরিবার। ঘটনাটি নীলফামারী জেলা সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া (ঘনপাড়া) গ্রামে। এ নিয়ে ওই এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করেছে।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সুত্রের জানা যায়, গত ছয় মাস আগে জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের মৃত. বল্টু চন্দ্র রায়ের কলেজ পড়–য়া মেয়ে সুধা রানীর সঙ্গে পলাশবাড়ি ইউনিয়নের নারায়ন চন্দ্র রায়ের ছেলে ভবানী চন্দ্র রায়(২৪) এর বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসাবে মোটরসাইকেল, নগদ দুইলাখ টাকা, তিনভরি সোনা, হালের বলদ সহ সংসারের আসবাবপত্র দেয়া হয়।
অভিযোগ মতে, বিয়ের কিছুদিন পর হতে সুধারানী বুঝতে পারে তার স্বামী অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা সৃস্টি হয়। এ অবস্থায় গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে স্বামী তার স্ত্রী সুধারানীকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে। ফলে ২২ ফেব্রুয়ারী সুধারানী কিটনাশক পান করলে তাকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পর পুনরায় সুধারানীর উপর নির্যাতন চালানো হয়। তার কোমড়ে লাথি মারায় সুধারানী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর তাকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিডনী সমস্যার মিথ্যা কথা বলে। সেখানে চিকিৎসকরা সুধারানীর স্বামীর কথা মতো কিডনী রোগের চিকিৎসা দিতে থাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) সুধারানীর মৃত্যু হয়। সেদিন দুপুরের মধ্যে রংপুর হতে মরদেহ এনে বিকালের মধ্যে লাশ দাহ করার চেস্টা চালালে সুধারানীর পরিবার বাধা দেয়। তারা থানায় মামলা করার চেস্টা করলে পলাশবাড়ি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য কানন রানী রায়ের স্বামী অনিল চন্দ্র রায় তাদের আটকিয়ে রাখে। এরপর রবিবার সকালে বিয়ের সময় যৌতুকের সকল প্রকার জিনিষপত্র ও নগদ টাকা ফেরত দিয়ে রবিবার দুপুরে স্বামীর বাড়ির গ্রামে শ্মশানে সুধারানীর মরদেহ দাহ করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন মেয়ে ও ছেলে পক্ষের মধ্যে আপোষ হয়েছে। এখানে মামলার প্রশ্ন আসেনা। অপর দিকে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য কানন রানী রায়ের স্বামী অনিল চন্দ্র রায় বলেন ভবানী আমার ভাগনা হয়। মেয়ে পক্ষের সঙ্গে আপোষ রফায় লাশ দাহ করা হয়েছে।
অপর দিকে মেয়ে পক্ষের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলার চেস্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে মেয়ে পক্ষের ও ছেলে পক্ষের গ্রামের মানুষজন মন্তব্য করে বলে নির্যাতনের মাধ্যমে অসুস্থ্য সুধারানীকে মিথ্যে কিডনী রোগের চিকিৎসা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকা্েন্ডর বিচার হওয়া প্রয়োজন।
সদর থানার ওসি বাবুল আকতার জানান, খবর পেয়ে বিকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। মেয়ে পক্ষের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেস্টা করা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #
স্বামীর পরকিয়া প্রেমে বাধা দিতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার নববধু সুধা রানী (১৯) মারা গেছে। পুলিশকে না জানিয়ে মেয়ে পক্ষকে যৌতুকের সকল কিছু ফেরত দিয়ে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে আজ রবিবার দুপুরে লাশ দাহ করেছে ওই নববধুর স্বামীর পরিবার। ঘটনাটি নীলফামারী জেলা সদরের পলাশবাড়ি ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া (ঘনপাড়া) গ্রামে। এ নিয়ে ওই এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি করেছে।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সুত্রের জানা যায়, গত ছয় মাস আগে জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের মৃত. বল্টু চন্দ্র রায়ের কলেজ পড়–য়া মেয়ে সুধা রানীর সঙ্গে পলাশবাড়ি ইউনিয়নের নারায়ন চন্দ্র রায়ের ছেলে ভবানী চন্দ্র রায়(২৪) এর বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসাবে মোটরসাইকেল, নগদ দুইলাখ টাকা, তিনভরি সোনা, হালের বলদ সহ সংসারের আসবাবপত্র দেয়া হয়।
অভিযোগ মতে, বিয়ের কিছুদিন পর হতে সুধারানী বুঝতে পারে তার স্বামী অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা সৃস্টি হয়। এ অবস্থায় গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে স্বামী তার স্ত্রী সুধারানীকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে। ফলে ২২ ফেব্রুয়ারী সুধারানী কিটনাশক পান করলে তাকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যায়। এর কিছুদিন পর পুনরায় সুধারানীর উপর নির্যাতন চালানো হয়। তার কোমড়ে লাথি মারায় সুধারানী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর তাকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিডনী সমস্যার মিথ্যা কথা বলে। সেখানে চিকিৎসকরা সুধারানীর স্বামীর কথা মতো কিডনী রোগের চিকিৎসা দিতে থাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) সুধারানীর মৃত্যু হয়। সেদিন দুপুরের মধ্যে রংপুর হতে মরদেহ এনে বিকালের মধ্যে লাশ দাহ করার চেস্টা চালালে সুধারানীর পরিবার বাধা দেয়। তারা থানায় মামলা করার চেস্টা করলে পলাশবাড়ি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য কানন রানী রায়ের স্বামী অনিল চন্দ্র রায় তাদের আটকিয়ে রাখে। এরপর রবিবার সকালে বিয়ের সময় যৌতুকের সকল প্রকার জিনিষপত্র ও নগদ টাকা ফেরত দিয়ে রবিবার দুপুরে স্বামীর বাড়ির গ্রামে শ্মশানে সুধারানীর মরদেহ দাহ করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন মেয়ে ও ছেলে পক্ষের মধ্যে আপোষ হয়েছে। এখানে মামলার প্রশ্ন আসেনা। অপর দিকে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য কানন রানী রায়ের স্বামী অনিল চন্দ্র রায় বলেন ভবানী আমার ভাগনা হয়। মেয়ে পক্ষের সঙ্গে আপোষ রফায় লাশ দাহ করা হয়েছে।
অপর দিকে মেয়ে পক্ষের সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলার চেস্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে মেয়ে পক্ষের ও ছেলে পক্ষের গ্রামের মানুষজন মন্তব্য করে বলে নির্যাতনের মাধ্যমে অসুস্থ্য সুধারানীকে মিথ্যে কিডনী রোগের চিকিৎসা চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকা্েন্ডর বিচার হওয়া প্রয়োজন।
সদর থানার ওসি বাবুল আকতার জানান, খবর পেয়ে বিকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। মেয়ে পক্ষের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেস্টা করা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #