পরকিয়া প্রেমের কারণেই আশা সিংহানিয়ার মৃত্যু হয়
https://www.obolokon24.com/2017/02/saidpur_74.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৮ ফেব্রুয়ারী॥
পরকিয়া প্রেম সহ্য করতে না পেরেই হয়তো স্বামী রাকেশ সিংহানিয়া বাবলী (৪০) তার স্ত্রী আশা সিংহানিয়াকে (৩০) শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে পারে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন আশংঙ্কার কথা বলেছেন স্ত্রী হত্যাকারী স্বামী রাকেশ সিংহানিয়া বাবলীর বাবা স্বজন কুমার সিংহানিয়া ও মা মীরা সিংহানিয়া। গতকাল শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে নীলফামারী সৈয়দপুর শহরে মাড়োয়ারীপট্টির নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলেনের আয়োজন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে মীরা সিংহানিয়া জানান, আমার ছেলে রাকেশ সিংহানিয়া বাবলী অত্যন্ত নিরীহ। তাঁর একটা চোখ অন্ধ। ফলে আমরা নিজেরাই টাকা পয়সা খরচ করে ছেলেকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার উপজেলার তালোড়া গ্রামের মৃত গোপাল আগারওয়ালার মেয়ে আশার সিংহানিয়ার সঙ্গে ২০০৪ সালের ৬ ডিসেম্বর বিয়ে দিয়েছিলাম। সেখানে যৌতুক চাইবার প্রশ্নই ওঠেনা। অথচ আশার বড়ভাই দিলীপ আগরওয়ালা অভিযোগ করেছেন, যৌতুকের দাবিতে তাঁর বোনকে হত্যা করা হয়েছে। যা সম্পূন্ন মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্বিহীন অভিযোগ।
এ ব্যাপারে স্বজন সিংহানিয়া বলেন, আমার ছেলে রাকেশ সিংহানিয়া বাবলী প্রতিবন্ধী হলেও সে একজন ভাল ব্যবসায়ী। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন আমার বউমা আশার সিংহানিয়া তাঁর মেজ দুলাভাই ব্রিজেশ রামেকা লালীর সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। ওই দুলাভাইয়ের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। লালীর স্ত্রী মারা যায় গত চার বছর আগে। দুলাভাইয়ের সঙ্গে প্রেমের বিষয়টি আশার বাপের বাড়ির লোকের সবাই জানতেন। এ ছাড়া তাদের মোবাইল নম্বর চেক করলেও পরকীয়া প্রেমের প্রমান পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন এই পরকিয়ার প্রেমের কারনেই বৌমা আশা সিংহানিয়া বিয়ে বিচ্ছেদের জন্য গত তিন মাস ধরে আমার ছেলেকে চাপ সৃষ্টি করছিল। কিন্ত আমার ছেলে তাঁর স্ত্রীকে খুবই ভালবাসত। কাজেই সে বিয়ে বিচ্ছেদে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। তিনি ধারনা করছেন ওই ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে আশা সিংহানিয়া মারা যায়।
রাকেশ সিংহানিয়া বাবলীর ছোট ভাই মুকেশ সিংহানিয়া (৩০) বলেন , বৌদির পরকিয়া প্রেমের কারণে আমার ভাই মানসিক ভারসাম্য হারান। মানষিক রোগি হওয়ায় তাঁর চিকিৎসা চলছে।সংবাদ সম্মেলনে নিহত আশা সিংহানিয়ার একমাত্র মেয়ে ভূমি সিংহানিয়া(১২) উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সস্মেলনে তারা পুলিশের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, ১৫ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুর শহরে শহীদ টি আর সড়কে মাড়োয়ারীপট্টি মহল্লার বাসিন্দা ব্যবসায়ী রাকেশ সিংহানিয়া বাবলী শোয়ার ঘর হতে তাঁর স্ত্রী আশা সিংহানিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্বামী ওই দিনেই নিজবাড়িতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলা কারাগারে রয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, মরদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট এখনও পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীকে রিমান্ডে আনার জন্য আদালতে আবেদনের প্রস্তুতি চলছে।