আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে নীলফামারীতে তিন দিনের ইজতেমা শেষ



ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ১৮ ফেব্রুয়ারী॥
দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি কামনার পাশাপাশি বিশ্বমুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য, শান্তি , সমৃদ্ধি, অগ্রগতি, সংহতি এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো নীলফামারীর তিন দিনব্যাপী মিনি বিশ্ব ইজতেমা।  এই ইজতেমায়  নীলফামারী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ৫ লাখ ধর্মপ্রাণ নারী পুরুষ মুসল্লিরা অংশ নেয়। জেলা শহর হতে ৫ কিলোমিটার অদুরে নীলফামারীর দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলস ময়দানে উক্ত ইজতেমায় আজ শনিবার সকাল ১০টা ৫২মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়ে ১১টা ১৬ মিনিটে শেষ হয়। মোনাজাতকালে গোটা ইজতেমা ময়দানে যেন এক পুণ্যময় ভুমিতে পরিণত হয়।
এই আখেরি মোনাজাতে  ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে রহমত ও হেদায়েত প্রার্থনা করেছেন। মুসল্লিরা নিজ নিজ গুনাহ মাফ ও আত্মশুদ্ধি চেয়েছেন। এ সময় মহান আল্লাহ পাকের অশেষ মহিমায় আবেগ-আপ্লুত লাখো মুসল্লি কণ্ঠে উচ্চারিত আমিন, আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে। অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহর কাছে আতœসমর্পণে ব্যাকুল হয়ে পড়েন অনেক মুসল্লি।
ইজতেমা পরিচালনা কমিটি সুত্র মতে, আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলীগ জামাতের প্রখ্যাত আলেম মোশাররফ হোসেন।
গত বৃহ¯পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) ফজরের নামাজের পর হতে শুরু হওয়া এ মিনি ইজতেমায় ঢাকার কাকরাইল মসজিদের সহ বিভিন্ন অঞ্চলের প্রখ্যাত আলেম এবং মুরব্বিরা বয়ান করেন।
আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে ফজরের নামাজের পর থেকেই ইজতেমা মাঠে মুসল্লিদের ঢল নামে। নীলফামারী-সৈয়দপুর প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ইজতেমার ময়দান ছাড়াও  আশপাশের এলাকা লোকে লোকারন্য হয়ে যায়।
আয়োজকরা জানায়, তিন দিনের ওই ইজতেমায় দেশি বিদেশি অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ ও ঢাকার কাকরাই মসজিদের মুরুব্বীগন ইসলামের দিনের দাওয়াত, ধর্ম ও আখিরাত নিয়ে মুল্যবান বয়ান করেন।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির পক্ষে সদস্য মো. তামজিদুল আলম বলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে তিনদিনের জেলা ইজতেমা শেষ হয়েছে। দেশ জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার হেদায়েত ও শান্তি কামনা করে সেখানে আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আকতার বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তিন দিনের ওই ইজতেমা শনিবার শেষ হয়েছে। ইজতেমা মাঠসহ পুরো এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশ ও র‌্যাব-১৩ নীলফামারী ক্যাম্পের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। ইজতেমা জুড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল।
আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়া হলো না কৃষক মকবুলের
আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়া হলো না কৃষক মকবুল হোসেনের (৬৫)। আজ শনিবার সকালে মোনাজাতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। সে নীলফামারী জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের কিসামত দোগাছী গ্রামের মৃত. ভাদু মামুদের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, জেলা সদরের দাড়োয়ানী টেক্সটাইল মিল কলোনী মাঠে তিন দিনের তাবলীগ জামায়াতের জেলা ইজতেমার শেষ দিন শনিবার সকালে আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে ব্যাটারি চালিত রিকশাভ্যান যোগে অন্যান্যদের সঙ্গে যাচ্ছিলেন কৃষক মকবুল হোসেন। এসময় জেলা শহরের পাঁচমাথা মোড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
কৃষক মকবুল হোসেনের বড় শ্যালক বাবলু হোসেন জানান, ইজতেমার আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল আটটার দিকে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। ব্যাটারী চালিত রিকশাভ্যান যোগে যাওয়ার পথে শহরের পাঁচমাথা মোড়ে সকাল সোয়া আটটার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। কৃষক মকবুল হোসেনের স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আকতার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4800054470336070747

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item