রংপুরে তামাক নিয়ন্ত্রন আইনের তোয়াক্কা নেই

মামুনুর রশিদ মেরাজুল- 

রংপুরে অধিকাংশ তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী নেই, যে কয়েকটি তামাকপণ্যে সতর্কবানী ব্যবহৃত হচ্ছে তাও অস্পষ্ট আকারে ছোট এবং ঝাপসা, যা সাধারনের বোধগম্য নয়। তামাক নিয়ন্ত্রনে কর্মরত একটি সংস্থার তথ্যবিনিময় সভায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার তামাক নিয়ন্ত্রন আইন অনুসারে গত ১৯ শে মার্চ ২০১৬ থেকে তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবানী প্রদানে বাধ্যতামূলক হলেও রংপুরে উৎপাদিত তামাকপণ্যে সচিত্র সতর্কবানী নেই আবার যতটুকু আছে তাও আইন সম্মত নয়। প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে স্থানীয় তামাক কোম্পানীগুলো এই আইন লঙ্ঘন করে চলেছে বলে মনে করে এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট- এসিডি ও তামাক নিয়ন্ত্রন কোয়ালিশনের সদস্যরা। রবিবার সকাল ১০ টায় এসিডি”র রংপুরস্থ আঞ্চলিক অফিসের সভাকক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রন কোয়ালিশনের ফোকাল পারসন সুশান্ত ভৌমিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিডিয়ার সাথে তথ্য বিনিময় সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসিডি”র প্রকল্প সমন্বয়কারী এহসানুল আমিন ইমন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস সাহেদ,“দি নিউ নেশন”পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুর রহমান মিন্টু, দৈনিক যুগের আলোর বার্তা সম্পাদক আবু তালেব, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলু, সমকাল রংপুর প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন, আলোকিত সময় রংপুর ব্যুরো চিফ ফরহাদুজ্জামান ফারুক, সাংবাদিক জিতু কবির, হারুন উর রশিদ সোহেল প্রমুখ। তথ্য উপস্থাপনকালে  বক্তারা বলেন রংপুরে উৎপাদিত ১১টি বিড়ি বাজারে পাওয়া গেলেও এর ৪টিতে কোন সতর্কবানী পাওয়া যায়নি। বাকিগুলাতে পাওয়া গেলেও তা আইনসিদ্ধ নয়। আইনে বর্নিত নিয়ম অনুসারে মোড়কের উভয় পার্শ্বে অর্ধেক জুড়ে সচিত্র সতর্ককরন থাকার কথা থাকলেও তা এক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়েছে। কোন কোন জর্দ্দা গুলে অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও সেখানে যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তা বোধগম্য নয় এবং সরকার অনুমদিত নয়। রংপুরে উৎপাদিত বিড়ির মধ্যে আনছার বিড়ি, আজিজ বিড়ি, মায়া বিড়ি , আলম বিড়ি, হরিন বিড়ি, হালিম বিড়ি, মেনাজ বিড়ি, সোনার চাঁদ বিড়িতে সচিত্র সতর্কীকরন থাকলেও তা আইনসম্মত নয়। অন্যদিকে জাহিদ বিড়ি, সবুজ বিড়ি, সহিদ বিড়ি, লিটন বিড়িতে সচিত্র সতর্কীকরন নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্যাকেট ছাড়াই স্থাণীয় বাজারে বিড়ি বিক্রি হতে দেখা যায়। ফলে তারা রাজস্ব ফাকি দিচ্ছে । মায়াগুল, গোড়া মার্কাগুল এবং জাহিদ গুলে কোন সচিত্র সতর্কীকরন নেই। এয়াড়া কোম্পানী গুলো প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন প্রচারের মতো আইন লঙ্ঘনের কাজ করছে। এসিডি ও তামাক নিয়ন্ত্রন কোয়ালিশনের সদস্যরা দাবী করেন এ বিষয়টি তাঁরা কয়েক দফা প্রশাসনের নজরে আনার চেষ্টা করেছেন , তাঁরা তামাক কোম্পানী এলাকায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালণ করেছে, ছবি সম্বলিত লিফলেট বিলি করলেও আইন প্রয়োগের দূর্বলতার সুযোগে তামাক কোম্পানী এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মনে করেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 2808407603289967564

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item