কিশোরগঞ্জে নিয়ম বর্হিভুত ভাবে ৪০ দিনের শ্রমিক ছাটাই

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতা ঃ
নীতিমালা বর্হিভূত শ্রমিক ছাটাইয়ের অভিযোগ করেছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও বাহাগিলি ইউনিয়নের ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসুচীর বাদপড়া শ্রমিকরা।  এ ঘটনায় ইউনিয়ন দুটির শ্রমিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
 নীতিমালায় বলা আছে, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচীর আওতায় পূর্ববর্তী বছরের কোন উপকার ভোগীকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া যাবেনা। কেউ স্বেচ্ছায় কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করলে অথবা কাজ করা অবস্থায় কারো বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে তার পরিবার থেকে নতুন শ্রমিক সংযোজন করতে হবে। কিন্তু শ্রমিক সংযোজন বিয়োজন কতৃপক্ষ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ও বাহাগিলি ইউনিয়ন থেকে কোন কারন ছাড়াই ৪৫ জন শ্রমিক ছাটাই করে নতুন শ্রমিক তালিকায় সংযোজন করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে এই নতুন প্রতিজন শ্রমিকের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বাররা  ৩ হাজার  থেকে ৪ হাজার  টাকা নিয়ে তালিকা প্রণয়ন করেছেন।
কিশোরগঞ্জ ইউনিয়নের বাদপড়া শ্রমিক মেহেরুন নেছা, জুয়েল মিয়া , ছকমাল হোসেন, ও রাশেদা বেগমসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, গত বছর আমরা ২৪৫ জন শ্রমিক কাজ করেছি। চলতি বছরে এ উপজেলায় আরো ১৫৭ জন নতুন শ্রমিক নেয়া হয়েছে। এ হিসাবে আমাদের ইউনিয়নে ১৮ থেকে ২০ জন শ্রমিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তালিকা প্রনয়নের সময় ওয়ার্ড মেম্বার আমাদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা করে দাবি করেছিল। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় তালিকা থেকে আমাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে মেহেরুন নেছা কাঁদো কাঁদো গলায় বলেন, আমার স্বামী ৪ বছর আগে দুই বিবাহ যোগ্য মেয়ে ও এক শিমু সন্তানকে সহ আমাকে রেখে পালিয়ে গেছে। আমি ৪০ দিনের কর্মসংস্থানের মজুরি দিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে দিন কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন আমি বাচ্চাদের কি খাওয়াবো বলে তিনি আবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এরকম সমস্যায় আরো অনেক শ্রমিক আছে বলে তারা দাবি করেন।
বাহাগিলি ইউনিয়নের বাদ পড়া শ্রমিক জেবা বেগম, পেয়ারা বেগম, হামিজা খাতুনসহ ১৫-২০ জন শ্রমিক বলেন, গত ১৮ ফেব্রয়ারী কাজ শুরুর কয়েকদিন আগে ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মজিদ আমাদের কাছ থেকে  ৩ হাজার করে টাকা চায় আমরা টাকা দিতে না পাড়ায় আমাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
 এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম ও বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, আমরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড  মেম্বারদেরকে শ্রমিক নিয়োগের তালিকা দিতে বলেছিলাম তারা যাদের  নাম তালিকায়  দিয়েছে সেটাই চুড়ান্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম অভিযোগের বিষয় স্বীকার করে নিয়ে বলেন, বিষয়টি অনেকটা মিছিং হয়েছে। বাদ পড়া শ্রমিকদের জন্য বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাকে বলেছি। তিনি এ  ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6261306141230773774

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item