পীরগঞ্জে ঝিমিয়ে পড়েছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল রংপুর ব্যুরো

পীরগঞ্জে ঝিমিয়ে পড়েছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম। মাঠ পর্যায়ে পরিবার কল্যাণ সহকারীদের সঠিক তদারকি না করায় জন্ম-নিয়ন্ত্রন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। সে সাথে গর্ভবতী মায়েরাও প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে অনেকটা গাঁ ছাড়া ভাবেই চলছে এ বিভাগের কার্যক্রম।
জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, জন্ম-নিয়ন্ত্রন সামগ্রী সরবরাহ্, ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে গর্ভবতী মাদের সেবা প্রদানসহ জনসংখ্যা রোধে সহায়ক হিসেবে পরিবার কল্যাণ সহকারী (মাঠকর্মী) রয়েছে ৯০জন। ওইসব মাঠকর্মীদের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন ১৫জন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক। তারা মাঠকর্মীদের তদারকি না করেই ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ষ্টলে আড্ডা দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবার কল্যাণ সহকারীরা (মাঠকর্মী) সাধারণ মানুষের মাঝে বাল্যবিয়ে, বহুবিবাহ ও অধিক সন্তান গ্রহণের কুফল, জনসংখ্যার বিস্ফোরন, স্বাস্থহানি সংক্রান্ত বিষয়ের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে না পারায় সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার কারণে হু হু করে জনসংখ্যা বেড়েই চলছে। স্থায়ী, অস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী এই তিন পদ্ধতিতে জন্ম-নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। স্থায়ী পদ্ধতির মধ্যে ভ্যাসেকটমি (পুরুষ বন্ধ্যাকরণ), অস্থায়ী পদ্ধতিতে ট্যাবলেট-কনডম-ইনজেকশন দিয়ে টিউব্যাকটমি (মহিলা বন্ধ্যাকরণ) এবং দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতিতে ইমপ্যান্ট (৩বছরের জন্য বাম হাতের বাহুতে শলাকা ঢুকানো) এর মাধ্যমে জন্ম-নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। সাধারণ জনগনকে অবহিতকরনে দায়িত্বরত পরিবার কল্যাণ সহকারীরা ওইসব জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে তেমন সচেতন করতে পারেনি। সে কারনে গ্রামের অধিকাংশ নারী-পুরুষ এখনো পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উল্লেখিত জন্ম-নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি তেমন জানে না। অধিকাংশ পরিবার কল্যাণ সহকারীরা মাসে ২/১ দিন নিজ কর্ম এলাকায় দায়সারাগোছের ঘোরাফেরা করে থাকেন। এমনকি ওইসব কর্মীরা সঠিকভাবে জনসংখ্যা ও খানা জরিপও করেন না মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক পরিবার কল্যাণ সহকারীরা (মাঠকর্মী) তাদের বাড়ীতে বসেই খানা জরিপের কাজ সেরেছেন। সে কারনে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা সঠিক খানা’র হিসেব দিতে পারেনি। উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের হিসাব অনুযায়ী এ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের জনসংখ্যা রয়েছে ৪লাখ ২৪হাজার ৪১৪ জন। এর বিপরীতে কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে ১৭৫জন। দায়িত্বে নিয়োজিত ওইসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারী স্বাস্থ্য সেবাখাত সম্পর্কেও মানুষের মাঝে ইতিবাচক কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন‘ আমাকে দুটি উপজেলায় দায়িত্ব পালন করতে হয়। সে কারনে সপ্তাহে প্রতি বুধবার পীরগঞ্জ উপজেলায় অফিস করি। মাসে ৪দিন অফিস করে সঠিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এটি বড় উপজেলা এখানে নিয়মিত কর্মকর্তার দরকার।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 3333891329926192240

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item