নবাবগঞ্জে মতিহারা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ ॥

মোঃ মেহেদী হাসান উজ্জল, ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি । 

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক থেকে শিক্ষা নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক হয়ে টাকা আত্বসাতের অভিযোগ। নবাবগঞ্জ উপজেলার এলাকা বাসীর পক্ষে মোঃ রাব্বীর এক লিখিত অভিযোগে জানাযায় মোঃ আতিকুর রহমান এইচ, এস, সি পাশের সনদে ১৯৯০ সালে মতিহারা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক পদে যোগদান করেন। তিনি ঐপদে চাকুরি করা আবস্থায় নিয়ম নীতি ভঙ্গকরে ছাত্র হিসাবে ডিগ্রী পাশের সনদ অর্জন করেন এবং প্রধান শিক্ষক কে প্রভাবিত করে উচ্চতর বেতন স্কেলের আওতা ভূক্ত হন। তিনি তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন কে প্রভাবিত করে বি পি এড না করে করে ভবিষ্যতে প্রধান শিক্ষক হওয়ার সপ্নপুরনের আশায় বিএড সনদ নিয়ে পুনরায় উচ্চতর বেতন স্কেলের আওতা ভুক্ত হন।
২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রধান শিক্ষক আবসরে গেলে নিয়ম অনুযায়ী সহ প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের পদে ভার প্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু আতিকুর রহমান বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটিকে প্রভাবিত করে নিজের স্বার্থ রক্ষার অপকৌশলে সহ প্রধান শিক্ষকের অবসর গ্রহনের সময় অক্টবর ২০০৮ সালে বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে বেতন নিয়ে অবসর গ্রহন করেন।  অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কে দায়িত্বে রেখে প্রায় ২ লক্ষ টাকা অত্বসাত / অপচয় করে। যাতে সহ প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আসতে না পারে। ২০০৮ সালের অক্টবর মাসে প্রধান শিক্ষক অব্দুস সালামের অবসরের সুযোগে আতিকুর রহমান কয়েক জন জোষ্ঠ শিক্ষকে ডিঙ্গিয়ে প্রধান শিক্ষকের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব গ্রহন করেন। ২০১০ সালের ফেব্রয়ারী মাসে পরিচালনা কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীন হলে অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকতা আলী আশরাফের সভাপতিত্বে একটি এড হক কমিটি  গঠন করে । গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ দেখিয়ে কাগজে কলমে নির্বাচনী বোড করে আর্থের বিনিময়ে ৪ঠা জুলায় ২০১০ সালে আতিকুর রহমান কে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেখানো হয়। ২০১০ সালে প্রধান শিক্ষকের পদে এসে নিয়োগ বানিজ্যর মাধ্যামে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১০ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করেন। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে নিয়োগ করা ঐ ১০জন শিক্ষক কর্মচারীর নিকট থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করেন। বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট ও বিভিন্ন রিপেয়ারিং কাজের নামে সরকারি বরাদ্দের টাকা এবং প্রতি বছর এস এসসি ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফরম পূরণের জন্য সরকারি নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত ফি আদায় করেন।
খরচের নামে ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আতœসাত করেন। শিক্ষানীতিমালা উপেক্ষা করে বিএ এবং বিএড সনদপত্রের মাধ্যমে আতিকুর রহমান কালো টাকায় শিক্ষকতাকালে দুই বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। ১৩ বছর ধরে ইউপির সম্মানি ভাতা ও শিক্ষকতার বেত ভাতা একই সঙ্গে ভোগ করেন। মাদক পাচারের দায়ে দিনাজপুর বিশেষ আদালতে বিজ্ঞ বিচারক এডিশনাল ২ আতিকুর রহমানকে ৭ বছর জেল দেন। তিনি  উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের জন্য ২২শে ফেব্র“য়ারি ২০০৬ সালে দিনাজপুর জেলা বিশেষ আদালত এডিশনাল-২ তে আতœসমর্পণ করেন। এবং ২৯ দিন কারাভোগ করেন। কারাভোগের ২৯ দিন চিকিৎসা ছুটির ভূয়া সনদ দিয়ে শিক্ষকতার বেতন ভাতার সরকারি অর্থ আতœসাতের বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে পার করে নেন। কেউ তার অপরাধ কর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন।
এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন জনসাধারণ ও ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক তার বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 5566384443687322107

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item