কেঁচো সার খামার করে অল্প দিনেই স্বাবলম্বী রিক্সা চালক হান্নান
https://www.obolokon24.com/2017/01/Pheretima-posthuma.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল -
কেঁচো। বৈজ্ঞানিক নাম ‘Pheretima posthuma’। মাটির নীচেই যার বসবাস। গোবর, মাটি ও পঁচা দ্রব্যই কেঁচোর খাদ্য। জমির উর্বরতা বাড়াতে কেঁচোর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই কেঁচোকে কৃষকের বন্ধু বা প্রকৃতিক লাঙ্গলও বলা হয়।
আর এই কেঁচো চাষের মাধ্যমে জৈব সার (ভার্মি) উৎপাদন খামার করে অল্প দিনেই লাখপতি বনে গেছেন রিক্সা চলিক হান্নান। পাশাপশি ওই খামার প্রতিষ্ঠা করে ৪ জনের কর্মসংস্থানও করেছেন তিনি। উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে অভাবী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন আব্দুল হান্নান।
যেভাবে শুরু ঃ
রিক্সার প্যাডেল ছেড়ে এক বছর আগে তার একমাত্র ৩৫ শতক আবাদী জমি বন্ধক রেখে ৮ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু। দিনাজপুর থেকে ৩ হাজার কেঁচো কেনেন সাড়ে ৪ হাজার টাকায়। বাকী টাকায় অন্যান্য উপকরণ কিনে বাড়ীতে কেঁচো সার উৎপাদনের খামার করেন। কেঁচো সার তৈরীর প্রধান উপকরণ গোবর। কেঁচোগুলোকে খাবার হিসেবে গরুর গোবর দেন। ওই গোবর থেকেই প্রতি মাসে ৩০০ মন জৈব সার হয়। স্ত্রী তহমিনা বেগম এ কাজে সার্বক্ষনিক সহায়তা করেন ।
ব্যবসার লাভ ঃ
প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার গোবর কিনতে হয় তাকে। আর এই গোবর থেকে তৈরী প্রতি মন কেঁচো সার (জৈব) সাড়ে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা দরে বিক্রয় হয়। প্রথম মাসে কেঁচো ৩০ হাজার টাকা এবং ৩০ হাজার টাকার জৈব সার বিক্রি করেন। এরপর ১ বছরে কেঁচো- ১ লাখ টাকা এবং ৪ লাখ টাকার সার বিক্রি করেছেন। প্রতি মাসে সার বিক্রি করে নীট আয় হয় ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে খামারে প্রায় ৭ লাখ কেঁচো রয়েছে।
অবস্থার পরিবর্তন ঃ
অভাব হান্নানকে সব সময় তাড়া করতো। সেই হান্নান কেঁচো সার উৎপাদনের খামার দিয়ে স্বাবলম্বী হবার পাশাপাশি সংসারেও এনেছেন আমুল পরিবর্তন। নিজে স্কুলে যেতে না পারলেও সন্তানদের প্রতি নজর দিয়েছেন। ২ মেয়ে- ৫ম শ্রেনীর হাসনা বানু, ৩য় শ্রেনীর হানিফা বানুর হ্যারিকেনের আলোয় পড়াশোনা করতে সমস্যা হয়। তাই ৫৫ হাজার টাকায় সৌর বিদ্যুতের প্লান্ট নিয়েছেন। ছেলে তুহিন সবার ছোট। তার নামেই ‘তুহিন কেঁচো সার উৎপাদন খামার’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। গোবর যাতে কিনতে না হয়। এ জন্য উন্নত জাতের গরু কিনেছেন। বন্ধক নিয়েছেন আবাদী জমি।
কাজ দিয়েছেন যাদের ঃ
কেঁচো সার উৎপাদন খামারে ৪ জনের কর্ম সংস্থান হয়েছে। কর্মচারীদের প্রতিমাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা বেতন দেন। কর্মচারী পুষ্প রানী সাহা, ফারুক মিয়া, সুফিয়া বেগম ও আয়নাল জানায়-এখানে কাম করি হামরাও দিন ভালই যাওচে। তারা আরও জানায়- বিষ্ণুপুর গ্রামের জলিল, বকুল, আল-আমিন, ফিরোজ, শ্রীরামপুরের তাহের, নওশা, মজন, কুদ্দুসসহ অনেকেই এ ব্যবসা করেন।
শ্রীরামপুরের কৃষক আজগার, শফিকুল, হামিদপুরের খালেক জানান- কম দামে হান্নানের কেঁচো সার প্রয়োগে ফসলের ভালো ফলন পেয়ে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি। জমিও উর্বর হচ্ছে। এ সার দিয়ে বিষ মুক্ত শাক-সব্জী জাতীয় ফসল ভাল হয়।
কৃষি কর্মকর্তা জানান- একটি স্ত্রী কেঁচো ২৪ ঘন্টায় ১টি ডিম দেয়। ১টি ডিম থেকে ২ / ৪টি বাচ্চা হয়। ডিম ফুটতে সময় লাগে ২ সপ্তাহ। কেঁচো শীতকালে সাধারনত ডিম দেয় না। আইএপিপির প্রশিক্ষণ নিয়ে হান্নানের মতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা কেঁচো সার তৈরি করে জমিতে ব্যবহার এবং বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
কেঁচো। বৈজ্ঞানিক নাম ‘Pheretima posthuma’। মাটির নীচেই যার বসবাস। গোবর, মাটি ও পঁচা দ্রব্যই কেঁচোর খাদ্য। জমির উর্বরতা বাড়াতে কেঁচোর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই কেঁচোকে কৃষকের বন্ধু বা প্রকৃতিক লাঙ্গলও বলা হয়।
আর এই কেঁচো চাষের মাধ্যমে জৈব সার (ভার্মি) উৎপাদন খামার করে অল্প দিনেই লাখপতি বনে গেছেন রিক্সা চলিক হান্নান। পাশাপশি ওই খামার প্রতিষ্ঠা করে ৪ জনের কর্মসংস্থানও করেছেন তিনি। উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে অভাবী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন আব্দুল হান্নান।
যেভাবে শুরু ঃ
রিক্সার প্যাডেল ছেড়ে এক বছর আগে তার একমাত্র ৩৫ শতক আবাদী জমি বন্ধক রেখে ৮ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু। দিনাজপুর থেকে ৩ হাজার কেঁচো কেনেন সাড়ে ৪ হাজার টাকায়। বাকী টাকায় অন্যান্য উপকরণ কিনে বাড়ীতে কেঁচো সার উৎপাদনের খামার করেন। কেঁচো সার তৈরীর প্রধান উপকরণ গোবর। কেঁচোগুলোকে খাবার হিসেবে গরুর গোবর দেন। ওই গোবর থেকেই প্রতি মাসে ৩০০ মন জৈব সার হয়। স্ত্রী তহমিনা বেগম এ কাজে সার্বক্ষনিক সহায়তা করেন ।
ব্যবসার লাভ ঃ
প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার গোবর কিনতে হয় তাকে। আর এই গোবর থেকে তৈরী প্রতি মন কেঁচো সার (জৈব) সাড়ে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা দরে বিক্রয় হয়। প্রথম মাসে কেঁচো ৩০ হাজার টাকা এবং ৩০ হাজার টাকার জৈব সার বিক্রি করেন। এরপর ১ বছরে কেঁচো- ১ লাখ টাকা এবং ৪ লাখ টাকার সার বিক্রি করেছেন। প্রতি মাসে সার বিক্রি করে নীট আয় হয় ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে খামারে প্রায় ৭ লাখ কেঁচো রয়েছে।
অবস্থার পরিবর্তন ঃ
অভাব হান্নানকে সব সময় তাড়া করতো। সেই হান্নান কেঁচো সার উৎপাদনের খামার দিয়ে স্বাবলম্বী হবার পাশাপাশি সংসারেও এনেছেন আমুল পরিবর্তন। নিজে স্কুলে যেতে না পারলেও সন্তানদের প্রতি নজর দিয়েছেন। ২ মেয়ে- ৫ম শ্রেনীর হাসনা বানু, ৩য় শ্রেনীর হানিফা বানুর হ্যারিকেনের আলোয় পড়াশোনা করতে সমস্যা হয়। তাই ৫৫ হাজার টাকায় সৌর বিদ্যুতের প্লান্ট নিয়েছেন। ছেলে তুহিন সবার ছোট। তার নামেই ‘তুহিন কেঁচো সার উৎপাদন খামার’ প্রতিষ্ঠা করেছেন। গোবর যাতে কিনতে না হয়। এ জন্য উন্নত জাতের গরু কিনেছেন। বন্ধক নিয়েছেন আবাদী জমি।
কাজ দিয়েছেন যাদের ঃ
কেঁচো সার উৎপাদন খামারে ৪ জনের কর্ম সংস্থান হয়েছে। কর্মচারীদের প্রতিমাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা বেতন দেন। কর্মচারী পুষ্প রানী সাহা, ফারুক মিয়া, সুফিয়া বেগম ও আয়নাল জানায়-এখানে কাম করি হামরাও দিন ভালই যাওচে। তারা আরও জানায়- বিষ্ণুপুর গ্রামের জলিল, বকুল, আল-আমিন, ফিরোজ, শ্রীরামপুরের তাহের, নওশা, মজন, কুদ্দুসসহ অনেকেই এ ব্যবসা করেন।
শ্রীরামপুরের কৃষক আজগার, শফিকুল, হামিদপুরের খালেক জানান- কম দামে হান্নানের কেঁচো সার প্রয়োগে ফসলের ভালো ফলন পেয়ে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি। জমিও উর্বর হচ্ছে। এ সার দিয়ে বিষ মুক্ত শাক-সব্জী জাতীয় ফসল ভাল হয়।
কৃষি কর্মকর্তা জানান- একটি স্ত্রী কেঁচো ২৪ ঘন্টায় ১টি ডিম দেয়। ১টি ডিম থেকে ২ / ৪টি বাচ্চা হয়। ডিম ফুটতে সময় লাগে ২ সপ্তাহ। কেঁচো শীতকালে সাধারনত ডিম দেয় না। আইএপিপির প্রশিক্ষণ নিয়ে হান্নানের মতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা কেঁচো সার তৈরি করে জমিতে ব্যবহার এবং বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।