৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার- প্রধানমন্ত্রী

ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পূর্বের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার তুলনায় চলমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাটি কিছুটা ভিন্নতর। পূর্বে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সম্ভাব্য বিনিয়োগ প্রকল্পের তালিকা প্রদান করতঃ বিনিয়োগধর্মী পরিকল্পনা করা হত। বর্তমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাটি একটি দিক-নির্দেশনামূলক দলিল, যেখানে অভিষ্ট লক্ষ্য ও তা অর্জনে কৌশলগুলো বর্ণনা করা হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়গুলো বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবে। ইতোমধ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক প্রথম অর্থবছর সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা, আইসিটি, পরিবেশ ইত্যাদি খাতে বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
সংসদ নেতা বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ, গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ব্যয় জিডিপি’র শতকরা শূন্য দশমিক ৬ ভাগ থেকে শতকরা ১ ভাগে বৃদ্ধিকরণ, অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশু মৃত্যুর হার (১ হাজার জীবিত জন্মে) ৪১ থেকে ৩৭ জনে নামিয়ে আনা, মাতৃ-মৃত্যুর হার (১ লাখ জীবিত জন্মে) ১৭০ থেকে ১০৫ জনে নামিয়ে আনা এর অন্যতম লক্ষ্য। তিনি বলেন, হাম ও অন্যান্য সংক্রামক রোগে আক্রান্ত না হবার পর (বার মাসের কম বয়সী শিশু) শতভাগ নিশ্চিতকরণ, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা সন্তান জন্মের হার বর্তমানের শতকরা ৪২ দশমিক ১ ভাগ থেকে শতকরা ৬৫ ভাগে উন্নীতকরণ, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার বর্তমানের শতকরা ৬২ ভাগ থেকে শতকরা ৭৫ ভাগে উন্নীত করা হবে।
মহাজোট নেতা বলেন, টেলি-ঘনত্ব শতকরা ১শ’ ভাগে উন্নীতকরণ, ব্রড-ব্যান্ড বিস্তৃতি শতকরা ৩০ ভাগ থেকে শতকরা ৩৫ ভাগে বৃদ্ধিকরণ, আইসিটি, ভ্রমণ ও পর্যটন খাত থেকে আয় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশে টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সপ্তম পরিকল্পনা জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ হলো- পরিবেশগত স্থিতিশীলতা অর্জনে সুশাসন নিশ্চিতকরণ, টেকসই উন্নয়নে উপযুক্ত পরিবেশ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ জোরদারকরণ, প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও সুরক্ষা করা হবে ইত্যাদি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) জনসংখ্যা প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী বর্তমানে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের সংখ্যা দেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। আগামী ২৫ থেকে ৩০ বছর বাংলাদেশ এ রকম ‘জনসংখ্যা সুবিধা’ ভোগ করবে। জীবনচক্রভিত্তিক এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বর্তমান সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গৃহিত সমুদয় প্রকল্প ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে সরকার ‘আইসিটি’র অধিকতর ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পসমূহের মধ্যে ডিজিটালাইজেশনকে প্রাধিকার দিয়ে গত বছরে ৪টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ওই প্রকল্প ৪টির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ২ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এসব প্রকল্পের কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি হচ্ছে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 8347297000307069901

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item