ফলোআপঃ ডিমলায় পুকুর থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার।হত্যা মামলা দায়ের
https://www.obolokon24.com/2016/05/dimla_3.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,জাহাঙ্গীর আলম রেজা॥
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের গৃহবধু তানজিনা বেগমকে(২৮)শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরে লাশ ফেলে দিয়ে তিন সন্তানকে সাথে নিয়ে পালিয়েছে স্বামী সামিনুর রহমান(৩৫)। স্বামীকে সিলেটে যেতে বাধা দেয়ায় স্ত্রী কে হত্যা করেছে মর্মে তানজিলার বড়ভাই মমিনুর রহমান ডিমলা থানায় সোমবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।(মামলা নং-২,ধারা৩০২)। ডিমলা থানার ওসি রহুল আমিন খান মঙ্গলবার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।উল্লেখ্য যে,উপজেলার খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সোমবার দুপুর ১টার দিকে পুকুরে জাল ফেলে পুলিশ ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফিরোজ কবীর ও ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমিন খাঁন। লাশ উদ্ধারের সময় পুকুর পাড়ে শতশত মানুষ ভীড় করে প্রত্যক্ষ করে।
এলাকাবাসী জানায় গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে সামিনুল রহমান সিলেটে পাথর শ্রমিকের কাজ করে। সে গত ১৫ দিন আগে বাড়ি ফিরে আসে। তার স্ত্রী স্থানীয়ভাবে তিস্তায় পাথর শ্রমিকের কাজ করতো। পহেলা মে স্বামী সিলেটে ফিরে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীর কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করে। এতে স্ত্রী স্থায়ীয়ভাবে তিস্তায় পাথর শ্রমিকের কাজ করার কথা জানিয়ে স্বামীকে সিলেটে যেতে বাধা দেয়। এই ঘটনায় সমিনুর ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রীকে বেধরক পিটিয়ে ঘরে ফেলে রেখেছিল। এরপর রবিবার রাতে স্ত্রী নিখোঁজ জানিয়ে তার শাশুড়িকে মোবাইলে জানায়।
হত্যার শিকার তানজিলার মা একই উপজেলার পাশ্ববর্তী ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের কাঁকড়া মাষ্টার পাড়ার মৃত তাইজ উদ্দিনের স্ত্রী মোমিনা বেওয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে জানায় রবিবার রাত ৯টায় তার মেয়ে নিখোঁজের কথা জামাইয়ের মোবাইল পেয়ে সকালে ছুটে আসে। এসে দেখেন জামাইয়ের বাড়িতে তালা লাগা। মেয়ের তিন সন্তান শাবনুর আক্তার(৮),ময়না আক্তার(৬) ও ইমরান (৩) সহ জামাইকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এক পর্যায়ে জামাইয়ের বাড়ির ধারে পুকুরের পানিকে তানজিনার একটি ওড়না ভেসে থাকতে দেখা গেলে ডিমলা থানায় খবর দেন তিনি।
তানজিনা বেগমের বড় ভাই মমিনুর রহমান বলেন, আমার বোন সাতার কাটতে জানে। তানজিনা হত্যার পর তার লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছে তার স্বামী।