রংপুর নগরীতে যৌতুকে টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক
https://www.obolokon24.com/2016/02/rangpur22.html
হাজী মারুফঃ
রংপুর নগরীর পুর্ব পার্বতীপুর বউ বাজার এলাকায় যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানাযায় নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের পুর্ব পার্বতীপুর বউ বাজার এলাকার মনোয়ার হোসেনের পুত্র শহিদুল ইসলামের সাথে রংপুৃর কেরানীপাড়ার মৃত আব্দুর রহমনের কন্যা রোকছানা পারভীন রুমা’র সাথে গত ১৭ই ফেব্রয়ারী ২০১১ইং সালে বিয়ে হয়। এর পর থেকে নানান অজুহাতে রুমা’র পরিবারের কাছ থেকে মোট অংকের টাকা নিতে থাকে। টাকা না দিলে রুমার উপর একের পর এক শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করতে থাকে। মেয়ে’র সুখের কথা চিন্তাকরে রুমার মা,বাবা ও ভাইরা সককিছু সয্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পাকা ঘরবাড়ি সহ সংসারের যাবতিয় জিনিস পত্র করে দেয় । তবুও চাহিদা মেটেনি শহিদুল ইসলামের। সহিদুল ইসলাম ময়মনসিংহের ঘাটাইল ক্যান্টরম্যান্টের মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস পদে চাকুরী করেন। তার গ্রামের বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার নাগেস্বরী থানার শালামার কামরিয়ার পাড় এলাকায়।
রুমার সাথে তিন বছর সংসার করার পর সম্প্রতি ২২ শে অক্টোবর ২০১৪ইং বিনা কারনে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অসহায় রুমাকে ভুয়া তালাক নামা পঠিয়ে দিয়। এরপর গোপনে নজীরের হাট আমলিরতল এলাকার প্রভাবশালী আলতাফ হোসেনের মেয়ে কে বিয়ে করেন।অবশেষে রুমা বাধ্য হয়ে স্বামীকে ফিরে পাবার আশায়, ন্যায়চিারের দাবিতে কোটে একটি মামলা দায়ের করেন । এছাড়া ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম আজা ও ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজামুল হাছান বাদল এর নিকট লিখিত আভিযোগ করেন । এরপর স্থানীয়ভাবে ৪/৫ বার সালিশ বৈঠক বসলেও কোন কর্ণপাত করেনি তিনি ।অবশেষে স্থানীয় গন্যমাণ্য ও ১৭ ওয়ার্ড কাউন্সিলর তিনি শহিদুল ইসলাম সাথে মুঠোফোনে সমস্য সমাধানের লক্ষ্যে কথা বলে তারিখ নিধারণ করেন । ২০শে ফেব্রয়ারী ১৬ইং গ্রাম্য শালিসে সমঝতার লক্ষ্যে ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম আজা ও ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজামুল হাছান বাদল মহিলা কাউন্সিলর অসজুয়ারা বেগম গিনি ও সাবেক মহিলা কাউন্সিলর ফেরদৌসি উপস্থিত ছিলেন । শহিদুল নিজেই তারিখ দিয়ে বৈঠকে না এসে মামার বাড়ী চলে যান । পরে স্থানীয়রা অসহায় রুমার পক্ষে গণস্বাক্ষর দেন । শহিদুল ভুয়া তালাকনামা দিয়ে অন্য একটি মেয়ের সাথে বিয়ে করেন । এদিকে কাজী বাতেন এ প্রতিবেদককে জানান প্রথম স্ত্রী রুমার অনুমতি না নিয়েই গোপনে সে ২য় বিবাহ করে তা সম্পুণ বে-আইনী । এবং যে তালাকনামা পাঠিয়েছে তাহা ভুয়া বানোয়াট ।এ বিষয়ে ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম আজা বলেন ৫/৬ বার শালিসী বৈঠক বসলেও শহিদুল উপস্থিত থাকেনি ।