নীলফামারীতে বোরো মৌসুমে জিংক ধানের বীজ বিতরণ

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১০ ডিসেম্বর॥
নীলফামারীর সদরের ইটাখোলা ইউনিয়ন ফেডারেশনে আরডিআরএস বাংলাদেশ এর আয়োজনে হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় জিংকসমৃদ্ধ ব্রি ধান৬৪ ও ব্রি ধান৬২ এর বীজ বিতরণ করা হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর  আরডিআরএস বাংলাদেশের নীলফামারী ইউনিটের কর্মসূচি সমন্বয়কারী খ.ম. রাশেদুল আরেফিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বীজ বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক(শস্য) জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কেরামত আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন ইটাখোলা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান, আরডিআরএস বাংলাদেশের কৃষি কর্মকর্তা দীলিপ কুমার রায়, উর্দ্ধতন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকর্তা আনন্দ কুমার পাল এবং ইটাখোলা ইউনিয়ন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান উষা রানী।বীজ বিতরণে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আরডিআরএস বাংলাদেশ এর নীলফামারী ইউনিটের কর্মসূচি সমন্বয়কারী জনাব খ.ম. রাশেদুল আরেফিন । তিনি জানান যে, আরডিআরএস বাংলাদেশ হারভেষ্টপ্লাস বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ঐধৎাবংঃচষঁং ঈযধষষবহমব চৎড়মৎধস এর আওতায় ২০১৩ সাল থেকে জিংক সমৃদ্ধ ধান মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ করছে। চলতি বছর বোরো মৌসুমে নীলফামারী জেলায় মোট ১১০৫ জন কৃষকের ১১০৫ বিঘা জমিতে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান ৬৪ ও ব্রি ধান৬২ এর প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হবে। প্রত্যেক কৃষকে ৩ কেজি করে বীজ বিতরণ করা হয়।প্রধান অতিথি জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাষাবাদ কলাকৌশল আলোচনা করেন। জিংক ধান উপকারিতাসমূহ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শিশুর মেধার বিকাশ ঘটায়, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, মানসিক অবসাদ হতে দেয় না, গায়ে দাগ পড়তে বাধা দেয় এবং ঘা তাড়াতাড়ি শুকাতে সাহায্য করে। এ জাতের প্রতি কেজি চালে গড়ে ১৯.৬ মিলিগ্রাম জিংক এবং শতকরা ৯ ভাগ প্রোটিন আছে। তিনি কৃষকদেরকে সকল সময় কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। তিনি আরডিআরএস বাংলাদেশের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3458377532510472090

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item