ডিমলায় চাল নিয়ে চালবাজি

















জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় দুঃস্হ্যদের প্রাপ্য ভিজিএফ চাল বিতরনে ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম,দুর্নীতিসহ চালবাজীর অভিযোগ উঠেছে।আর ইউপি সদস্যদের চালবাজীতে ভুক্তভোগীরা অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন রকম সহযোগীতানা পাবার অভিযোগ করেছেন।অভিযোগ মতে,নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা বালা পাড়া ইউনিয়ন পবিত্র ঈদুল আজাহা উপলে গরীব ও দুঃস্হ্যদের  জন্য সরকারে ত্রান বিভাগ হতে ৭৬.৩৪০ মেট্রিকটনচাল ৭৬৩৬ পরিবারে বিতরনের জন্যে বরাদ্ধ পায়। তারই ধারাবাহিকতায় ৯নং ওয়াডে ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী উক্ত ওয়াডের ৮৪৫ কাডধারী দুঃস্হ্য পরিবারের মাঝে  চাল বিতরনের বরাদ্ধ পেলেও প্রকৃত হতদরিদ্র ও দুঃস্হ্যদের সে চাল না দিয়ে এলাকার বিত্তবান ও নিজের মনোনীত ব্যক্তিদেরকে দুঃস্হ্যদের চালের ছিলিপ দিয়ে দেয়ার ফলে প্রকৃত দুঃস্হ্য
ব্যক্তিরা চাল পাওয়া থেকে বাদ পরেন।যা উত্তোলনের সময়ে একেকজন ব্যক্তি ১ থেকে ৩ বস্তারও বেশি করে চাল উত্তোলন করেন।এমনকি ৯-নং ওয়াডে অবস্হিত সরকারের আশ্রয়াধীন গুচ্ছ গ্রামে বসবাসরত হতদরিদ্ররাও সে চাল পাননি। ঈদের আগের দিন উক্ত ওয়াডের ভিজিএফের চাল বিতরনে সময়ে ডিমলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গুচ্ছ গ্রামের একাধিক নারী-পুরুষসহ অনেক দরিদ্র পরিবার চাল না পেয়ে হইহুল্লোর করতে থাকলে অবস্হা বেগতিক দেখে ওই ইউপি সদস্য সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে অনেক খোজাখুজি করেও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি তার। এমনকি  তার ব্যবহৃত ফোন নম্বর(০১৭৬১৭৪১২০০) তে একের পর এক কল দিলে তার ফোনের সুইচ বন্ধ পাওয়া যায়।পরে পরিস্হিতি সামাল দিতে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম শতাধিক ব্যক্তিকে জনপ্রতি একশত টাকা করে হাতে দিয়ে তাদের অনেক অনুরোধ করে সেখান থেকে বিদায় দেন। সে সময়ে ওই ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা ট্যাককর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ বোরহান উদ্দিনকে ঘটনাস্হলে উপস্হিত পাওয়া যায়নি।অপরদিকে একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়াড ইউপি সদস্য মোঃ সাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ৭৩৫ কাডধারী দুঃস্হ্য ব্যক্তির চালের ২৪ বস্তা চাল কালোবাজারি করে ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।এই ইউপি সদস্যও গত বুধবার (ঈদের দুইদিন আগে) ভিজিএফ ছিলিপ ধারী অপেমান শতাধিক ব্যক্তি চাল না পাবার আগেই চাল বিতরনের সমাপ্তি ঘোষনা করে জনগনের তোপের মুখে পড়েন। পরে তিনি রাত ৯টাপর্যন্ত একবস্তা চালের বিপরীতে ৫ জনকে ৭০০ (৭০০-সাতশত)টাকা করে হাতে ধরিয়ে দিয়ে পার পান।অভিযুক্ত দুই ইউপি সদস্যের এ ধরনের চালবাজীর ব্যাপারে জানতে চাইলে বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ঘটনার স্বত্যতা স্বীকার করে বলেন,৭নং ইউপি সদস্যের চাল বিক্রির কথা আমিও গোপন সুত্রে জেনেছি।এবং ৯-নং ইউপি সদস্যেও ৮৩৫ছিলিপের মধ্যে দুইশত ব্যক্তিকেও উপস্হিতি না হতেই চাল বিতরন সমাপ্তি ঘোষনাশুনতে পেরে আমি নিজেই অবাক হয়েছি। পরে ইউপি সদস্য পরিস্হিতি সামাল দিতে না পেয়ে ঘটনাস্হল  থেকে দ্রুত পালিয়ে গেলেও আমি  আমার নিজের পকেট থেকে বাধ্য হয়ে প্রত্যেক ব্যক্তিকেই ১০০ (১০০-একশত)টাকা করে দিয়ে পরিস্হিতি সামাল দিতে সম হই।উল্লেখ্যিত,নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টুর ১৬১ বস্তা বিভিএফের চাল কালোবাজারি করে বেচে দেয়ার খবর বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশ পাওয়াসহ এইসব অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত দুঃস্হ্যদের প্রাপ্য ভিজিএফ চাল নিয়ে চালবাজীর সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তমুলশাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরাসহ এলাকাবাসী।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 673896784343462248

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item