শোকজ করার পরও আবারো ৯ জন অনুপস্থিত পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অবরুদ্ধ!

হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো প্রধান :
পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও)কে গালমন্দ ও অফিস কক্ষে ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করার ঘটনায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোজাম্মেল হক তদন্ত শুরু করেছেন। গতকাল শনিবার বেলা দেড়টায় তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে আবারো ৯ জনকে অনুপস্থিত দেখে হাজিরা খাতায় ‘অনুপস্থিত’ করেছেন। এ সময় তার সাথে অবরুদ্ধকারী ডাক্তাররাও ছিলেন।

জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শাহীনুর (সার্জারী), ডা. সুফিয়া খাতুন (গাইনী), ডা. হরিহর প্রসাদ গুপ্তসহ বেশ কয়েকজন ডাক্তার কর্মস্থলে বিভিন্ন সময় অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশসহ বেতন বন্ধের সুপারিশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উল্লেখিত ডাক্তারদের নেতৃত্বে আরও ৩ ডাক্তার বৃহষ্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে। ওই ঘটনায় শুক্রবার সকালে এবং গতকাল দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোজাম্মেল হক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে তদন্তে এসে আবারো ৯ জনকে অনুপস্থিত দেখে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত লিখেন। এ সময় অবরুদ্ধকারী ৩ ডাক্তারও তার সাথে ছিলেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দা আফরোজা বেগম বলেন, উল্লেখিত ডাক্তাদের অনুপস্থিতের ব্যাপারটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তাদেরকে কারণ নোটিশ দেয়ায় আমার কক্ষে এসে তারা ‘হট টকিং’ করেছে। সিভিল সার্জন ডা. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন-হাসপাতালের শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনাটি তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সার্জারী, গাইনী, চক্ষু, কার্ডিওলজি, অর্থপেডিক্স, মেডিসিন বিশেষজ্ঞসহ ৩০ জন ডাক্তার কর্মরত থাকলেও অধিকাংশ ডাক্তার মাসে ৩/৪ দিন  কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে হাজিরা খাতায় পুরো মাসের স্বাক্ষর করে। ডা. শাহীনুর (সার্জারী), ডা. সুফিয়া খাতুন (গাইনী), ডা. হরিহর প্রসাদ গুপ্তসহ বেশ কয়েকজন ডাক্তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে প্রায়ই মন কষাকষি হয়। সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ও পরিচালক (প্রশাসন) এবং জেলা সিভিল সার্জনও উল্লেখিত ডাক্তারদেরকে অনুপস্থিত দেখে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গত ২৫ আগষ্ট ১৩৯০.১৩৯১.১৩৯২/১(৩)- নং স্মারকে ডা. শাহীনুর (সার্জারী), ডা. সুফিয়া খাতুন (গাইনী), ডা. হরিহর প্রসাদ গুপ্তকে কারন দর্শানো নোটিশ ও ২৭ আগষ্ট (বৃহষ্পতিবার) ১৪১২/১(৯) নং স্মারকে বেতন স্থগিতের নোটিশ প্রদান করলে ইউএনও এসএম মাজহারুল ইসলাম কমপ্লেক্সে আসেন। তিনি চলে যাওয়ার পর বৃহষ্পতিবারই উল্লেখিত ৩ ডাক্তারের সাথে ডা. এনামুল বাসার, ডা. শরিফুল ইসলাম এবং ডা. আতাউর রহমান ৬ জন জোটবদ্ধ হয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সৈয়দা আফরোজা বেগমকে গালমন্দ করে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। ঘন্টাব্যাপী অবরুদ্ধ থাকার পর অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করে।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 2351977130842825950

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item