ডিমলায় কাবিখার চাল আত্বসাতের ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তার রুমে সোলার প্যানেল

মো: জাহাঙ্গীর আলম রেজা, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডিমলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের ১৩ মেট্রিক টন গম আতœসাতের সত্যাতা পর রবিবার সকালে তদন্ত কর্মকর্তার দপ্তরে পাওয়া গেল সোলার প্যানেল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের এমএলএসএস জানায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরের সোলার প্যানেল ৬টি ঢুকে রাখা হয়। রোববার সকাল থেকে উক্ত দপ্তরের ঝুলছে তালা।
জানা যায় গত বুধবার (১২ আগষ্ট) ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ২য় পর্যায়ের কাবিখা প্রকল্পের ৯নং প্রকল্পটি খালিশা চাপানি ১ নং ওযার্ডের ইউনিয়নের নুরল ইসলামের বাড়ী হতে আজমের বাড়ির পাশ দিয়ে মেহের আলী বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও মাটির কাজ না করে চাল তুলে আত্বসাৎ করা অভিযোগ তদন্ত করা হয়।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ১ নং ওযাডের ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন, রাস্তায় মাটি ভরাট ও কোন সোলার প্যানেল বিতরন না করে চাল বিক্রি করে আত্বসাৎ করে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসকে ঘুষ দিয়ে কাবিখা প্রকল্পের ভুয়া ভাউচারে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। প্রকল্পের কমিটির সদস্যরাই জানে না প্রকল্পের কথা। প্রকল্পের সেক্রেটারী সহির উদ্দিন ২ বছর থেকে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ীতে বসবাস করলেও  স্বার করে বিল উত্তোলন করা হয়েছে মর্মে  অভিযোগকারী অলিয়ার রহমান জানায়।
জানা যায়, খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্পের ১৩ মেট্রিক টন গমের পরিবর্তে খাদ্য অধিদপ্তরের ১১ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমের নির্দেশে প্রকল্পের অনিয়ম আত্বসাতের তদন্তে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মশিয়ার রহমান প্রকল্প বাস্তবায়নস্থলে গিয়ে কোন প্রকার কাজ দেখতে পায়নি। এ সময় তদন্ত টিমের কাছে কাবিখা প্রকল্পের টাকা হরিলুটের স্যা দিয়েছে এলাকার উপস্থিত শতশত নারী পুরুষ। এ সময় প্রকল্পটির চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি। এমনকি তদন্ত কমিটির প্রধান একাধিকবার প্রকল্প চেয়ারম্যানকে মোবাইল ফোন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে বলার পরও তিনি আসেনি মর্মে তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করেন। তদন্তের পর থেকে প্রকল্প চেয়ারম্যান গা-ঢাকা দিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্তকালে সোলার প্যানেল না থাকার কারনে নতুন করে প্রকল্পটির চেয়ারম্যান ও খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ১নং ওযার্ডের ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন নিকট উক্ত ৬টি সোলার প্যানেল কিনে নিয়েছে মর্মে একাধিক সুত্রে নিশ্চিত করেছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিমলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) মশিয়ার রহমান একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, কারিখার চাল আত্বসাতের বিষয়টি তদন্তাধীন  রয়েছে। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তার দপ্তরে ৬টি সোলার প্যানেল প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্তধীন কোন প্রকল্পের অনিয়ম পরিলতি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নতুন করে ৬টি সোলার প্যানেল গ্রহন বিষয়টি তার জানা নেই। নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন বলেন, কাবিখার চাল আত্বসাতের বিষয়টি তদন্তাধিন। এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা সঠিক হবে না।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3496142341802180237

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item