পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে ঘুষ বানিজ্য॥ ডিমলায় সংবাদ সম্মেলন

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ
পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ স্থাপনের নামে  এক লাখ ৬০ হাজার ৫শ  টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ময়দানের ডাঙ্গা ৫৪ নম্বর পাট-২ এর ৩৭ জন আবেদনকারী গ্রাহক। শনিবার সকাল ১১টায় ডিমলা প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবেদনকারীদের  পক্ষে আবু বক্কর সিদ্দিক।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়  পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যানের নাম হলো ময়েন উদ্দিন। এই নামটিকে পুঁজি করে ডিমলা সদর ইউনিয়নের মহির উদ্দিনের পুত্র  ময়েন কবীর নিজেকে পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যানের বন্ধু এবং নিকট আত্বীয় পরিচয় দেয়। পাশাপাশি দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে ৪ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করে। তার কথা বিশ্বাস করে পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের মধ্যছাতনাই গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের ময়দানের ডাঙ্গা ৫৪ নম্বর পাট-২ এর ৩৭ জন আবেদনকারী গ্রাহক প্রথম পর্যায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করে। এই টাকা পেয়ে ময়েন কবির পল্লী বিদ্যুতের ডিমলা অফিসের দায়িত্বর ইঞ্জিনিয়ার বেলাল হোসেন কে সাথে নিয়ে এলাকাটি জরিপ করায়। এরপর এলাকাটি পুনরায় নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনানেল ম্যানেজারের পরিদর্শনের খরচ বাবদ আরো ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে  যোগাযোগ করে জানতে পারে  ময়েন কবির অফিসে এ ব্যাপারে কোন টাকা জমা করেনি।  ঘটনার দুই বছর অতিবাহিত হলেও সেখানে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বা অন্য কোন কর্মকর্তা পরিদর্শনে যেমন আসেনি তেমনি অদ্যবদী এলাকায় বিদ্যুতের কোন সংযোগ স্থাপন করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় এসব গ্রাহকরা এ ঘটনায় ডিমলা থানায় ময়েন কবিরের বিরুদ্ধে  মামলা করতে গেলে থানার ওসি ওই মামলা গ্রহন করেনি। উল্টো  ময়েন কবির এসব গ্রাহকদের নামে ডিমলা থানায় জিডি করেছে। এখানেও ডিমলা থানার ওসির ভুমিকা রহস্যজনক। তাই এসব আবেদনকারী গ্রাহকরা ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক পল্লী বিদ্যুত সমিতির উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7343808151364829698

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item