স্বস্তির পর ভোগান্তির বৃষ্টি

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ

গত চার দিন আগেই ছিল তীব্র তাপদাহ। এরপর নামলো স্বস্তির বৃষ্টি। তীব্র তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টিতেই শুরু হয়েছে অস্বস্তি। লাগাতার ৫দিনের বৃষ্টিতে দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে সৈয়দপুরের মানুষদের। নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানি মাড়িয়ে পথ চলতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীর।
দেখা গেছে গত ৪ দিনে ভাড়ী ও মাঝারী বৃষ্টিপাতে শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান হাটু পানি থেকে কোমর পানি পর্যন্ত তলিয়ে যায়। আবহাওয়া অনুকুলে না থাকা সহ ভাড়ী বৃষ্টির কারণে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে বিমান চলাচলেও বিঘœ ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল থেকে প্রবল বর্ষনে শহরের কয়েকটি প্রধান সড়কে প্রায় হাটু পানি জমে যায়। যানবাহন চলাচলে বিঘœ হওয়ায় যাত্রিরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। গত বুধবার থেকে আজ শনিবার শহর সহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বাড়িঘর, শিা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কল-কারখানা ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
শহরের দারুল উলুম মাদ্রাসার মরহুম মাওলানা সালেহ সাহেবের ছেলে মাওলানা নোমান বলেন, ভাড়ী বর্ষণের কারণে তার বাড়ির উঠানে হাটু পানি জমে গেছে। শহরের মানুষ বলছেন শহরে খাল পুকুর ভরাট ও সঠিকভাবে নালা নর্দমা নির্মাণ বা পরিষ্কার না করার ফলেই সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া প্রধান ড্রেনের উপর নির্মিত দোকানের কারণে পৌর কর্তৃপ সেগুলো পরিস্কার করতে ব্যর্থ হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট। এসব ব্যাপারে পৌর কর্তৃপকে বার বার অভিযোগ দিলেও প্রতিকার মিলছেনা। এর ফলে জলাবদ্ধতা নিয়েছে স্থায়ী রুপ। সৈয়দপুর শহরকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে রা করতে চাইলে পরিকল্পিত রাস্তাঘাট ও ড্রেন পরিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি ড্রেনের উপর নির্মিত দোকানপাট গুড়িয়ে দিয়ে সেগুলো ভালো ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে টানা ৭ দিন ভাড়ী বৃষ্টি হলে সৈয়দপুর শহর ৩/৪ ফিট তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন শহরবাসী।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4972896240382249068

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item