ডায়রিয়া রোগীর চরম দুর্ভোগ, রমেক হাসপাতালের সংক্রামক ব্যাধি বিভাগ এখন নিজেই অসুস্থ্য

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্যা অফিস : 
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংক্রামক ব্যাধি বিভাগ এখন বিভিন্ন অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় নিজেই আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা-সেবা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তির কবলে পড়ার অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালিত সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে সংক্রামক ব্যাধি বিভাগ থাকলেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা আশানুরুপ চিকিৎসা-সেবা পাচ্ছে না।
সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত ইনচার্জ ডাক্তার, নার্স, সিস্টারসহ কর্তব্যরতরা নিজের খেয়াল-খুশিমতো ডিউটি করেন। ফলে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা হতে চিকিৎসা-সেবা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তিসহ হয়রানীর কবলে পড়ছে। গতকাল শনিবার সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের সরেজমিনে দেখা গেছে, নার্স, সিস্টার থাকা তো দুরের কথা, খোদ দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ ও শিফট ভিত্তিক ডাক্তার নেই। একজন আয়াই রোগীর স্যালাইন লাগানোসহ দেখভাল করছেন। কোন বেডের চাদর নেই। খাবারের পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেই। টয়লেট-ল্যাট্রিন ব্যবহারে অনুপযোগী অবস্থায় থাকলেও দেখার যেন কেউই নেই। রোগীর স্বজনরা স্ব-স্ব রোগী নিয়ে পড়ছেন চরম বিপাকে। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের দেবোত্তর রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীর ছেলে আয়নাল হক (২৮) স্ত্রী নুরজাহান, ছেলে নুর আলম (১০), মেয়ে আলমিনা (৫) নাগেশ্বরী থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গতকাল সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে তারা সকলে সংক্রামক ব্যাধি বিভাগে চিকিৎসা নেয়ার জন্য ভর্তি হয়। এছাড়াও তারাগঞ্জের মেনানগর ওকরাবাড়ি এলাকার আলফাজ আলীর স্ত্রী এজাকুল, হারিয়ারকুঠি ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৫) ও তার স্ত্রী ইনসানা বেগম, আবুল কাশেমের স্ত্রী জেলেখা ভর্তি হয়েছে।  কিন্তু সংক্রামক ব্যাধি বিভাগে ভর্তিরত রোগীরা আশানুরুপ চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। রোগীর প্রতি অবহেলা আর অব্যবস্থাপনা অভিযোগ তুলে রোগীর একাধিক স্বজন।   এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগীর একাধিক স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দায়িত্ব প্রাপ্তরা নানা অযুহাতে নিজেদের দায়িত্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন। অথচ তারা প্রত্যেকে সরকারি চাকরির বেতন-ভাতা ভোগ করে আসছেন। এখন বিভিন্ন অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় নিজেই আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের দুর্ভোগের চিত্র। এসময় ব্রাদার মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে তরিঘরি করে ছুটি যান রোগীদের কাছে। কার কি সমস্যা, তা জানার জন্য। তিনি নিজের গা বাঁচানোর জন্য রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলেন। এসময় ব্রাদার মনোয়ার হোসেনের নিকট ওই বিভাগে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ডাক্তার ও নার্সদের নাম জানতে চাইলে তিনি রোস্টার দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু রোস্টার না দেখে বিভিন্ন টাল বাহানা করেন। এসময় মনোয়ার হোসেন উপস্থিত থাকা ডিউটিরত ডাঃ নাহিদা রহমানের সাথে সাংবাদিকদের পরিচয় করে দিয়ে সটকে পড়েন।এব্যাপারে ডিউটিরত ডাঃ নাহিদা রহমান বলেন, আমি দুপুর ২টায় এসেছি। প্রত্যেক রোগীর ফাইল দেখে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছি। কোন অবহেলা করা হয়নি। এব্যাপারে সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ইসমোতারাকেও পাওয়া যায়নি।  
অপরদিকে ছুটিতে থাকা সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের ইনচার্জ মিনতি বোসের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 


পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 8225267739540203007

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item