পাগলাপীরের কচুপাড়ায় এক প্রভাবশালী ১০ অসহায় মহিলার গচ্ছিত ৩৫ হাজার টাকা আত্বসাত করার ঘটনায়- তোলপাড়

হাবিবুর রহমান সেলিম,পাগলাপীর প্রতিনিধিঃ রংপুরের পাগলাপীরে হরকলি কচুপাড়া গ্রামে মোজাফর হোসেন নামে এক প্রভাবশালী গ্রামের আনুজা বেগম সহ ১০ অসহায় দরিদ্র ভুমিহীন মহিলার সংগঠন মহিলা সমিতির গচ্ছিত ৩৫ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার নাম করিয়ে আত্বসাত করার ঘটনায় পুরো গ্রাম জুড়ে জনমনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্ঠি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে উক্ত পাওনা টাকা চাওয়ার দায়ে প্রভাবশালী মোজাফর ও তার পরিবার সমিতির সভানেত্রী সহ সকল সদস্যদের অশালীল ভাষায় গালি গালাজ সহ মারপিট এবং প্রাণনাশের হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠছে।
সংগঠনের সভানেত্রী আনুজা বেগমের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৫নং খলেয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের অন্তভুক্ত হরকলি চওড়াপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা, আমি একজন হত দরিদ্র বটে। ২০১০ ইং সাল থেকে আমাদের চওড়াপাড়া গ্রামে European Union এবং Islamic Relief Worldiwideএর অর্থায়নে Health, Education and Livelihood Support Project for Poor Household (HELP-UP) প্রকল্পটি বাস্তাবায়িত হয়ে আসছে। আমি উক্ত প্রকল্পের হরকলি চওড়াপাড়া মহিলা সমিতির সভানেত্রী। সমিতি কোড নং- ৬৫৮। আমাদের সমিতির হতদরিদ্র মহিলা সদস্যদের জমানো সঞ্চয়ের ৩৫,০০০/- (পয়ত্রিশ হাজার) টাকায় বিগত ০২/০৫/২০১২ ইং তারিখে বিবাদী, ১। মোঃ মোজাফর হোসেন, পিতা মৃতঃ এহেছান উদ্দিন সাং হরকলি কচুপাড়া এর সহিত ১৯ (উনিশ) শতক জমি বন্দকির জন্য ১৫০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিনামায় সম্পাদন করা হয়। বন্দকি চুতিনামার শর্ত মোতাবেক আমরা হতদরিদ্র মহিলাগণ জমির ভোগ দখল করিতে থাকি। দুই বছর পর ১নং বিবাদী চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করিয়া আমাদেরকে উক্ত ৩৫,০০০/- হাজার টাকা ফেরত না দিয়া জমিতে হাল চাষ ও ধান রোপন করিলে আমরা সমিতির সদস্য গণ তাহার নিকঠ টাকা ফেরত চাই। তখন তিনি আমাদেরকে বলেন যে আমি টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তোমাদেরকে প্রতি খন্দে (বছরে ২ খন্দ) ১০ মন করে ধান প্রদান করিব। অতপর ২টি খন্দ অতিবাহিত হয়। গত ০৯/০৭/২০১৫ইং তারিখে রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় আমরা ধান চাইতে গেলে ১ নং বিবাদী এবং বিবাদী ২ মোছাঃ জমিলা বেগম স্বামী মোজাফর হোসেন, ৩ আরাফাত হোসেন মুকুল, ৪ আজাদ হোসেন উভয়ের পিতা- মোজাফর হোসেন সর্ব সাং হরকলি কচুপাড়া সদর রংপুর আমাদেরকে অক্ষত ভাষায় গালি গালাজ করে এবং বলে আমি যে প্রকল্পে জমি বন্ধক রেখেছি সেই প্রকল্প শেষ হয়েছে। তাই টাকা ফেরত দিতে হবে না। তোমরা আবার  যদি আমার বাড়িতে আস তাহলে তোমাদেরকে বেধে রেখে চুরির মামলায় পুলিশে দেব। এই বলে উপরক্ত ৪ জন বিবাদী লাটিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয় এবং আমাদেরকে ধাকাইতে ধাকাইতে মারপিট করতে থাকে। আমরা প্রাণ ভয়ে চিললাইতে থাকিলে স্বাক্ষী ১ মোহাম্মদ আলী পিতা মৃতঃ নছির উদ্দিন সাং হরকলি চওড়াপাড়া, ২ রবিউল ইসলাম পিতা-ফজলুল হক সাং হরকলি কচুপাড়া সহ আরো অনেকে আগাই্য়া আসিলে উক্ত ঘটনা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে সমিতির সভানেত্রী অসহায় দরিদ্র ভুমিহীন আনুজা বেগম রংপুর সদর উপজেলার নিবাহী অফিসার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রংপুর, জাতীয় মহিলা পরিষদ রংপুর, প্রকল্প ব্যবস্থাপক
Islamic Relief Worldwide   রংপুর, প্রকল্প ব্যবস্থাপক টিএমএসএস রংপুর, সভাপতি পাগলাপীর প্রেসক্লাব সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item