ডিমলায় ভিজিডি কার্ডের চাল না দেয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের নামে থানায় জিডি


নির্ণয়,নীলফামারী\
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হকের বিরুদ্ধে ১৯ জন হতদরিদ্র নারীর নামে বরাদ্দ দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির (ভিজিডি) কার্ডের চাল ৬ মাস ধরে আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় রবিবার (১ আগষ্ট/২০২১) দুপুরে ১৯ জন দুঃস্থ নারী তাদের নামের কার্ড ও বরাদ্দের চালের দাবিতে টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হকের নামে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) নম্বর ২১ দায়ের করেছে। 

জানা যায়, চলতি ২০২১ ও ২০২২ অর্থ বছরে দুই বছর মেয়াদে ভালনারেবল গ্রæপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) নতুন চক্রের উপকারভোগীদের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়ে থাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে। এই কর্মসূচী বাংলাদেশের গ্রামীণ দুঃস্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নে বাস্তবায়িত একটি অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম, যা স¤পূর্ণরূপে দুঃস্থ পরিবার বিশেষতঃ মহিলাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। 

সুত্র মতে, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তাপাড়ের টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দারিদ্রপীড়িত এবং দুঃস্থ গ্রামীণ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক উন্নয়ন করে, যাতে তারা বিদ্যমান খাদ্য  নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা এবং নি¤œ সামাজিক মর্যাদার অবস্থানকে সফলভাবে অতিক্রম করে চরম দারিদ্র স্তরের উপরের অবস্থানে টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। 

ডিমলা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সুত্র মতে এবার অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন গ্রহন করা হয়েছিল। এতে উক্ত ইউনিয়নে চলতি চক্রে ৩৩৬টি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়। যার মাধ্যমে ভিজিডি কার্ডধারী উপকারভোগী মহিলাদের মাসিক ৩০ কেজি প্যাকেটজাত খাদ্য (চাল) সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে। 

এদিকে ১৯ জন নারী অভিযোগ করা জানায় চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে এই চাল প্রদান শুরু হয়। কিন্তু তাদের নামে কার্ড থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি গোপন রেখে তাদের নামের জানুয়ারী থেকে জুন ৬ মাসের ৩০ কেজি করে  মোট ৩ হাজার ৪২০ কেজি চাল উত্তোলন করে আতœসাত করে আসছে। বিষয়টি জানার পর তারা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে গিয়ে নামের তালিকা সংগ্রহ করেন। এতে দেখা যায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮ নম্বর কার্ডধারী সালমা খাতুন, ৩৮ নম্বর কার্ডধারী আছিয়া খাতুন , ৪৪ নম্বর কার্ডধারী হামিদা বেগম,৬০ নম্বর কার্ডধারী শাহিদা বেগম ,২৩ নম্বর কার্ডধারী তহমিনা খাতুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৪ নম্বর কার্ডধারী ফৌজিলা বেগম, ৬১ নম্বর কার্ডধারী মাজেদা খাতুন, ১১ নম্বর কার্ডধারী শিল্পী আক্তার , ৫২ নম্বর কার্ডধারী মোরশেদা বেগম, ২২ নম্বর কার্ডধারী আতোয়ারা বেগম, ১০ নম্বর কার্ডধারী মোছাঃ পারভীন, ৩৭ নম্বর কার্ডধারী ময়না বেগম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর কার্ডধারী রোকেয়া বেগম, ২ নম্বর কার্ডধারী লাকি বেগম, ১৯ নম্বর কার্ডধারী আছিয়া বেগম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ৯ নম্বর কার্ডধারী পারভীন বেগম, ২৮ নম্বর কার্ডধারী আছিয়া বেগম, ১৩ নম্বর কার্ডধারী রশিদা বেগম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২১ নম্বর কার্ডধারী মোছাঃ মাজেদার নামে কার্ড বরাদ্ধ রয়েছে। 

এই মহিলারা আরও জানায় তারা তালিকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হকের কাছে গেলে তিনি বলেন তোমাদের নামে বরাদ্দ নাই। তাই তারা বাধ্য হয়ে বিষয়টি লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসককে অভিযোগ করেন ও  ডিমলা থানায় ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হকের নামে ডিমলা থানায় জিডি দায়ের করে।

ডিমলা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা পূরবী রানী রায় বলেন, ডিসি স্যারের কাছে দেয়া ওই মহিলাদের অভিযোগটি ডিসি স্যার তদন্তের জন্য আমাদের কাছে প্রেরণ করেছেন। তিনি আরও জানান,যাঁর নামে কার্ড বরাদ্দ হয়েছে, নীতিমালা অনুসারে তিনিই চাল পাবেন। জনপ্রতিনিধির কাছে কার্ড রাখার কোনো নিয়ম নেই। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন এঘটনায় থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেছেন ১৯ জন মহিলা। পুলিশের পক্ষেও বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন। #


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2664495365070546720

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item