সৈয়দপুরে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ


তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি প্রতারক চক্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতারক চক্রটি শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে বিভিন্ন অংকের অর্থ দাবি করছে। এ ঘটনায় এক অভিভাবক গতকাল বৃহস্পতিবার  (১ এপ্রিল) সৈয়দপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

  থানার করা সাধারণ ডায়েরী সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেবপাড়া এলাকার মোছা. রোজী আক্তার, মোছা. সুমি আক্তার, মোছা. সায়মা আক্তার ও মোছা. রীনা খাতুনের ছেলেমেয়েরা  শহরের সাবর্ডিনেট কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে। তাদের ছেলেমেয়েরা সরকারি উপবৃত্তি টাকা তিন মাস অন্তর অন্তর পোষ্ট অফিসের মোবাইল ব্যাংকিং নগদের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন। এ অবস্থায় গত ২৮ মার্চ একটি প্রতারক চক্র ০১৩২৩৬৫০৫২৩ নম্বর মুঠোফোন থেকে উল্লিখিত অভিভাবকদের ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরে একটি করে ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠায়। এতে লেখা হয়, “ প্রিয় স্টুডেন্ট তোমাদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়া দেওয়া হচ্ছে, ২১০০ টাকা করে নেওয়ার জন্য ০১৩২৩৬৫০৫৪১ অথবা ০১৩২৩৬৫০৫২১ মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করুণ। এছাড়াও উপবৃত্তির টাকা  পেতে   হলে উল্লিখিত মুঠোফোন নম্বরে তিন শত টাকা থেকে পাঁচ শত টাকা পর্যন্ত পাঠাতে বলা হয়। প্রতারক চক্রের এমন ক্ষুদে বার্তা পেয়ে অভিভাবকরা চরম বিড়ম্বনায় পড়েন। তারা বিষয়টি বুঝে উঠতে না পেরে ওই মুঠোফোন নম্বরগুলোতে কল করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে সব মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পান। এ অবস্থায় ওই অভিভাবকরা বিষয়টি  শহরের সাবর্ডিনেট কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলি সুলতানাকে অবগত করেন। অভিভাবকদের কাছ থেকে  বিষয়টি অবগত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষিকা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি সৈয়দপুর  উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহ্জাহান মন্ডলকে জানান। এরপর  উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনা পেয়ে অভিভাবকরা এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। ডায়েরী নং-২৮,তারিখ:০১/০৪/২১ইং।

 এ নিয়ে কথা হলে সৈয়দপুর উপজেলার সাবর্ডিনেট কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. শিউলি সুলতানা বলেন, এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ। তারা সহজ সরল অভিভাবকদের কাজ থেকে সুকৌশলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতে এমন প্রতারণার আশ্রয় গ্রহন করেছে। অভিভাবকরা বিষয়টি আমাকে অবহিত করে ভালই করেছেন। নইলে তারা প্রতারণা শিকার হতেন।  মূলত: শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকার জন্য এভাবে কোন ক্ষুদে বার্তা দেয়া হয় না। উপবৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল ব্যাংকিং নগদের হিসেবে জমা হয়। পরবর্তী সময়ে অভিভাবকতা তা উত্তোলন করে থাকেন। তিনি এ নিয়ে সকল অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7791462634993637772

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item