মুজিববর্ষে আজ ডোমারে ৩৮টি গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাচ্ছেন
আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার ঃ মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় “আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার”র্শীষক প্রতিপাদ্যে নীলফামারীর ডোমারে ৩৮ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হয়েছে লাল-নীল- সবুজ টিনের গৃহ । গৃহগুলো ভুমিহীন ও গৃহহীনদের কাছে বুঝিয়ে দিলে মাথা গোজার ঠাঁই পাবে শতাধিক মানুষ ।
ডোমার উপজেলা প্রকল্প কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃমোহাইমিনুল জানান,৬৪ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ৩৮ টি গৃহ নির্মান করা হচ্ছে। প্রতিটি গৃহে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লক্ষ ৭১ হাজার টাকা । প্রতিটি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন দুইটি শয়ন কক্ষ,একটি করে বারান্দা,রান্না ঘর,ও বাথরুম বিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত লাল-নীল- সবুজ টিনের গৃহ । খুবই দ্রুত গৃহগুলির নিমার্ন কাজ শেষ করা হয়েছে । উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম পুরো প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধায়ন করছেন । টিনগুলি .৩৬০মিলি কেওয়াইসিআর । আর মটকা গুলি .৪৬০মিলি মোটা ।মজবুত করে এসব গৃহ বানানো হয়েছে ।
ডোমার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম জানান, আজ ২৩ শে জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের পরেই ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে এ সব গৃহ হস্তান্তর করা হবে । উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের তেতুলতলা গ্রামের প্রধানপাড়ার কৃষি শ্রমিক আইনুল হকের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান,“শেখ হাসিনার সরকার ,গরীব মানুষের দেখভাল করছে, সে জন্য হাজার শুকরিয়া। শেখ হাসিনা হামার মা। শেখ হাসিনা হাজার বছর বাচুক। মাথার চুল যত তত বছর বেঁচে থাক। এ রকম বাড়িতে কোন দিন থাকুমো,সেটা চিন্তাই করিনি বাহে। তার জন্য নামাজ পুড়ি দোয়া করিমো । জানপ্রান দিয়ে আবার তাক সরকার বানামো।”
গোমনাতী ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতি গ্রামের কলনিপাড়ার রিক্সা চালক আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী শেরিনা বেগম (২৫) জানান,“কাম করি আসি শান্তিতে ঘুমামো। পানি পড়বার নয়,ঝড়ে ভাংগার নহে ,এটাঁই শান্তি। সরকার হামাক দেখিছে,হামরাও সরকারক দেখিমো। ভোট আসিলে ভোট দিমো । জনগনের দরদ করিছে সরকার,হামরা দরদ করিমু সরকারক। ছেলে মেয়েক পড়াছে,টাকা দিয়া হেলফ করছে,চাউল ১০ টাকায় দেছে ।”