সৈয়দপুরে বাল্য বিয়ের দায়ে কনের বাবার অর্থদন্ড
https://www.obolokon24.com/2020/08/saidpur_6.html
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাল্য বিয়ের দেওয়ার দায়ে কণের বাবার পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বুধবার (৫ আগষ্ট) বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ ওই অর্থদন্ড করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরে হাতিখানা ডাকবাংলোর সামনের এলাকার বাসিন্দা মো. আরমান। বিয়ের বয়স না হলেও তিনি তাঁর এক মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন ঢাকায়। গত বুধবার (৫ আগষ্ট) ছিল ওই বাল্য বিয়ের দিনক্ষণ। বিয়ে উপলক্ষে কণের বাড়িতে সকল আয়োজনও করা হয়। বিয়েতে আত্মীয়স্বজন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের যথারীতি আপ্যায়ন করা হয়েছে। ঢাকা থেকে বরপক্ষ এলে তাদের আপ্যায়ন করা হয় যথাসময়ে। এরপর বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বরপক্ষ কণেকে নিয়ে বরের বাড়ি ঢাকার পথে রওয়ালাও দেন। ঠিক এর অল্প সময় পরেই সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সৈয়দপুর ইউনাইটেড ভলান্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (সুভা) এক সদস্যের মাধ্যমে ওই বাল্য বিয়ের খবরটি পান। তিনি (ইউএনও) তৎক্ষণাৎ সৈয়দপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন্নাহার শাহাজাদী এবং সৈয়দপুর থানার পুলিশ সদস্যদের নিয়ে কণের বাড়িতে হাজির হন। সেখানে গিয়ে তিনি বাল্য বিয়ের আয়োজনের সত্যতা পান। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কণের বাবা মো. আরমানের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. নাসিম আহমেদ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন্নাহার শাহাজাদী এবং সৈয়দপুর থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ বলেন, বাল্য বিয়ে দন্ডণীয় অপরাধ। ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বাল্য বিয়ে নিরোধ আইনের লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন লঙ্ঘণের অপরাধে কণের বাবাকে ওই অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সৈয়দপুর উপজেলায় বাল্য বিয়ের আয়োজনকারী কাউকেই কোন রকম ছাড় দেওয়া হবে না।