ভালভাবে বেঁচে থাকতে একটি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড চান তারা
https://www.obolokon24.com/2020/06/kisargang_21.html
বর্তমানে বয়সের ভারে তিনি অনেকটা কর্মশক্তি হারিয়েছেন। ফলে আগের মত কাজ করতে পারেননা। তাই অনেকটা অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাঁটে তাঁর। অথচ তাঁর কপালে জোটেনি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড এমনকি মেলেনি কোন সরকারী সহায়তা। ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য তিনি একটি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড চান।
সুভারানীর বলেন, আমার চার ছেলে সন্তান এর মধ্যে দুই ছেলে মারা গেছে। বাকি দুই ছেলে বিয়ে করে শশুর বাড়িতে ঘরজামাই হিসাবে রয়েছে। আমি আমার স্বামীর ভিটায় একটি ছোট ছাপড়া ঘরে কোনরকমে বসবাস করছি। বর্তমানে করোনার কারনে আমি অনেক কষ্টে আছি। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সরকারী সহায়তা পাইনি।
একই অবস্থা রণচন্ডি ইউনিয়নের সোনাখুলি গ্রামের মৃত্য শিরচান আবদালের কন্যা বামনী বেগমের। বামনী বেগমের বয়স ৬৪ বছর। বামনীর বিয়ের পর তাঁর গর্ভের কোন সন্তান সন্ততী না থাকায় ১০ বছর আগে তাঁর স্বামী বামনীকে রেখে অন্যত্র আর একটি বিয়ে করেন। সেই থেকে বামনী জীবন বাঁচাতে মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বর্তমানে বয়স বেড়ে যাওয়ায় বামনী আর মানুষের বাড়িতে আগের মত কাজ করতে পারেনা। বামনী অভিযোগ করে বলেন, আমার ইউনিয়নের মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে অনেক ধর্না দিয়েছি সরকারী যে কোন একটি সহায়তার জন্য কিন্তু তারা কোন কর্ণপাত করেননি। এরকম অবস্থা বাহাগিলি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরাজপাড়া গ্রামের মৃত্য রহিমুদ্দিনের স্ত্রী আলিজা বেগমের তিনিও একটি বিধবা ভাতার কার্ডের চান।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ , সুভারানীর বর্তমান অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আগে আমার জানা ছিলনা। এবার তাঁকে অব্যশই সরকারের বিধবা ভাতা কিংবা যে কোন সুবিধা প্রদান করা হবে।
রণচন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান বিমান বলেন, বামনীর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।