ডোমার উপজেলা সহ চিলাহাটির দর্জি শ্রমিকদের করুন অবস্থা
https://www.obolokon24.com/2020/05/tailor.html
এ.আই.পলাশ.চিলাহাটি প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ডোমার উপজেলা পরিষদ। এই উপজেলায় ছোট-বড় হাট-বাজার সহ পাড়া/মহল্লা মিলে প্রায় হাজার খানিক টেইলাস্র্ এর দোকানে বহু শ্রমিক কাজ করে আসছে। প্রতিটি দোকানে ৮/১০ জন দর্জি শ্রমিক রয়েছে। কিন্তু, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে কাপড় ও টেইলার্সের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে। জানা গেছে, গত ২৬শে মার্চ ২০২০ইং থেকে ডোমার উপজেলা সহ বিভিন্ন হাট-বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ প্রক্রিয়ায় চলে আসে। পরে যদিও সকাল ০৮টা থেকে দুপুর ০১টা পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা থাকলেও অনেক কাপড় ব্যবসায়ী করোনা ভাইরাস আক্রান্তের ভয়ে দোকান খুলছে সীমিত সময়ের জন্য। এই কাপড়ের দোকানগুলোতেও রয়েছে বহু কর্মচারি। তারাও আজ নিরুপায় হয়ে ঘরে বসে বসে দিন কাটাচ্ছে। এ ব্যপারে ডোমার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সুনামধন্য বেশ কয়েকটি দর্জি দোকানের মালিক ও কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, “প্রতি বছরের এই রমজান মাস আসলেই প্রথম রোজা থেকে ১০ রোজা পর্যন্ত তাদের কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার নিতে হয়। এবং দিনরাত্রী ২৪ ঘন্টায় দর্জি শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় কাটান। পরিবার-পরিজন নিয়ে এই মাসটিতে তারা আনন্দের মধ্যে দিন কাটায়। অথচ আজ এই শ্রমিকদের কাছে কোন কাজ নেই”। দর্জি মালিকরাও নিয়মিত দোকান খুলছেন না।