সইতেও পারেনা,কইতেও পারেনা চার দেয়ালে বন্দি মধ্যবিত্তের কান্না।
https://www.obolokon24.com/2020/04/middle-clasd.html
দেশে কোরানা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহিন হয়ে পেড়েছে নানা পেশার মানুষ। এতে দেখা দিয়েছে কিছুটা অভাব অনটন এ অবস্থায় নিম্মবিত্ত মানষরা বিভিন্ন জায়গায় থেকে সাহায্য চেয়ে নিচ্ছেন। সংসারে অভাব দেখা দিলেও বলতে পারছেনা কাউকে,সইতেও পারেছানা, এতে অসহায় হয়ে চার দেয়ালে বন্দি হয়ে পড়েছে মধ্যবিত্তদের কান্না। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে যখন মানুষ ঘরবন্ধি হয়ে পড়েছে, রাস্তা-ঘাট জনশ‚ন্য প্রায়। সরকারী অফিস আদালত বন্ধ। থমকে দাড়িয়েছে মানুষের জিবন যাত্রা আয় রোজগার।
এই সময় সরকারী বে-সরকারী সংস্থা ও বিত্তবানরা শ্রমজিবী মানুষের মাঝে ত্রান দিলেও চার দেয়ালে বন্ধি হয়ে পড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর কান্না। তাদের অনেকের সংসার অচল হয়ে পড়লেও তারা মুখ ফুটে কাউকে বলতেও পারছেনা, তাদের নিয়ে কেউ ভাবছেও না। সরকার মধ্যবিত্তদের বাড়ী বাড়ী ত্রান দেয়ার কথা বললেও এখন প্রর্যন্ত কেউ ত্রান নিয়ে তাদের বাড়ীতে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েকজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অনেকের ঘরে এখন খাবার নাই, ত্রান যারা দিচ্ছে অধিকাংশ ত্রান দাতারা ছবি তোলা নিয়ে ব্যাস্থ হয়ে পড়ায়, তারা ত্রান নিতে যেতে পারছেনা লোক লজ্জার ভয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবার কৃষক ও সল্প পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তাদের অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অনেকে মেকানিক্সের দোকান রয়েছে, তাদের আয় রোজগারও বন্ধ হয়ে পড়েছে।
কয়েকজন কৃষক বলেন হাতে টাকা না থাকায় পরিবারের চাহিদা পুরোনের জন্য মীল মালিকের নিকট বোরো ধানের উপর অগ্রিম টাকা চেয়েও পায়নি। এখন কি হবে, সামনে রমজান মাস কি ভাবে চলবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই। তাদের পরিবার এখন পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। একই কথা বলেন কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, তারা বলেন মানুষ কাঁচা-বাজারে গেলেও অনান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ রয়েছে, হাতে যা নগদ অর্থ ছিল তা সবই শেষ। দোকনের মাল রয়েছে কিন্তু টাকা নাই, কিভাবে সংসার চলবে।
তেলগ্যাস খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতিয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, মধ্যবিত্তরা চলতেও পারেনা বলতেও পারেনা, এই অবস্থায় মধ্যবিত্তদের পাশে দাড়ানো একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, এই মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর পাশে এখনই না দাড়াঁলে তাদের অনেক সমস্যা হবে।
একই কথা বলেন নদী বাচাঁও আন্দোলনের ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক ডাক্তার ওয়াজেদুর রহমান বাবলু। তিনি বলেন ,কৃষক পরিবার গুলো এখন থেকে মীল মালিকের নিকট পানির দরে ধান বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে তাদের ধানের সব টাকা নিলেও পরিবারের চাহিদা পুরণ হবেনা। আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আরো ক্ষতিগ্রস্থঘ হয়ে পড়বে। এই জন্য তিনি এই মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোকে বাঁচাবার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।