ফুলবাড়ীতে আদিবাসী মহালী পরিবারের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে।
https://www.obolokon24.com/2020/04/Corona_36.html
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের জয়নগর আদিবাসী মহালীপাড়া গ্রামের ৩০টি পরিবারের দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সবাইকে ঘরে থাকার তাগিদ দেয়া হলেও পেটের দায়ে জীবন বাজি রেখে দু-চারটে ঝুড়ি,ডালা তৈরি করে বাজারে ছুটছে মালাহী সম্প্রদায়। এদিকে গ্রামীন হাট-বাজার সীমিত করার ফলে বাঁশের তৈরি এসব জিনিস বিক্রি করতে না পেরে রিক্ত হস্তেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের,এমতাবস্থায় কখনো বা অর্ধাহারে আবার কোখনো বা অনাহারে কাটাতে হচ্ছে ফুলবাড়ী উপজেলার জয়নগরের মাহালীদের জীবন।
কেউ খোজ রাখেনি তাদের। মাহালীরা তাদের একমাত্র পেশা বাঁশের আসবাবপত্র তৈরী করে হাট-বাজারে বিক্রি করে সংসার চালান। এখন কারোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে গ্রামের হাট-বাজার বন্ধ। বন্ধ হয়েছে তাদের আয় রোজগার। ঘরে যা জমানো ছিল সবই শেষ হয়েগেছে। এখন প্রর্যন্ত তাদেরকে কেউ ত্রান দেয়নি। সারা বছর যে এনজিও (বে-সরকারী সংস্থা) আদিবাসী বা নৃ-তান্ত্রিক জনগোষ্টির অধিকার আদায়ের জন্য সভা-সেমিনার করে, তারাও খোঁজ নেয়না আর । ঘরে খাবার না থাকায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের।
জয়নগর আদিবাসী মহালী গ্রামের বাসীন্দা পঞ্চাশ উর্দ্ধ বয়সী রবীদাস মহালী বলেন, আামরাতো বাঁশের আসবাব পত্র তৈরী করে হাটে বিক্রি করি। এখন হাট-বাজার বন্ধ তাই আমাদের তৈরী পণ্য বিক্রি হচ্ছেনা। ঘরে খাবার নেই, কেউ ত্রানও দেয়নি। তিনি জানান, তিনিসহ তার পরিবারের ৫জন সদস্য গতকাল শনিবার সকালে সামান্য চাল দিয়ে ভাতের ফেনসহ খেয়েছেন, এখন তার ঘরে এক মুঠো চালও নেই। একই অবস্থা জয়নগর মহালীপাড়া গ্রামের সুকলা সরেন, রবীদাস সরেন, রমেস মাড্ডিসহ ওই গ্রামের ৩০-৩২টি পরিবারের। তারা সকলে বাঁশের আসবাব পত্র তৈরী করে হাটে-বাজারে বিক্রি করে। করোনা সংক্রমন রোধে এখন হাট-বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, তাদের এই পেশা বন্ধ হয়ে গেছে।
এই বিষয়ে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন সেখানে (জয়নগর গ্রামে) এক নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এনামুল হকের মাধ্যেমে ত্রান দেয়া হয়েছে। এদিকে ওয়ার্ড সদস্য এনামুল হক জানান জয়নগর গ্রামে ৮০টি দরিদ্র পরিবার রয়েছে, সেখানে তিনি ত্রান পেয়েছেন মাত্র ৩০টি পরিবারের জন্য, এই কারনে অনেক পরিবারকে ত্রান দেয়া সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ত্রান পৌছে দেয়ার আশ্বাস দেন।