নাগেশ্বরীর গাগলায় অবাধে বালু উত্তোলন হুমকীতে সড়ক, সেতু, মসজিদ ও বাজার
https://www.obolokon24.com/2020/03/kurigram26.html
হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের গাগলা বাজারের পাশে নাগেশ্বরী-ফুলবাড়ী সড়কের গিড়াই নদীর উপর সেতুর পাশ থেকে অন্তত পাঁচটি ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলছে একটি মহল। এতে হুমকীর মুখে পড়েছে সড়ক ও সেতু, মসজিদ, গাগলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার সংলগ্ন কয়েকটি দোকান এবং আশপাশের কয়েকটি বাড়ি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশসান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাগেশ্বরী-ফুলবাড়ী হয়ে লালমনিরহাট সড়কের গাগলা বাজার লাগোয়া গিড়াই নদীর উপর নির্মিত সেতু ঘেঁষে দক্ষিণে দুটি ডিজেল চালিত ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বেশকিছুদিন থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে স্থানীয় নেওয়াশী ইউনিয়নের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে এমদাদুল হক ও জায়দুল হক। তাদের সাথে প্রভাবশালী একটি মহল জড়িত রয়েছে।
বেশ কিছুদিন বালু তোলার কারণে চারদিকের ফসলি জমির পাড় ভাঙ্গতে শুরু করেছে। মারাত্মক হুমকীতে পড়েছে গাগলা বাজার, বাজারের কয়েকটি দোকান, মসজিদ ভবন, বালিকা বিদ্যালয়, সড়কের উপর সেতু, ফসলী জমি, বসত বাড়িসহ নানা স্থাপনা। স্থানীয় লোকজন ক্সতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কায় বিষয়টি নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এতে উপজেলা প্রমাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। পরে মঙ্গলবার সকালে গাগলা বাজার জামে মসজিদের পাশে এলাকাবাসী তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন করে। এ সময় বাজার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল হক, সন্তোষপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম, শামিম তালুকদারসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। যেকোন মূহুর্তে গিড়াই নদীর উপর নাগেশ্বরী-ফুলবাড়ী সড়কের গাগলা বাজারের মাঝখানের সেতুটি ধ্বসে পড়তে পারে। মসজিদের তিনতলার কাজ চলছে। এ ভবনটিও হুমকীর মূখে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল হক বলেন, যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সড়ক, মসজিদ, ব্রীজ সক হুমকীতে পড়েছে। অথচ আমরা প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ দেখছিনা। কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে বালু তুলতে নিষেধ করায় অনেককে হুমকী ধামকী দেয়া হয়েছে। এ কারণে অনেক ভীত হয়ে আছে। গাগলা বাজার বণিক সমিতির সভাপতিও একই অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে সন্তোষপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ মোহন্ত বলেন বিষয়টির পরিস্থিতি আমি ইউএনও ও এসিল্যান্ড স্যারকে জানিয়েছি।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাসুম বলেন, সংশ্লিস্ট তহশলিদারকে (ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) দায়িত্ব দেয়ার পর তিনি বদলি হওয়ার কারণে নতুন একজন যোগদান করেছে। নতুন করে অভিযোগটি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের গাগলা বাজারের পাশে নাগেশ্বরী-ফুলবাড়ী সড়কের গিড়াই নদীর উপর সেতুর পাশ থেকে অন্তত পাঁচটি ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলছে একটি মহল। এতে হুমকীর মুখে পড়েছে সড়ক ও সেতু, মসজিদ, গাগলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার সংলগ্ন কয়েকটি দোকান এবং আশপাশের কয়েকটি বাড়ি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশসান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাগেশ্বরী-ফুলবাড়ী হয়ে লালমনিরহাট সড়কের গাগলা বাজার লাগোয়া গিড়াই নদীর উপর নির্মিত সেতু ঘেঁষে দক্ষিণে দুটি ডিজেল চালিত ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বেশকিছুদিন থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে স্থানীয় নেওয়াশী ইউনিয়নের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে এমদাদুল হক ও জায়দুল হক। তাদের সাথে প্রভাবশালী একটি মহল জড়িত রয়েছে।
বেশ কিছুদিন বালু তোলার কারণে চারদিকের ফসলি জমির পাড় ভাঙ্গতে শুরু করেছে। মারাত্মক হুমকীতে পড়েছে গাগলা বাজার, বাজারের কয়েকটি দোকান, মসজিদ ভবন, বালিকা বিদ্যালয়, সড়কের উপর সেতু, ফসলী জমি, বসত বাড়িসহ নানা স্থাপনা। স্থানীয় লোকজন ক্সতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কায় বিষয়টি নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এতে উপজেলা প্রমাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। পরে মঙ্গলবার সকালে গাগলা বাজার জামে মসজিদের পাশে এলাকাবাসী তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন করে। এ সময় বাজার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল হক, সন্তোষপুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম, শামিম তালুকদারসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। যেকোন মূহুর্তে গিড়াই নদীর উপর নাগেশ্বরী-ফুলবাড়ী সড়কের গাগলা বাজারের মাঝখানের সেতুটি ধ্বসে পড়তে পারে। মসজিদের তিনতলার কাজ চলছে। এ ভবনটিও হুমকীর মূখে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল হক বলেন, যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সড়ক, মসজিদ, ব্রীজ সক হুমকীতে পড়েছে। অথচ আমরা প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ দেখছিনা। কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে বালু তুলতে নিষেধ করায় অনেককে হুমকী ধামকী দেয়া হয়েছে। এ কারণে অনেক ভীত হয়ে আছে। গাগলা বাজার বণিক সমিতির সভাপতিও একই অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে সন্তোষপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ মোহন্ত বলেন বিষয়টির পরিস্থিতি আমি ইউএনও ও এসিল্যান্ড স্যারকে জানিয়েছি।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাসুম বলেন, সংশ্লিস্ট তহশলিদারকে (ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) দায়িত্ব দেয়ার পর তিনি বদলি হওয়ার কারণে নতুন একজন যোগদান করেছে। নতুন করে অভিযোগটি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।