চীন ফেরত নীলফামারীর ৩৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইন
https://www.obolokon24.com/2020/03/Coronw.html
নীলফামারী প্রতিনিধি ১২ মার্চ॥ নীলফামারীতে চীন থেকে ফেরত আসা ব্যক্তি ৩৫ জন। তাদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইন সমাপ্ত হয়েছে ৩৪ জনের। বর্তমানে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন একজন। তারা সকলে শঙ্কামুক্ত বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ছাড়া সদর আধুনিক হাসপাতালে নবেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার(১২ মার্চ/২০২০) জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলায় চীন থেকে ফেরত এসেছেন ৩৫ জন। তাদের মধ্যে জেলা সদরে ৮জন, ডোমার উপজেলার ৮জন, ডিমলা উপজেলার ৬জন, জলঢাকা উপজেলায় ৬জন, সৈয়দপুর উপজেলার ৪জন এবং কিশোরীগঞ্জ উপজেলার তিন জন রয়েছেন। এর মধ্যে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ফেরত আসা ৩৪ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন সমাপ্ত হয়েছে অনেক আগে। তারা শঙ্কামুক্ত হওয়ায় বর্তমানে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে। চলতি মার্চ মাসের পহেলা তারিখে চীন থেকে জেলার জলঢাকা উপজেলার গ্রামের বাড়িতে এসেছেন ২১ বছর বয়সী এক যুবক। তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার সময় পার হয়েছে ১১ দিন। এখন পর্যন্ত তার মধ্যে কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
ওই সূত্র জানায়, ৩৫ জনের মধ্যে গত বছরের ১ ডিসেম্বর চীন থেকে বাড়িতে এসছিলেন এক জন। এরপর জানুয়ারী মাসে ১৩ জন, ফেব্রুয়ারী মাসে ২০ জন এবং চলতি মার্চ মাসে এক জন।
নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ওই য্বুক মুঠোফোনে সুস্থ্য থাকার কথা জানিয়ে বলেন, আমি চায়নার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আমি সচেতন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারী দেশে এসে ২৯ ফেব্রয়ারী থেকে বাড়িতে অবস্থান করছি। এর মধ্যে কোয়ারেন্টাইনের সময় প্রায় শেষ। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কয়েক দফায় বাড়িতে এসেছিলেন। ফোনে বিভিন্ন সময় খোঁজ খবর নিয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিত কুমার বর্মন বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীরা এসব ব্যক্তির নিয়মিত দেখা শোনা করছেন। আমরাও গিয়ে তাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলছি। হোম কয়েন্টাইনের বিষয়ে বলেন, তারা নির্দিষ্ঠ সময় পর্যন্ত তাদের নিজ বাড়ির একটি ঘরে থাকবেন। ওই সময়ের মধ্যে পরিবারের সদস্যরা তাদের সংস্পর্শে আসবেন না। এ ছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এজন্য আধুনিক সদর হাসপাতালে ৫০শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রয়েছে থার্মারস্কানার, প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং ঔষধ পত্র।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, আপাতত জনসমাগম ঘটে এমন সব অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে। উদ্বেগ বা আতংক নয় বরং আমরা সচেতনতা সৃষ্টি করি। তিনি বলেন দেশের বাহিরে থেকে যারা আসবেন, তাদের তথ্য জেলাপ্রশাসনের কাছে সংরতি থাকবে। এছাড়া তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে।