টানা শীতে আড়ষ্ট ডিমলা বাসী


ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী প্রতিনিধি ২৪ জানুয়ারি॥ টানা কনকনে শীতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে হিমালয়ঘেষা উত্তরের জনপদ নীলফামারী। বিশেষ করে তিস্তা নদী বিধৌত ডিমলা উপজেলাবাসী এই শীতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দীর্ঘস্থায়ী হতে যাওয়া এ শীত এই জনপদের মানুষেকে আড়ষ্ট করে তুলেছে।
কয়েকদিন চলা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা । গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পর গত চার দিন ধরে বরফ ছোয়া হিম বাতাস হাত ও পা অবস করে তুলছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে নীলফামারী জেলায়। উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা। কুয়াশার মাত্রা কম হলেও হিমেল হাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত চলে তীব্র ঠান্ডা। ভোর থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কুয়াশা ঘিরে রাখে কয়েক ঘন্টা। এই সময়ে গ্রামগঞ্জের মানুষ খড়-কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহায়। 
অন্যদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। উত্তরের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা আবহাওয়া অফিস জানায় আজ শুক্রবার(২৪ জানুয়ারি/২০২০) এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে শীতের তীব্রতা বেশী। 
এলাকাবাসী জানায়, তিস্তা নদীর ঠান্ডা হাওয়া শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ এবং শীতজনিত নানা রোগ। শুধু মানুষ নয়, শীতের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না প্রাণীকুলও। তিস্তার বুকের ওপর গড়ে ওঠা চরের সংখ্যা প্রায় ২৫টি। এসব চরে বাস করে এক লাখ মপরিবার। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নিম্নআয়ের এবং দিন মজুর। 
চরবাসীদের অভিযোগ শীতে কষ্ট পেলেও চরে বসবাসরত এসব মানুষের হাতে পৌঁছায় না কোনো ধরনের শীতবস্ত্র। নদী তীরবর্তী চরের মানুষ হিসেবে তারা অনেক কষ্ট সহিষ্ণু হলেও এবারের শীত তাদের কাবু করেছে।
ডিমলা উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম জানান, সরকারের বরাদ্দকৃত প্রায় ১০ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য ছিল। তিনি আরো ২০ হাজার কম্বল বরাদ্দের দাবি করেন। # 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2354002351032738286

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item