আটোয়ারীতে ভুয়া প্রশিক্ষকের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্চিত

সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড়ঃ

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় বায়োফ্লক পদ্ধতির মাধ্যমে চৌবাচ্চায় কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে বেশি লাভ জনক ব্যবসা দেখিয়ে মাছ চাষের ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবের মাধ্যমে প্রচার এবং প্রশিক্ষণের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা এতে মারাত্বক ভাবে প্রতারিত হচ্ছে যুবকরা।আটোয়ারী উপজেলার ছোট দাপ এলাকার মৃত দবিরুল ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার কবীর সজল তিনি বায়াফ্লক পদ্ধতির মাধ্যমে চৌবাচ্চায় কৃত্রিম পরিবেশে অধিক মুনাফা এবং মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ভিডিও তৈরি করে এনি বিডি নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করায়।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বেকার যুবকরা এই বায়াফ্লক মৎস্য চাষে ও প্রশিক্ষণ নিতে অনেক বেকার যুবক তার সাথে যোগাযোগ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক মাস আগে তার নিজ বাড়ির উঠানে একটি কৃষি প্রজেক্ট তৈরি করে যার কোন অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে বড় ধরণের লোকসান গুনতে হয় তাকে। সেই লোকসানের রেশ কাটতে না কাটতে আবার নতুন ফাদ তৈরি করে সজল মৎস্য চাষের একটি বায়োফ্লক প্রজেক্ট তৈরি করে ।

এদিকে দুই মাসে ৭ লক্ষ টাকা লাভজনক ব্যবসা দেখিয়ে বায়াফ্লক মৎস্য চাষের ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে প্রচার করে ব্যাপক সাড়া পায় সে এবং ইউটিউব চ্যানেলে তার ফোন,ইমেল,ইমো ব্যবহার করে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আগ্রহী ব্যক্তিরা তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলে আমি ভারতের ক্যারেলায় প্রশিক্ষণ করেছি এবং নিজেই এখন কাজ থেকে দেশে তার নিজের বাড়িতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। দেশের বিভিন্ন এলাকার থেকে আসা প্রতিজনের কাজ থেকে পাঁচ হাজার টাকা অগ্রীম প্রশিক্ষণ ফি নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

প্রশিক্ষণে তিনি বলেন শুধু প্রাথমিক ধারণা পেয়েছি তবে বায়োফ্লক প্রজেক্ট অনেক ব্যয় বহুল , তিনি আরও জানান প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করেন শাহরিয়ার কবীর সজল। তিনি নিজের পরিচয় দেয় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ভারতের ক্যারেলা থেকে মৎস্য চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে যা সন্দেহ জনক।

এ বিষয়ে ১৬ নভেম্বর শনিবার দৈনিক খোলা কাগজ, বাংলাদেশের খবর, ডেইলি ট্রিবিউন, নবচেতনা, আলোকিত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সমাচার পঞ্চগড় জেলা সংবাদকর্মী হিসেবে তথ্য সংগ্রহ করতে শাহরিয়ার কবীর সজলের বাসায় গেলে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ি সুনিদ্রিষ্ট তথ্য ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ভারতের ক্যারেলা থেকে মৎস্য চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে আসার প্রশিক্ষণ সনদ দেখতে চাইলে সজল এবং তার মা শামসুর নাহার সামু চড়াও হয়ে সংবাদকর্মীদের উপর অশ্লীল ভাষায় গলিগালাজ ও লাঞ্চিত করে এবং কোন প্রকার তথ্য না দিয়ে সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন ধরনের খারাপ অপবাদ দিয়ে থাকেন পরিশেষে তারা সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।
 দৈনিক খোলা কাগজের পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি রাসেদুজ্জামান রাসেদ সাংবাদিক লাঞ্চিতের বিষয় টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে প্রশাসনের সহযোগিতায় সাংবাদিকরা চলে আসে । এসব বিষয় পরবর্তীতে খতিয়ে দেখবে বলে আশ্বস্ত করে আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ইজার উদ্দিন।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড.আফতাব হোসেন জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে অপমানিত  হয়েছে । তিনি লিখিতভাবে নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ করেন। তিনি আরোও বলেন সনদ ছাড়া কেউ প্রশিক্ষণ দিতে পারবে না।

আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা জানান, বায়োফ্লক প্রশিক্ষনের সনদ না থাকার কারণে হয়ত আপনাদের সাথে আচরন খারাপ করেছে।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 2967772885894092150

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item