কিশোরগঞ্জে বিনা খরচে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার পাচ্ছে মানুষ

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ অল্প সময়ে,স্বল্প খরচে সঠিক বিচার পেতে চলো যাই গ্রাম আদালতে।  স্থানীয় সরকার বিভাগের বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়ের) আওতায় গ্রামের মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি সহজ করতে দেশব্যাপি গ্রাম আদালত চালু হওয়ার পর এর সুফল পাচ্ছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গ্রামঞ্চলের সাধারন বিচারপ্রার্থী মানুষ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ইউনিয়ন পরিষদ সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ছোটখাটো বিরোধ, ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলা সহ যে কোন মামলায় বিচারকার্য পরিচালনায় আইনজীবি না লাগায় বিনা খরচেই মিলছে প্রতিকার। আর বিশেষ করে দ্রূত  বিচার নিষ্পত্তি ও অল্প খরচে বিচার শেষ হওয়ায় খুসি বাদী বিবাদী দুপক্ষই। কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের সবকটিতে গ্রাম আদালত চালু থাকায় গ্রামের মানুষরা তাদের ছোট খাটো যে কোন সমস্যা সমাধান করার জন্য দারস্থ হচ্ছে গ্রাম আদালতের। আর বিচার প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুপক্ষের পছন্দের মেম্বারদের নিয়ে গঠন করা হয় বিচারক প্যানেল। আর গ্রাম আদালতের প্রধান হিসাবে থাকেন সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তারা অভিযোগের উপর আলোচনা করে বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেন। ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার হওয়ার কারনে যাতায়াতে কোন খরচ লাগেনা সময়ও লাগে কম। অপর দিকে গ্রাম আদালত পরিচালনা করতে গেলে আইনজীবীও লাগেনা।
বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের বাসিন্দা জাফর আলী। জাফর আলীর বাড়ির বসতভিটা নিয়ে ভগ্নিপতি রোকন মিয়া ও নাসির হোসেনের পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হলে কথাকাঁটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। পরে জাফর আলী বাদী হয়ে বিবাদীদের নামে গ্রাম আদালতে গত ২৫/১০/১৯ ইং তারিখে  একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর -৩২।  পরে গ্রাম আদালতে কোন প্রকার খরচ ছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেন বিচারক।
চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাহফুজার রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ৫ সদস্যের একটি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে গ্রাম আদালত পরিচালনা হয়ে থাকে। নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাম আদালতের প্রতিটি মামলা তিনমাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নিয়ম রয়েছে।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিক বলেন, আমার ইউনিয়নে মামলা মোকদ্দমা লেগেই থাকত। অনেক সময় দুপক্ষের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে তৃতীয় পক্ষের কোন ব্যাক্তি নিজের ফায়দা হাসিলের জন্য থানায়  মামলা করতে উৎসাহ দিত। কিন্তু আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গ্রাম আদালতের মাধ্যমে অনেক সমস্যা সমাধান করে দিয়েছি। যেটা সম্ভব হয়না সেটা কোর্টে অথবা থানায় পাঠিয়ে দেই।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রামের মানুষজন  যাতে করে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলাগুলো স্বল্প সময়ে এবং বিনা খরচে প্রতিকার পায় সেজন্য প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে গ্রাম আদালত শক্তিশালী করতে বলা হয়েছে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 989925804285203316

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item