কিশোরগঞ্জে দুর্গা মন্ডপের চাল বিক্রি লাখ লাখ টাকা সিন্ডিকেটের পকেটে
https://www.obolokon24.com/2019/10/kisargang_8.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চত্রেুর কারসাজিতে ১৩৪ দুর্গাপূজা মন্ডপে অনুদান হিসাবে ৬৭ মেট্রিক টন সরকারি চাল লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুর্নীতিবাজ এই সিন্ডিকেট চক্র উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অসাধু সদস্য ও সরকারী খাদ্য গুদামের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজস করে বিভিন্ন পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গুরত্বর অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার তালিকাভুক্ত ১৩৪ টি পুজা মন্ডবের জন্য শারদীয় দুর্গা পুজা উপলক্ষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৪৬৫ নং স্বারক মুলে ৬৭ মেট্রিক টন জি আর চালের বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত চাল প্রতিটি পুজা মন্ডবের সভাপতি ও সম্পাদকদের নামে ৫০০ কেজি হারে চালের ডিও প্রদান করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি মূল্য ৩৬ টাকা কেজি হিসাবে ৫০০ কেজি চালের বাজার মুল্য ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলা ডিও ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে নামমাত্র মুল্যে সেই চাল বিক্রি করে প্রত্যেক পুজা মন্ডবের সভাপতি ও সম্পাদকদের হাতে ৮ হাজার ৫শ করে টাকা বিতরন করেন।
বড়ভিটা জুড়াবান্ধা সার্বজনিন পুজা মন্ডবের সভাপতি শ্রী ডালিম চন্দ্র জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে সরাসরি প্রতিটি পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদকদের নামে ডিও হলেও উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির নেতারা আমাদের কাছ থেকে ডিও নিয়ে ৮ হাজার ৫ শ টাকা করে দিয়েছে। ওই ৮ হাজার ৫শ টাকা থেকে আরো ৫ শ টাকা করে কেঁটে নিয়েছেন নেতারা।
রণচন্ডি ইউনিয়নের সোনাকুড়ি সার্বজনিন পুজা মন্ডবের সভাপতি সুবাস চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের নামে ডিও হলে পুজা উৎযাপন পরিষদের নেতারা আমাদের কাছ থেকে ডিও নিয়ে ৮ হাজার ৫ শ টাকা দিয়েছে। তার মধ্যে ৫ শ টাকা তারা কেঁটে নিয়েছেন।
এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পুজা মন্ডবের তালিকা তৈরিতেও অভিযোগ করেছেন হিন্দু ধর্মালম্বিদের অনেকে। তারা অভিযোগ করে জানান, যে সমস্ত পুজা মন্ডবে ১৫ টি হিন্দু পরিবার পুজা করে তারা সরকারী বরাদ্দ পেয়েছেন , অথচ ৫০ থেকে একশোটি পরিবার পুজা করে এরকম মন্ডব তালিকায় না আসায় তারা সরকারী বরাদ্দ পায়নি।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের আরাজি গাড়াগ্রাম শ্যামাপুজা কালিন্দিরের সভাপতি প্রমথ চন্দ্র রায় বলেন , আমাদের পুজা মন্ডবটিকে একশোটি পরিবার পুজা করে তারপরও আমরা সরকারী তালিকাভুক্ত না হওয়ায় কোন অনুদান পাইনি।
উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক ফনি ভুষন মজুমদার বলেন, বর্তমান বাজার মুল্যে চাল বিক্রি করে সব পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদকদের হাতে টাকা দেয়া হয়েছে। ৫ শ করে টাকা কেঁটে নেওয়ার কথা স্বীকার তিনি বলেন বিভিন্ন খরচ বাবদ ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহম্মেদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিদান্ত অনুযায়ী প্রতিটি পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদককে চিহ্নিত করে ডিও প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুজা মন্ডবের চাল বিতরনের ক্ষেত্রে কোন অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
দুর্নীতিবাজ এই সিন্ডিকেট চক্র উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অসাধু সদস্য ও সরকারী খাদ্য গুদামের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজস করে বিভিন্ন পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গুরত্বর অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার তালিকাভুক্ত ১৩৪ টি পুজা মন্ডবের জন্য শারদীয় দুর্গা পুজা উপলক্ষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ৪৬৫ নং স্বারক মুলে ৬৭ মেট্রিক টন জি আর চালের বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত চাল প্রতিটি পুজা মন্ডবের সভাপতি ও সম্পাদকদের নামে ৫০০ কেজি হারে চালের ডিও প্রদান করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি মূল্য ৩৬ টাকা কেজি হিসাবে ৫০০ কেজি চালের বাজার মুল্য ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলা ডিও ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে নামমাত্র মুল্যে সেই চাল বিক্রি করে প্রত্যেক পুজা মন্ডবের সভাপতি ও সম্পাদকদের হাতে ৮ হাজার ৫শ করে টাকা বিতরন করেন।
বড়ভিটা জুড়াবান্ধা সার্বজনিন পুজা মন্ডবের সভাপতি শ্রী ডালিম চন্দ্র জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে সরাসরি প্রতিটি পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদকদের নামে ডিও হলেও উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির নেতারা আমাদের কাছ থেকে ডিও নিয়ে ৮ হাজার ৫ শ টাকা করে দিয়েছে। ওই ৮ হাজার ৫শ টাকা থেকে আরো ৫ শ টাকা করে কেঁটে নিয়েছেন নেতারা।
রণচন্ডি ইউনিয়নের সোনাকুড়ি সার্বজনিন পুজা মন্ডবের সভাপতি সুবাস চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের নামে ডিও হলে পুজা উৎযাপন পরিষদের নেতারা আমাদের কাছ থেকে ডিও নিয়ে ৮ হাজার ৫ শ টাকা দিয়েছে। তার মধ্যে ৫ শ টাকা তারা কেঁটে নিয়েছেন।
এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পুজা মন্ডবের তালিকা তৈরিতেও অভিযোগ করেছেন হিন্দু ধর্মালম্বিদের অনেকে। তারা অভিযোগ করে জানান, যে সমস্ত পুজা মন্ডবে ১৫ টি হিন্দু পরিবার পুজা করে তারা সরকারী বরাদ্দ পেয়েছেন , অথচ ৫০ থেকে একশোটি পরিবার পুজা করে এরকম মন্ডব তালিকায় না আসায় তারা সরকারী বরাদ্দ পায়নি।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের আরাজি গাড়াগ্রাম শ্যামাপুজা কালিন্দিরের সভাপতি প্রমথ চন্দ্র রায় বলেন , আমাদের পুজা মন্ডবটিকে একশোটি পরিবার পুজা করে তারপরও আমরা সরকারী তালিকাভুক্ত না হওয়ায় কোন অনুদান পাইনি।
উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক ফনি ভুষন মজুমদার বলেন, বর্তমান বাজার মুল্যে চাল বিক্রি করে সব পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদকদের হাতে টাকা দেয়া হয়েছে। ৫ শ করে টাকা কেঁটে নেওয়ার কথা স্বীকার তিনি বলেন বিভিন্ন খরচ বাবদ ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহম্মেদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিদান্ত অনুযায়ী প্রতিটি পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদককে চিহ্নিত করে ডিও প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুজা মন্ডবের চাল বিতরনের ক্ষেত্রে কোন অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।