কুড়িগ্রামের চাতরার দোলার জলাবদ্ধতা কপাল পুড়েছে ২ সহস্রাধিক কৃষকের

হাফিজুর রহমান হৃদয়,  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চাতরার দোলার স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারনে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি কৃষকের কপাল পুড়েছে। দু’টি ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে প্রায় দুই হাজার কৃষকের ৮০০ একর জমিতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। ধানচাষ করতে না পারায় আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় কৃষকরা।


এছাড়াও, বর্ষা মৌসুমে কয়েক শতাধিক ঘর-বাড়িতে পানি উঠে যায়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ১/২ সপ্তাহ লেগে যায় ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে যেতে। তখন ছোট শিশু, বৃদ্ধলোক, গবাদিপশু নিয়েও পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। জলাবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে বেড়ে যায় কীট-পতঙ্গ আর মশা-মাছির উপদ্রব। জলাশয়ের নোংরা পানি ব্যবহারের ফলে দেখা দেয় নানান পানিবাহিত রোগের।


জানা গেছে, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের পানিমাছকুটি ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের নদিরকুটি, ভুড়িয়ারকুটি, জাকলাটারী, বলদিটারী ও ফকির পাড়া গ্রামের মধ্যস্থলে অবস্থিত প্রায় ৮০০ একর জমিতে বোরো,  আমন ধানসহ বিভিন ফসল এবং রাস্তা ও বাড়ির আশে পাশে শাক-সবজির চাষ করতো কৃষকেরা। পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি নালাও ছিল আগে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সে নালাটি বন্ধ হয়ে যায়। নালাটিতে বাঁধ দিয়ে পুকুর ও মাটি ভরাট করে কিছু ঘর-বাড়িও নির্মাণ করা হয়েছে। একারনেই গত ১৮/২০ বছর থেকে এ সব জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে। এ জলাভূমি বর্তমানে চাতরার দোলা ও ছড়ার পাড়ের দোলা নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনের দ্বারে বারবার আবেদন করেও কিছু করতে পারেনি।

শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ মজিবর রহমান জানান, এক সময় আমাদের এ দোলায় আমন বা আউষ ধানের চাষ হতো। কিন্ত স্থায়ী ভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ফসলি জমিগুলো অনেক পানির নিচে তলিয়ে থাকে। যার ফলে ফসল ফলানো সম্ভব হয় না। আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে ঊর্ধতন কর্তপক্ষ বরাবর লিখিত ও মৌখিকভাবে আবেদন করেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো:  এজাহার আলী জানান, আমরা আমাদের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ এর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং বলেছেন যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী ভাবে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করে দিবেন।  পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি পাকা ক্যানেল তৈরী করে ফুলবাড়ীর ছড়ার সঙ্গে সংযাগ স্থাপন করা হবে। এটা হলেই সেখানকার জলাবদ্ধতার অবসান ঘটবে।

পুরোনো সংবাদ

কুড়িগ্রাম 963900539182384839

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item