দেবীগঞ্জে আউশ ধানের বাম্পার ফলন

মোঃ মোজাহারুল আলম জিন্নাহ্ (রানা),সিনিয়র রিপোর্টার-
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সদর ইউনিয়নের তিস্তার হাট এলাকার চাষী আব্দুল হাই জানায়, পতিত পড়ে থাকা জমিতে ব্রি-৮২ জাতের ধান রোপন করেছিলাম এতে একরে তার খরচ হয়েছে বীজ ৫শত টাকা, বীজ তলা তৈরী- ১ হাজার টাকা, চারা রোপন বাবদ ৩ হাজার টাকা, সার ২৩শত ৫০ টাকা, কীটনাশক ২ হাজার ৫০ টাকা, আভন্তরিন পরিচালনা খরচ ২ হাজার টাকা, সেচ খরচ ২ হাজার টাকা, লেবার খরচ ২ হাজার টাকা, কর্তন ও মাড়াই ৪ হাজার টাকা। এক একর জমিতে মোট খরচ হয়েছে ১৮ হাজার ৯০০শত টাকা। একর প্রতি ৬০ মন হারে ধান উৎপন্ন হয়েছে বলে জানান ঐ কৃষক । ৬শত টাকা মন হিসাবে বিক্রি করলে ৬০ মন ধানের দাম হবে ৩৬০০০/Ñ হাজার টাকা। খড় বিক্রি বাবদ ৬ হাজার টাকা।
জানা গেছে, বোরো আবাদ উত্তোলনের পর খালি মাঠে আমন চাষের পূর্বেই এই ধানের চাষ হয়ে থাকে। এক সময় এ উপজেলাতে বোরো ধান আসার পর এ উপজেলাতে আউশ নামের ধানটি কালের বিবর্তনে বিলিন হয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমানে নানা প্রকার ব্রি-ধান আউশ ধান হিসাবে ব্যাপক হারে উৎপন্ন হতে যাচ্ছে। এতে চাষীরাও অত্যন্ত সহজ ও স্বল্প ব্যয়ে এ ধানের চাষ করা যায় বলে ক্রমশঃ আউশ ধানের আবাদ করতে উৎসাহী হয়ে উঠছে। একর প্রতি এ ধানের উৎপাদন ৫৫-৬৫মন হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান সুন্দরদিঘী ইউনিয়ন এলাকার চাষী গোলাম কিবরিয়া । তিনি এক একর জমিতে ব্রি- ৮২ ধান চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার টাকা। একর প্রতি ৬২ মন ধান উৎপাদন হইলে বাজার মূল্য হিসাবে বিক্রি হবে প্রায় ৩৭ হাজার টাকা। তার আয় হবে প্রায় ১৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। খড়গুলো বিক্রি করা যাবে ৬ হাজার টাকা। দন্ডপাল ইউনিয়ন এলাকার কৃষক প্রশান্ত কুমার রায় জানায় সে ৬০ শতক জমিতে ব্রি- জাতীয় ধান চাষ করেছে। তার জমিতে যে পরিমাণ ধান হয়েছে তাতে একর প্রতি ৬৫ মন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৪০০শত  টাকা প্রায়।

চাষীদের মতে বোরো ধান ঘরে উঠানোর পর কৃষি মাঠ ও কৃষক উভয়েই অবসরে থাকেন তাই ফসলটিকে অবসরি ফসল বলে আখ্যায়িত করেছেন গ্রাম বাংলার চাষীরা। এ এলাকাতে ব্রি-৪৮, ব্রি-৫৫, ব্রি-৮২ এ সব জাতের ধান চাষ করেছেন চাষীরা। এ ধান গুলোর আয়ুষ্কাল ৯৬ থেকে ১১০ দিনের মত। কৃষি অধিদপ্তর দেবীগঞ্জ উপজেলার তথ্যমতে, মার্চের শেষার্দে  বীজ বপন, মে মাসে চারা রোপন, আগষ্ট মাসে ধান কেটে আমন ধান সহজে রোপন করা যায়। কোন বিঘœ ঘটে না। অল্প সেচে স্বল্প খরচে সব মিলিয়ে ফসলটি খুবই লাভ জনক। তাই আউশ ধানের চাষ এ উপজেলাতে ক্রমেই বাড়ছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী ওজ্যোতিশ চন্দ্র রায় জানায়, এ ভাবে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হতে থাকলে ক্রমেই এ উপজেলার আবাদী জমি গুলোতে আউশ ধানের চাষ হবে আরও বেশী।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  শামীম ইকবাল জানান, এ উপজেলার মোট আবাদী জমির মধ্যে এ বছর ২১০হেক্টর জমিতে  আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছে এবং ব্রি-৮২ এবার প্রথম আবাদ।

পুরোনো সংবাদ

পঞ্চগড় 8031520394894514436

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item