কালীগঞ্জে ভুয়া ছাত্র দেখিয়ে অনুদান মঞ্জুরীর চেকের টাকা মাদ্রাসা সুপারের পকেটে!


নূর আলমগীর অনুঃ কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের স্বারক নং ৫৭.০০.০০০০.০৪৪.০২.০২৮.১৮-১৪৮ মতে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের রাজস্ব বাজেটে ছাত্র ছাত্রীদের অনুকুলে অনুদান মঞ্জুরীর চেকের টাকা মাদ্রাসায় সুপারের পকেটে।
এমনি অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভুল্ল্যারহাট আশরাফিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, মাদ্রাসা সুপার শফিকুল ইসলাম জেলা প্রশাসক লালমনিরহাট সাধারণ শাখা হতে গত ২৪ জুলাই ২০১৯ অত্র মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ওমর ফারুক শ্রেনী রোল নং ৫। নামে বরাদ্দকৃত ৫০০০ হাজার টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্বসাৎ করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভুল্ল্যারহাট আশরাফিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ওমর ফারুক নামে কোন ছাত্রকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে,ছাত্র/ছাত্রীদের হাজিরা রেজিষ্টার মোতাবেক ওমর ফারুক নামে কোন ছাত্র দেখাতে পারেনি। তবে২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ৮ম শ্রেনীর রেজিষ্ট্রেশনে ওমর ফারুক নাম পাওয়া যায়। তবে মাদ্রাসা সুপার স্বীকার করেন যে,ওমর ফারুক তাহার ছেলে এবং বর্তমানে সে ভূল্ল্যারহাট হাফিজিয়া মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত রয়েছে। এবছর ওমর ফারুক অত্র মাদ্রাসায় রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করেছে।
কিন্তুু অনুদান মঞ্জুরির চেকে ওমর ফারুক ৭ম শ্রেনী রোল নং ৫ দেখানো হয়েছে। কিন্তুু মাদ্রাসার পরীক্ষার ফলাফল শিটে ওমর ফারুক নামে কোন ছাত্রের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাস্তবে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ৭ম শ্রেনী রোল নং ৫ নামে ফরহাদ হোসেন নামে ছাত্রকে পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপারপুত্র এবং অত্র মাদ্রাসার ভুয়াছাত্র ওমর ফারুক নিজ মুখে স্বীকার করেন যে, তিনি আগে কখনই এ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেননি। এবার প্রথম বাবা মাদ্রসা সুপার তাকে শুধু পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এবার ৮ম শ্রেনীতে ভর্তি করান। তবে তিনি এখানে ক্লাস করেন না। এমনকি ৬ষ্ঠ বা ৭ম শ্রেনী তিনি এ মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন নাই।

স্থানীয় লোকজন জানান, বর্তমান সুপার বহিস্কৃত হয়েছিলেন। তাকে বহিস্কার করার পর তিনি মামলাও করেছিলেন কিন্তুু মামলার রায় তারপক্ষে না দেয়া সত্তেও কাদের ইশারায় এবং কাদের স্বার্থে রাতের আধারে তিনি এ পদে জোরপুর্বক পুনরায় বহাল আছেন।

মাদ্রসা সুপারের মামলার বিষয়ে সহকারী সুপার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন। এবং তিনি বলেন, বর্তমান সুপার বৈধ নন।

তাহাকে বহিস্কার করা হয়েছিল। এ গত ২৮/৩/২০১১ মাদ্রসা শিক্ষা বোর্ডের ১৫৮ তম সভায় শফিকুল ইসলামকে চুড়ান্ত ভাবে বহিস্কার করা হয়। এ আদেশ এর বিরুদ্ধে শফিকুল ইসলাম হাইকোটে রিট আবেদন করেন ১৯/৩/২০১৭ ইং তারিখে। যাহার মামলা নং ১০৩৯৬/২০১১ খারিজ।



ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক নুর জামাল নামের একজন জানান, আমার দুটি সন্তান মাদ্রাসা পড়ে আমরা কোন সুযোগ সুবিধা পাই না। আর সুপারের ছেলে মাদ্রাসা না পড়েই তার নামে সরকারী টাকা পায়।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সহকারী কর্মকর্তা মোছাঃ আফরোজা বেগম বলেন, আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূবক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান জানিয়েছেন, অভিযোগটি আমাদের কাছে আছে, শীঘ্রই নোটিশ করব।


পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 8496549867270818986

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item