রংপুর বিএডিসি’র কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স সমাচার হাট-বাজারের ধানও বীজ ধান!

মামুনুর রশিদ মেরাজুল রংপুর ব্যুরোঃ
পীরগঞ্জে হাট-বাজার থেকে ক্রয়কৃত ধান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) তালিকাভুক্ত কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সরা বীজ ধান হিসেবে দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, অন্যের জমি বর্গা নিয়েও বিএডিসি’র কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স তালিকাভুক্ত হয়ে বছরের পর বছর ধরে বীজ ধান সরবরাহ করারও অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে রংপুর বিএডিসি কর্তৃপক্ষ চাষীর অজ্ঞাতে বরাদ্দ দিয়ে বীজ ধান ক্রয় করছে। উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ভুজুবাড়ী গ্রামে ৩ চাষী ওই ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর অধীনে রংপুর কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সের তালিকাভুক্ত প্রকৃত চাষীদের জমিতে উৎপাদিত ধান বীজ ধান হিসেবে নির্দিষ্ট মুল্যে প্রতিবছরই ক্রয় করে। বিএডিসির পীরগঞ্জ ব্লকের অধীনে উপজেলার ভুজুবাড়ী গ্রামের ৩ প্রান্তিক চাষী জিয়াউর রহমান, মনিরুজ্জামান ও হামেদুজ্জামানও কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স। তাদের মধ্যে স্কীম লিডার জিয়াউর রহমান। স্কীমে জিয়াউর ও মনিরুজ্জামানের দেড় বিঘা করে মোট ৩ বিঘা (৫০ শতকের) জমি এবং হামেদুজ্জামানের জমি নেই। তারপরও উল্লেখিত ৩ চাষী বিএডিসি’তে ১৯ একর জমির কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। তারা প্রায় একযুগ ধরে রংপুর বিএডিসিতে প্রতি একরে ১ টন করে প্রতিবছরই ১৯ টন করে বীজ ধান দিয়ে আসছে।
সুত্র জানায়, সরকার চলতি বছর বিএডিসি’র কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্সদের কাছ থেকে প্রতি টন বীজ ধান ৩৮ হাজার টাকা দরে ক্রয় করছে। এবারে ধানের বাজার মুল্যে ধ্বস হওয়ায় বীজ ধান ক্রয়ে মুনাফা অনেক বেশি। যে কারণে পীরগঞ্জ ও রংপুর বিএডিসি’র একাধিক কর্মকর্তা ভুজুবাড়ীর প্রান্তিক চাষী জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে হাট-বাজার থেকে ধান ক্রয়ের পর অন্য চাষীর নামে বরাদ্দ দেখিয়ে বীজ ধান ক্রয় করছে। এ জন্য কর্মকর্তারা প্রতিটি ধানের বস্তায় (৭৫ কেজি) ১’শ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একাধিক বিশ^স্ত সুত্র জানিয়েছে, গত বছর ভুজুবাড়ীর জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার বস্তা (প্রায় ১০৭ টন) বোরোর বীজ ধান ক্রয় করেছে। ওই ধান ভেন্ডাবাড়ী হাট থেকে ক্রয় করা হয়। এবারও একই প্রক্রিয়ায় ধান বীজ সংগ্রহ করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই জিয়াউর রহমান কয়েকশত বস্তা ধান ভে-াবাড়ী হাট থেকে ক্রয় করে চাষীর অজ্ঞাতে নাম ব্যবহার করে রংপুর আলমনগরস্থ বিএডিসি’র গুদামে সরবরাহ করেছে। বিষয়টির তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এ ব্যাপারে বিএডিসি’র পীরগঞ্জ অফিসের ডিএডি (উপ সহকারী পরিচালক) হারুন মন্ডল জানান, আমরা মানসম্মত ধানই ক্রয় করে থাকি। রংপুর বিএডিসি’র ডিডি আবু তালেব মিয়া উৎকোচ নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, অবশ্যই চাষীর জমিতে উৎপাদিত ধানই ক্রয় করবো। হাট-বাজার থেকে ধান ক্রয় করা হলে তা নেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, যদি জমি মালিকের সাথে লীজ চুক্তি থাকে। তাহলে অন্যের জমি বর্গা নিয়েও কন্ট্রাক্ট গ্রোয়ার্স হতে পারে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 1383201765830328594

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item