কিশোরগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রে চিকিৎসক সংকট, সেবা বঞ্চিত রোগীরা,ডেন্টাল সার্জন আছে ডেন্টাল ইউনিট নেই
https://www.obolokon24.com/2019/05/kisargang.html
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রটিতে চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন রোগীরা। তিন লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবার ভরসাস্থল এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে ২৯ টি ডাক্তারের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৫জন।
কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্রটিকে বর্তমান সরকারের আমলে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উর্ত্তীণ করা হয়। গত ২০১৩ সালের ২৯ জুন তৎকালিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সম্প্রসারন ভবনটির উদ্ভোধন করেন। ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে মোট ২৯ টি ডাক্তারের পদ থাকলে কর্মরত আছেন মাত্র ৫ জন। কর্মরত ডাক্তাররা হলেন মেডিকেল অফিসার সুজাত শরীফ জেমস, বিপাশা রায়,নাফিসা সুলতানা, রেবেকা সুলতানা ও মাহফুজুর রহমান। হাসপাতালটিতে মেডিসিন কনসালটেন্ট , শিশু কনসালটেন্ট, সার্জারী,গাইনী, এনেসথেসিয়া, অর্থপেডিক্য্র, কার্ডিওলজি, চক্ষু, ইএনটি, চর্ম ও যৌন কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলে পদ গুলো শুন্য রয়েছে। সিনিয়র ষ্টাপ নার্স ১৯ জন থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন ১৪ জন। ১৪ জন সিনিয়র ষ্টাপ নার্সের মধ্যে ৪ জনকে সৈয়দপুর ও নীলফামারী সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালটিতে তৃতীয় শ্রেণীর ৪৩ টি কর্মচারীর পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ৩৫ জন এবং চতুর্থ শ্রেণীর ৩০ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ৭ জন। কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মেজবাহুল হাসান চৌধুরী বলেন, কিশোরগঞ্জ হাসপাতালটিকে ডাক্তার, নার্স,আয়া, পরিচ্ছনাতাকর্মী ছাড়াও আরো অনেক সমস্য রয়েছে। এর মধ্যে একমাত্র এক্য্ররে মেশিনটি গত তিন বছর থেকে নষ্ঠ । আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন নেই। ডেন্টাল সার্জন আছে কিন্তু ডেন্টাল ইউনিট নেই এবং ইর্মাজেন্সি মেডিকেল অফিসার নেই। এসব সমস্যার বিষয়ে বার বার উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে চিঠি দিলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। সর্বশেষ হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবগত করেছি।
নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন, আমি সংসদ সদস্য হিসাবে শফত নেওয়ার পর কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে জানতে পারি সে অনুযায়ী গত ১৮ ফেব্রয়ারী সংসদে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্সের জোড়ালো দাবি জানালে গত ৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি এ্যাম্বুলেন্স দেয়। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের ডাক্তারসহ বাকি সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।