শুভ নববর্ষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
https://www.obolokon24.com/2019/04/1426.html
আজ পয়লা বৈশাখ। জীর্ণ-পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে আনন্দ ও নতুন আশার বার্তা নিয়ে বাংলার ঘরে ঘরে আবার এল নববর্ষ। ১৪২৬ বঙ্গাব্দের এই প্রথম প্রভাতে আমরা সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
নববর্ষ এক আনন্দোৎসব। কেননা, তা আসে নতুন আশা নিয়ে, নতুন স্বপ্ন নিয়ে, নতুন প্রত্যয় নিয়ে। সব অশুভ ও অসুন্দরকে পেছনে ফেলে বৈশাখ আসে নতুনের কেতন উড়িয়ে।
পয়লা বৈশাখের উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য এর সর্বজনীনতা, এটি সব বাঙালির প্রাণের উৎসব। পৃথিবীতে প্রচলিত অধিকাংশ বর্ষপঞ্জির উৎপত্তি কোনো না কোনো ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত, কিন্তু বাংলা নববর্ষ একান্তই সাংস্কৃতিক ও বৈষয়িক। এর সঙ্গে ধর্মীয় অনুষঙ্গ নেই। এ উৎসবের প্রচলন ঘটে কৃষিকাজ ও খাজনা সংগ্রহের ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। পরে ব্যবসা-বাণিজ্যের দেনা-পাওনার হিসাব মেটানোর বিষয়টি এর সঙ্গে যুক্ত হয়, হালখাতা খোলা হয় পয়লা বৈশাখেই। আদিতে এটি ছিল গ্রামীণ উৎসব, তখন গ্রামে গ্রামে মেলা বসত, নানা রকমের খেলাধুলার আয়োজন হতো। পয়লা বৈশাখের দিন শুরু হওয়া কোনো কোনো মেলা পরবর্তী সপ্তাহ দুয়েক ধরে চলত। এখনো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব মেলা বসে।
কিন্তু পয়লা বৈশাখের উৎসব শুধু গ্রামাঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, শহরাঞ্চলেও বিস্তৃত হয়েছে। এখন শহুরে মধ্যবিত্তের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব পয়লা বৈশাখ। গ্রাম-শহর মিলিয়ে পয়লা বৈশাখ এখন সব বাঙালির সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। ধর্ম-সম্প্রদায়নির্বিশেষে বাংলা ভূখণ্ডের সব মানুষের প্রাণের উৎসব। এর মধ্য দিয়ে পরিস্ফুট হয় বাঙালির স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয়। পরাধীনতার কালে এই সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য আমাদের রাজনৈতিক চেতনাকে শাণিত করেছিল। তাই তো পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এ উৎসব আয়োজনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করত। আমরা সেই সব প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, সেই সংগ্রামের একটা অংশ ছিল ষাটের দশকে ঢাকায় রমনা বটমূলে সূচিত ছায়ানটের বর্ষবরণ উৎসব। সেই উৎসব আমাদের আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামকে বেগবান করেছে।
আসুন, আমরা নির্বিঘ্ন-নিরাপদ ও আনন্দমুখর পরিবেশে ১৪২৬ বঙ্গাব্দকে বরণ করি। নতুন বছর সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক। প্রীতি-ভালোবাসায় আনন্দ-উৎসবে দূর হয়ে যাক সব অশান্তি। পৃথিবী শান্তিময় হোক।নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত
সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো
নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ
নববর্ষ এক আনন্দোৎসব। কেননা, তা আসে নতুন আশা নিয়ে, নতুন স্বপ্ন নিয়ে, নতুন প্রত্যয় নিয়ে। সব অশুভ ও অসুন্দরকে পেছনে ফেলে বৈশাখ আসে নতুনের কেতন উড়িয়ে।
পয়লা বৈশাখের উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য এর সর্বজনীনতা, এটি সব বাঙালির প্রাণের উৎসব। পৃথিবীতে প্রচলিত অধিকাংশ বর্ষপঞ্জির উৎপত্তি কোনো না কোনো ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত, কিন্তু বাংলা নববর্ষ একান্তই সাংস্কৃতিক ও বৈষয়িক। এর সঙ্গে ধর্মীয় অনুষঙ্গ নেই। এ উৎসবের প্রচলন ঘটে কৃষিকাজ ও খাজনা সংগ্রহের ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। পরে ব্যবসা-বাণিজ্যের দেনা-পাওনার হিসাব মেটানোর বিষয়টি এর সঙ্গে যুক্ত হয়, হালখাতা খোলা হয় পয়লা বৈশাখেই। আদিতে এটি ছিল গ্রামীণ উৎসব, তখন গ্রামে গ্রামে মেলা বসত, নানা রকমের খেলাধুলার আয়োজন হতো। পয়লা বৈশাখের দিন শুরু হওয়া কোনো কোনো মেলা পরবর্তী সপ্তাহ দুয়েক ধরে চলত। এখনো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এসব মেলা বসে।
কিন্তু পয়লা বৈশাখের উৎসব শুধু গ্রামাঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, শহরাঞ্চলেও বিস্তৃত হয়েছে। এখন শহুরে মধ্যবিত্তের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব পয়লা বৈশাখ। গ্রাম-শহর মিলিয়ে পয়লা বৈশাখ এখন সব বাঙালির সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। ধর্ম-সম্প্রদায়নির্বিশেষে বাংলা ভূখণ্ডের সব মানুষের প্রাণের উৎসব। এর মধ্য দিয়ে পরিস্ফুট হয় বাঙালির স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয়। পরাধীনতার কালে এই সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য আমাদের রাজনৈতিক চেতনাকে শাণিত করেছিল। তাই তো পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এ উৎসব আয়োজনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করত। আমরা সেই সব প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, সেই সংগ্রামের একটা অংশ ছিল ষাটের দশকে ঢাকায় রমনা বটমূলে সূচিত ছায়ানটের বর্ষবরণ উৎসব। সেই উৎসব আমাদের আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামকে বেগবান করেছে।
আসুন, আমরা নির্বিঘ্ন-নিরাপদ ও আনন্দমুখর পরিবেশে ১৪২৬ বঙ্গাব্দকে বরণ করি। নতুন বছর সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক। প্রীতি-ভালোবাসায় আনন্দ-উৎসবে দূর হয়ে যাক সব অশান্তি। পৃথিবী শান্তিময় হোক।নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত
সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো
নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ