৭ মার্চের ভাষণে জাতিকে জাগিয়ে তোলেন বঙ্গবন্ধু : প্রধানমন্ত্রী


 
অনলাইন ডেস্ক


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণে জাতিকে জাগিয়ে তোলেন বঙ্গবন্ধু। আর এই ভাষণ ছিল ফজিলাতুন্নেছা মুজিব দ্বারা অনুপ্রাণিত।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ভাষণটি তিনি যখন দিতে যাবেন অনেকে অনেক ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী তারা পয়েন্ট লিখে নিয়ে আসছেন; অনেকে চিন্তাবিদ তারাও প্রস্তুতির কাজ করে যাচ্ছেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা আসছেনৃ..বিভিন্ন দাবি দাওয়ার চিরকুট তুলে দিচ্ছেন, তখনকার সময়ে যারা পাকিস্তান সরকারের কর্মরত বাঙালি ছিলো তারাও তালিকা করছে। প্রফেসর-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সবাই বক্তব্যের জন্য একটি খসড়া তৈরি করছিলেন, আমাদের ছাত্র নেতারা এসে বলছেন: এটা বলতে হবে, ওটা বলা না হলে মানুষ হতাশ হয়ে যাবে। তাদের এমন বহু কথায়-কথায়, কাগজে কাগজে, বস্তায় বস্তায় আমাদের বাসা ভরে যাচ্ছে।

এসময় শেখ হাসিনা আলোচনা সভায় উপস্থিত উপস্থিতিদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বাবা যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কিংবা সিদ্ধান্ত নিতেন আমার মা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সব সময় বড় ভূমিকা রাখতে।

আমার মনে আছে ওই দিনের গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে যাওয়ার আগে মা বাবাকে ডেকে নিলেন। দুপুরের খাবার শেষে বাবা সব সময় একটা পান মুখে নিতে। মা তাতে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে যেতে বললেন। বাবা যখন শুয়ে ছিলেন মা মোড়াটা টেনে নিয়ে বাবার সামনে বসলেন। আব্বার মাথার কাছে আমার জন্য ছোট্ট একটু জায়গা ছিলো। আমি তার মাথার কাছে বসে চুলে হাত বুলিয়ে দিতাম। এটা আমরা অভ্যাস ছিলো। সেদিনও ওই একই জায়গায় বসে ছিলাম।

মা বাবার হাতে পান তুলে দিয়ে বললেন, আজকে ময়দানে হাজার হাজার লোক এসেছে, এসব মানুষের ভাগ্য তোমার হাতে। অনেকে অনেক কথা বলবে, তুমি এ মানুষগুলোর জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছো; তুমি জানো দেশের মানুষের কোনটা প্রয়োজন, আর কোনটা প্রয়োজন না। তোমার থেকে বেশি এটা আর কেউ জানে না। তোমার কারো কথা শোনার দরকার নেই, তোমার মনে যে কথা আসবে, যেটা বলার প্রয়োজন মনে করবে তুমি সেটাই বলবে। সেটাই এদেশের মানুষের জন্য সত্য বলে প্রতিভাত হবে।

বাবা সমাবেশস্থলে রওনা হলেন কোন কাগজ নয়, কোন নোট নয়। তিনি সেদিন যে বক্তৃব্যটা দিয়েছিলেন পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বজ্রকন্ঠে তা বারবার বাজানো হয়। বিশেষ করে যুদ্ধের সময়টাতে, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’- এ কথাটা অনবরত বাজতে থাকায় আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা অনুপ্রেরণা পায়।

পঁচাত্তরের পরবর্তী সময়ে ভাষণটি কেন নিষিদ্ধ হয়েছিলো তা বিবেচনার ভার দেশবাসীর ওপর ছেড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্খিত মুক্তির লক্ষ্যে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 4466853689163206589

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item