পীরগাছার একমাত্র অভয়াশ্রম এখন মাছ ধরার নির্ভয় আশ্রম!
https://www.obolokon24.com/2019/02/rangpur_65.html
ফজলুর রহমান,পীরগাছা (রংপুর)ঃ
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম মাষাণ কুড়া মরা নদী থেকে কারেন্ট জাল ও বেড় জাল দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। লিজ নেয়া হয়েছে বলে ভুয়া খবর প্রচার করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার যোগসাজসে একটি প্রভাবশালী মহল অভয়াশ্রম ধ্বংস করে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাছ শিকার করছেন। অভয়াশ্রমে বিষাক্ত ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমেও মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম মাষাণ কুড়া মরা নদীটি কান্দি ইউনিয়নে অবস্থিত। সরকারিভাবে উপজেলা গর্ভন্যান্স প্রজেক্টের আওতায় ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ওই মৎস্য অভয়াশ্রম উদ্বোধন করা হয়। প্রত্যেক বছর বর্ষার পানি কমে যাওয়া মাত্র রুই, কাতলা, মৃগেল ও বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ অভয়াশ্রমে আশ্রয় নেয়। এসব মাছের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়। নদীর বিভিন্ন স্থানে ৫-৬ টি মৎস্য অভয়াশ্রম নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই অভয়াশ্রমগুলো কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। অভয়াশ্রমের যথাযথ তদারকি করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে অভয়াশ্রম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ দেখতেই পাননি।
নদী পাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাষাণ কুড়া নদীতে একটি প্রভাবশালী মহল স্থানীয় অসাধু মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় কারেন্ট জাল ও বেড় জাল দিয়ে মাছ নিধন করেন। এ সময় অভয়াশ্রমে প্রচুর মাছ থাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা মাছ ধরে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। জালে ধরা পড়ছে বোয়াল, কাতলা, টেংরা, শোল, পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ। অবাধে মৎস্য শিকারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার যোগসাজস রয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
সরকারি ভাবে অভয়াশ্রম ঘোষণার পরে নদীতে সরকারি অর্থায়নে বিপুল পরিমান বাঁশের খুঁটি, গাছ ও গাছের ডালপালা দিয়ে অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়। অভয়াশ্রম বোঝার জন্য বাঁশের খুঁটির মাথায় লাল নিশান লাগানো ছিল। কিন্তু ওই চক্রটি অভয়াশ্রমের বাঁশ, গাছ ও গাছের ডালপালা তুলে প্রকাশ্যে মাছ শিকার করে আসছেন। বর্তমানে অভয়াশ্রমের চিহ্নই নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে।
সরকারি নিয়মানুযায়ী মৎস্য অভয়াশ্রমে আশ্রয় নেওয়া মা মাছসহ যেকোন ধরনের মাছ ধরা নিষেধ। কিন্তু ওই চক্রটি সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে অবাধে ওই অভয়াশ্রম থেকে মা মাছসহ অন্যান্য মাছ শিকার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মৎস্যজীবি ও মৎস্য শিকারি জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই তারা প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছেন। মাছ বিক্রির অর্থ তারা একা পান না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ভাগ দিতে হয়।
নদী পাড়ের ঈসা খাঁ বলেন, মাছগুলো বেড়ে ওঠার আগেই প্রকাশ্যে নিধন করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগকে বহুবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা অজ্ঞাত কারণে চুপ থাকায় মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে না।
রবিউল আলম বলেন, বেড় জাল দিয়ে পানি থেকে ছেঁকে ছোট মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় মাছ ধরা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন মাষাণ কুড়া নদী থেকে দেশী মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য প্রশান্ত কুমার মিশ্র মংলু জানান, একটি চক্র মাঝিদের সহযোগিতায় অভয়াশ্রমে প্রকাশ্যে দিনের পর দিন মাছ ধরছে। তারা হাইকোর্ট থেকে লিজ পেয়েছে এমন কথা প্রচার করে অভয়াশ্রম নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান(ভারপ্রাপ্ত) বলেন, ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এসময় মাছ শিকারে যোগসাজসের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
রংপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুণ চন্দ্র বিশ^াস বলেন, ‘অভয়াশ্রম লিজ দেয়ার কোন নিয়ম নেই। সরকারি ভাবে নির্মিত অভয়াশ্রমে মাছ ধরাও আইনত নিষিদ্ধ। অভয়াশ্রম ধ্বংসের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম মাষাণ কুড়া মরা নদী থেকে কারেন্ট জাল ও বেড় জাল দিয়ে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। লিজ নেয়া হয়েছে বলে ভুয়া খবর প্রচার করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার যোগসাজসে একটি প্রভাবশালী মহল অভয়াশ্রম ধ্বংস করে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাছ শিকার করছেন। অভয়াশ্রমে বিষাক্ত ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমেও মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার একমাত্র মৎস্য অভয়াশ্রম মাষাণ কুড়া মরা নদীটি কান্দি ইউনিয়নে অবস্থিত। সরকারিভাবে উপজেলা গর্ভন্যান্স প্রজেক্টের আওতায় ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ওই মৎস্য অভয়াশ্রম উদ্বোধন করা হয়। প্রত্যেক বছর বর্ষার পানি কমে যাওয়া মাত্র রুই, কাতলা, মৃগেল ও বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ অভয়াশ্রমে আশ্রয় নেয়। এসব মাছের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়। নদীর বিভিন্ন স্থানে ৫-৬ টি মৎস্য অভয়াশ্রম নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকেই অভয়াশ্রমগুলো কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। অভয়াশ্রমের যথাযথ তদারকি করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে অভয়াশ্রম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ দেখতেই পাননি।
নদী পাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাষাণ কুড়া নদীতে একটি প্রভাবশালী মহল স্থানীয় অসাধু মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় কারেন্ট জাল ও বেড় জাল দিয়ে মাছ নিধন করেন। এ সময় অভয়াশ্রমে প্রচুর মাছ থাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা মাছ ধরে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। জালে ধরা পড়ছে বোয়াল, কাতলা, টেংরা, শোল, পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ। অবাধে মৎস্য শিকারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার যোগসাজস রয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
সরকারি ভাবে অভয়াশ্রম ঘোষণার পরে নদীতে সরকারি অর্থায়নে বিপুল পরিমান বাঁশের খুঁটি, গাছ ও গাছের ডালপালা দিয়ে অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়। অভয়াশ্রম বোঝার জন্য বাঁশের খুঁটির মাথায় লাল নিশান লাগানো ছিল। কিন্তু ওই চক্রটি অভয়াশ্রমের বাঁশ, গাছ ও গাছের ডালপালা তুলে প্রকাশ্যে মাছ শিকার করে আসছেন। বর্তমানে অভয়াশ্রমের চিহ্নই নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে।
সরকারি নিয়মানুযায়ী মৎস্য অভয়াশ্রমে আশ্রয় নেওয়া মা মাছসহ যেকোন ধরনের মাছ ধরা নিষেধ। কিন্তু ওই চক্রটি সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে অবাধে ওই অভয়াশ্রম থেকে মা মাছসহ অন্যান্য মাছ শিকার করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মৎস্যজীবি ও মৎস্য শিকারি জানান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই তারা প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছেন। মাছ বিক্রির অর্থ তারা একা পান না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ভাগ দিতে হয়।
নদী পাড়ের ঈসা খাঁ বলেন, মাছগুলো বেড়ে ওঠার আগেই প্রকাশ্যে নিধন করা হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগকে বহুবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা অজ্ঞাত কারণে চুপ থাকায় মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে না।
রবিউল আলম বলেন, বেড় জাল দিয়ে পানি থেকে ছেঁকে ছোট মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় মাছ ধরা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন মাষাণ কুড়া নদী থেকে দেশী মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য প্রশান্ত কুমার মিশ্র মংলু জানান, একটি চক্র মাঝিদের সহযোগিতায় অভয়াশ্রমে প্রকাশ্যে দিনের পর দিন মাছ ধরছে। তারা হাইকোর্ট থেকে লিজ পেয়েছে এমন কথা প্রচার করে অভয়াশ্রম নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবার রহমান(ভারপ্রাপ্ত) বলেন, ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এসময় মাছ শিকারে যোগসাজসের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
রংপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুণ চন্দ্র বিশ^াস বলেন, ‘অভয়াশ্রম লিজ দেয়ার কোন নিয়ম নেই। সরকারি ভাবে নির্মিত অভয়াশ্রমে মাছ ধরাও আইনত নিষিদ্ধ। অভয়াশ্রম ধ্বংসের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।