নাগেশ্বরীতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে খামখেয়ালি ও অনিয়মের অভিযোগ অল্পের জন্য বেঁচে গেলো ছাত্রী

হাফিজুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: 
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষকের নামে খামখেয়ালীপনা ও অনয়িমের অভিযোগ উঠেছে। তাদের খামখেয়ালীপনা ও অবহেলায় বাঁচামরার প্রশ্ন উঠেছে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীর। উপজেলার তেলিয়ানীরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সালমা খাতুন, জান্নাতুন, সাবিনা ইয়াসমিন ও জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে ছাত্রীর বাবা লুৎফর রহমান। অভিযোগে জানা যায় উপজেলার তেলিয়ানীরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শেণির ছাত্রী লুলু মার্জান লামইয়া, রোল-০৩। প্রতিদিনের ন্যায় ১৩ জানুয়ারি রোববার বিদ্যালয়ে গেলে ক্লাসরুমের বেঞ্চে ধাক্কা লেগে মাথা ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে গুরুতর আহত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় বিদ্যালয়ের অফিসকেক্ষ গিয়ে বিষয়টি শিক্ষকদের জানালে তার মাথা থেকে রক্ত ঝরা অবস্থায় দেখেও কোনো প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তাকে  বলে “এখানে স্যাভলন বা অন্যান্য কোনো ব্যবস্থা নেই, তুমি বাড়ি চলে যাও”। পরে সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি যাওয়া মাত্র জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় মেয়েকে দেখে মুশরে যায় বাবা-মা। পরে তাকে ঘরে নিয়ে মেয়ের রক্তমাখা জামা-কাপর পাল্টিয়ে স্যাভলন দিয়ে প্রাথমিকভাবে সেবা দিয়ে কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে পায়। এরপর মেয়েকে তেলিয়ানিরপাড় দাখিল মাদরাসায় নিয়ে শিক্ষকদের অবগত করলে স্কুলের সভাপতি আমজাদ হোসেন কাজীকে ডেকে স্কুলের শিক্ষকদের এই ঘটনার কথা জানালে তারাও একই কথা বলেন। পরে লামিয়াকে নাগেশ্বরী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে গেলে শিক্ষা অফিসার মোসলেম উদ্দিন শাহ লামিয়ার অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত সহকারী শিক্ষা অফিসারসহ হাসপাতালে জরুরী ভিভাগে নেওয়ার পরামর্শ দিলে তাকে নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক ডা. নির্মলেন্দু রায় মানিক মাথায় ব্যান্ডেজসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এছাড়াও অভিযুক্ত শিক্ষকরা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ে ঠিকমতো ক্লাস না করে অন্যান্য দায়িত্বে অবহেলা করেন ও বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে আসছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। তাদের এমন খামখেয়ালিপনা ও অনিয়মের কারণে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গেলে শিক্ষকদের প্রতি ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে এলাকাবাসী জানায়, ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে নানাভাবে হুমকী প্রদান করা হয়। এছাড়াও ওই শিক্ষকগণ ওই বিদ্যালয়ে থাকলে বিদ্যালয়ের মান ক্ষুন্ন হবে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ভেস্তে যাবে বলে। ওই শিক্ষকদের বদলীসহ শাস্তির দাবি করেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে জানতে তেলিয়ানীরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবীরকে একাধিকবার ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসলেম উদ্দিন শাহ বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার আগেই আমরা সরেজমিন তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের শোকজের নোটিশ দিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন দিলে তিনি ঢাকায় আছেন বলে জানান এবং অফিসে আসলেই ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 752716285699638668

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item