নীলফামারীতে সচিবের মতবিনিময় সভা সৈয়দপুর বিমানবন্দর আঞ্চলিক বিমানবন্দর হচ্ছে

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ॥ উত্তরবঙ্গের সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করতে ফিল্ড বুক তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে।শনিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে বিকালে মতবিনিয়ম সভা করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মহিবুল হক। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময়ে সভায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের জন্য ভূমি অধিগ্রহন বিষয় নিয়ে সচিব বলেন সৈয়দপুর বিমাববন্দরকে আন্তর্জাতিকমানের আঞ্চলিক বিমানবন্দরে (রিজিওনাল হাব) রূপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করতে প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রণের ফিল্ড বুক তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য জমি অধিগ্রহণের সীমানা চিহ্নিতকরণ ও স্থাপনার ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন সৈয়দপুরকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন টার্মিনাল ভবন ও উড়োজাহাজ (এয়ারক্রাফট) ল্যান্ড করে রাখার জন্য দু’টি অতিরিক্ত অ্যাপ্রোন নির্মাণের কাজ চলছে। বাকি রয়েছে রানওয়ে বাড়ানোর জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ। তারও পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন মিলেছে। এ জন্য নতুন করে আরও ৮৫২ দশমিক ৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। জমি অধিগ্রহণের সীমানা চিহ্নিতকরণের জন্য জরিপ কাজ করছে স্থানীয় ভূমি দপ্তর। অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌরসভার অধীন ৫৭৯ দশমিক ৫০ একর এবং পার্বতীপুর উপজেলার অধীন ২৭৩ দশমিক ৪০ একর জমি। বর্তমানে এসব জমির সীমানা চিহ্নিতকরণ এবং জমির ওপর গড়ে ওঠা স্থাপনার ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে। জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাথমিকভাবে ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণ করা শেষ হলে ভূমি উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। এরপর বর্তমান বিমানবন্দরের ৬ হাজার ৮০০ ফুট রানওয়েকে সম্প্রসারণ করে ১২ হাজার ফুটে উন্নীত করা হবে। এতে এই বিমানবন্দরে সুপরিসর সব ধরণের উড়োজাহাজ অবতরণ ও উড্ডয়ন করতে পারবে।সচিব বলেন জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ বর্তমান বাজার মূল্যের ৩ গুণ এবং স্থাপনার (বাসাবাড়ি) জন্য দেড় গুণ অর্থ দেওয়া হবে। বর্তমানে বিমানবন্দরের রয়েছে ১৩৬ দশমিক ৫৯ একর জমি। সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে মোট জমির পরিমাণ দাঁড়াবে ৯৮৯ দশমিক ৪৯ একর। তিনি বলেন, রানওয়ে সম্প্রসারণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা সম্পন্ন হলে এটি হবে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে। যা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সমতুল্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, নীলফামারী পৌরমেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সিভিল সার্জেন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্ম্মন, জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ম জাতীয় সংসদে প্রশ্ন উত্তর পর্বে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নিত করার ঘোষণা দেন। তাঁর এ ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এর সম্ভাবতা যাচাইসহ একাধিক কারিগরি সমীক্ষা চালায় বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট এলাকায়। এসব কারিগরি জরিপ শেষ হওয়ার পর সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানের আঞ্চলিক বিমানবন্দর করার সরকারি সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 222748627199766190

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item