লালমনিরহাটে হিন্দু পরিবারে বাল্য বিবাহ
https://www.obolokon24.com/2018/11/child-marrige_24.html
মাহমুদুল ইসলাম লাম লালমনিরহাটঃ-
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর কিশোরীর বাল্য বিবাহ সম্পূর্ন হয়েছে।
গতকাল রাত ৮ ঘটিকার সময় চলবলা ইউনিয়নের ৯ নং তেঁতুলিয়া ওয়ার্ডের কৃষক শশী কান্ত (৫০) এর একমাত্র পুত্র বারাজান বি এম কলেজ পড়ুয়া পংকজ কুমার রায় (১৬) এর সহিত আদি ত মা রী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী এলাকার খু নিয়া গাছ গ্রামের লেবু কুমার (৪৮) এর স্কুল পড়ুয়া কন্যা শ্রীমতি লতা রানী (১৩) এর সহিত বাল্য বিবাহ সম্পুন হয়।
আমাদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন যে, গতকাল দুপুর বেলা পংকজ তাহার বন্ধু বিষ্নু রায়ের সহিত সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে তেঁতুলিয়া হতে গোপাল রায় গ্রামে আসেন লতা রানার সহিত কৃষ্ণ কুমারের বাড়িতে দেখা করার জন্য। ওই সময় কৃষ্ণ কুমারের বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল এমন সময় তাদের লোকজন জোরপূর্বক আটক করে পংকজ কুমার রায়কে মেয়ে সহ নিয়ে যায়।
প্রতিনিধিকে ছেলে পংকজ কুমারের বাবা শশী কান্ত জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে জানিয়ে বিয়ে সম্পুর্ণ করলে আমি ছেলে মেয়েকে মেনে নিতাম। বরং এটি না করে কনে পক্ষ আমার অগোচরে আমার একমাত্র পুত্রকে ধরে নিয়ে গিয়ে জোর পুবর্ক বাল্য বিবাহ দেয়া হয়েছে। এবং আমার বাড়িতে লোকজন সহকারে এসে জোর করেই আমার বাড়িতে দিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অনেক আশা নিয়ে ছেলেকে কলেজে দিয়েছি, ছেলে এমনটি করবে ভাবলে আমার বুকে ভীষন কস্ট হয়।
গোপাল রায় গ্রামে কৃষ্ণ কুমারের বাড়িতে গেলে কৃষ্ণ কুমার জানান, গতকাল আমার বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল আমি এ অনুষ্ঠানে তেতুলিয়ার স্থায়ীবাসিন্দা ডা অভয় কুমার কে নিমন্ত্রন করি। তিনি তাহার নাতনী লতা রানী সহ আমার বাড়িতে আসেন। কিন্তুু সন্ধ্যা ৮ ঘটিকার সময় পংকজ ও তাহার বন্ধু বিষ্নু সহ আমার বাড়িতে আসে এবং মেয়ে লতা ওদের সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিল হঠাৎ তাদের ৩০ মিনিট ধরে না দেখায় সবার সন্দেহ হয়। এবং খোঁজাখুঁজি করে পরে ছেলে মেয়েকে পরে ছেলে মেয়ে আটক করা হয়। পরে আটককৃত পংকজ ও লতাকে ডা অভয় কুমার তাহার বাড়িতে নিয়ে যান। এবং সেখানে বিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রেখা রাণী রায় প্রতিনিধিকে বলেন, ঘটনাটি গতকাল রাতে জানতে পেরে, আমি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা, মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা, এবং কালীগঞ্জ থানার ইনচার্জ ওসি মকবুল হোসেনকে বিষয়টি অবগত করি। কিন্তুু কোনরুপ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
অপরদিকে ডা অভয় কুমারের বাড়িতে গিয়ে বর কনে কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডা অভয় কুমারের পুত্র জানান, গতকাল রাতে বিয়ে দেয়া হয়,পরে তাদের কে অভিভাবকের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নেতৃত্ব দানকারী স্থানীয় হিন্দু যুব সম্প্রদায়ের নেতা প্রেমানন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি একটু ভিন্ন কথা বলেন। তিনি জানান, তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও বিষয়টি স্বীকার করেন। এবং ছেলে মেয়ের অপ্রাপ্তবয়স হওয়ায় কিভাবে এ বাল্য বিবাহ দেয়া হল জানতে তিনি বলেন এমন অনেক বিবাহ দিয়েছি। আর গতকালের বিষয়টি কালীগঞ্জ থানার এস আই কালাম সহ আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চলবলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মি জু কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনাটি শুনতে পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
বাদল চন্দ্র জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন, তবে তেমন কিছু জানেন না। ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন।
ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আজ বর পংকজের বাবা শশী কান্ত কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগের বিষয়ে কালীগঞ্জ থানা জানান অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর কিশোরীর বাল্য বিবাহ সম্পূর্ন হয়েছে।
গতকাল রাত ৮ ঘটিকার সময় চলবলা ইউনিয়নের ৯ নং তেঁতুলিয়া ওয়ার্ডের কৃষক শশী কান্ত (৫০) এর একমাত্র পুত্র বারাজান বি এম কলেজ পড়ুয়া পংকজ কুমার রায় (১৬) এর সহিত আদি ত মা রী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী এলাকার খু নিয়া গাছ গ্রামের লেবু কুমার (৪৮) এর স্কুল পড়ুয়া কন্যা শ্রীমতি লতা রানী (১৩) এর সহিত বাল্য বিবাহ সম্পুন হয়।
আমাদের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন যে, গতকাল দুপুর বেলা পংকজ তাহার বন্ধু বিষ্নু রায়ের সহিত সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে তেঁতুলিয়া হতে গোপাল রায় গ্রামে আসেন লতা রানার সহিত কৃষ্ণ কুমারের বাড়িতে দেখা করার জন্য। ওই সময় কৃষ্ণ কুমারের বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল এমন সময় তাদের লোকজন জোরপূর্বক আটক করে পংকজ কুমার রায়কে মেয়ে সহ নিয়ে যায়।
প্রতিনিধিকে ছেলে পংকজ কুমারের বাবা শশী কান্ত জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে জানিয়ে বিয়ে সম্পুর্ণ করলে আমি ছেলে মেয়েকে মেনে নিতাম। বরং এটি না করে কনে পক্ষ আমার অগোচরে আমার একমাত্র পুত্রকে ধরে নিয়ে গিয়ে জোর পুবর্ক বাল্য বিবাহ দেয়া হয়েছে। এবং আমার বাড়িতে লোকজন সহকারে এসে জোর করেই আমার বাড়িতে দিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অনেক আশা নিয়ে ছেলেকে কলেজে দিয়েছি, ছেলে এমনটি করবে ভাবলে আমার বুকে ভীষন কস্ট হয়।
গোপাল রায় গ্রামে কৃষ্ণ কুমারের বাড়িতে গেলে কৃষ্ণ কুমার জানান, গতকাল আমার বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল আমি এ অনুষ্ঠানে তেতুলিয়ার স্থায়ীবাসিন্দা ডা অভয় কুমার কে নিমন্ত্রন করি। তিনি তাহার নাতনী লতা রানী সহ আমার বাড়িতে আসেন। কিন্তুু সন্ধ্যা ৮ ঘটিকার সময় পংকজ ও তাহার বন্ধু বিষ্নু সহ আমার বাড়িতে আসে এবং মেয়ে লতা ওদের সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিল হঠাৎ তাদের ৩০ মিনিট ধরে না দেখায় সবার সন্দেহ হয়। এবং খোঁজাখুঁজি করে পরে ছেলে মেয়েকে পরে ছেলে মেয়ে আটক করা হয়। পরে আটককৃত পংকজ ও লতাকে ডা অভয় কুমার তাহার বাড়িতে নিয়ে যান। এবং সেখানে বিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রেখা রাণী রায় প্রতিনিধিকে বলেন, ঘটনাটি গতকাল রাতে জানতে পেরে, আমি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা, মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা, এবং কালীগঞ্জ থানার ইনচার্জ ওসি মকবুল হোসেনকে বিষয়টি অবগত করি। কিন্তুু কোনরুপ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
অপরদিকে ডা অভয় কুমারের বাড়িতে গিয়ে বর কনে কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডা অভয় কুমারের পুত্র জানান, গতকাল রাতে বিয়ে দেয়া হয়,পরে তাদের কে অভিভাবকের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নেতৃত্ব দানকারী স্থানীয় হিন্দু যুব সম্প্রদায়ের নেতা প্রেমানন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি একটু ভিন্ন কথা বলেন। তিনি জানান, তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও বিষয়টি স্বীকার করেন। এবং ছেলে মেয়ের অপ্রাপ্তবয়স হওয়ায় কিভাবে এ বাল্য বিবাহ দেয়া হল জানতে তিনি বলেন এমন অনেক বিবাহ দিয়েছি। আর গতকালের বিষয়টি কালীগঞ্জ থানার এস আই কালাম সহ আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চলবলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মি জু কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনাটি শুনতে পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
বাদল চন্দ্র জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন, তবে তেমন কিছু জানেন না। ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন।
ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আজ বর পংকজের বাবা শশী কান্ত কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগের বিষয়ে কালীগঞ্জ থানা জানান অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।