কিশোরগঞ্জে আগাম আলু ক্ষেতে গোড়া পঁচা ও মড়ক রোগে দিশেহারা কৃষক

মোঃ শামীম হোসেন বাবু, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
আগাম আলু উৎপাদনের সুঁতিকাগার বলে খ্যাত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আলুক্ষেতে আলুর মড়ক (ঝ্যামড়া ও গোড়া পচন) দেখা দিয়েছে। ফলে এলাকার কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষকরা জানান, তারা আগাম আলুর সঠিক সময়ে জমিতে আলু চাষ করেছেন। সময়মতো জমিতে সেচ ও কীটনাশকও দিয়েছেন; কিন্তু ফসল ঘরে তোলার আগেই আলুর মড়ক রোগ দেখা দিয়েছে। গোড়াপচা ও ঝ্যামড়া পচা রোগে নষ্ট হয়েছে অনেক আলু।
 উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে আগাম আলু চাষ হয়েছে ২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে।
 গত শনিবার সরেজমিনে উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি, নিতাই ইউনিয়নের পানিয়লপুকুর,বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকরা আলু লাগিয়ে সময়মতো জমিতে পানি ও বালাইনাশক ¯েপ্র করার পর তাজা হয়ে উঠতে শুরু করে আলুক্ষেত।  দেখে এবার তারা বা¤পার ফলনের আশা করছিল। হঠাৎ করে গোড়াপচন ও ঝ্যামড়া পচন মড়ক দেখা দেয়। বার বার কীটনাশক দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না আলুক্ষেত। কারো জমির আলু ক্ষেতের বয়স ৩৫ দিন,৩০ দিন বা ২৫ দিন। আলু রোপনের ৫৫ দিনের মধ্যে আলু তাদের বাজারে বিক্রি করার কথা।
কৃষকরা অভিযোগ করেন, দুর্দিনে কৃষি বিভাগের কর্মীদের কাছে না পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
উত্তর দুরাকুটি গ্রামের আলু চাষী আলম হোসেন বলেন তিনি এগারো বিঘা ( ১১) জমিতে আগাম আলু চাষ করেন। তার আলু ক্ষেতের বয়ন ৩৫ দিন। সুন্দর আলুর গাছ দেখলে বলে দেয় যেন আলুর বাম্পার ফলন হবে। প্রতি বিঘায় তার আলু চাষে খরচ ২০ হাজার টাকা করে। ফলে ১১ বিঘায় তিনি খরচ করেছে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা। সময়মতো আলু উঠলে তার খরচের ডবল বিক্রি হবার কথা। তিনি বলেন তার তিন বিঘা জমির আলু ক্ষেতে গোড়া পচন রোগ দেখা দেওয়ার তিনি  কৃষি বিভাগের দেয়া পরামর্শে দুই প্রকারের কিটনাশক গোল্ডাজীন ও কম্পিনিয়ান প্রয়োগ করে এই মোড়ক হতে আলু ক্ষেত রক্ষা পাচ্ছেনা।
কিন্তু এখন তার মাথায় হাত। একই এলাকার আলু চাষী নবাব উদ্দিন জানান তিনি চার বিঘা জমিতে আলু রোপন করেছে। তার আলু জমির বয়স ৩৫ দিন। তার দেড় বিঘা জমিতে একই মোড়ক ধরেছে।
বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন বলেন, আমি এবার ১১ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছি। এর মধ্যে দুই বিঘা জমিতে গড়া পঁচা রোগ ও  ঝ্যামরা রোগে আলু গাছ মরে যাচ্ছে কোন ওষুধ স্প্রে করে কোন কাজ হচ্ছেনা।
নিতাই পানিয়াল পুকুর গ্রামের  আলু চাষী নাজিমুদ্দিন বলেন তার দুই বিঘা জমির আলুর মধ্যে ১৪ শতক জমির আলু  ঝ্যামড়া পচা মোড়কে নস্ট হয়ে গেছে। একই এলাকার আব্দুল সাক্তারের চারবিঘার মধ্যে এক বিঘা জমির আলু একই রোগে নস্ট হয়েছে।
 উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হকের মতে দিনে ও রাতে আবহাওয়ার তারতম্য দেখা দিয়েছে।  কৃষকরা আগাম আলু রোপণ করার সময় জমিতে সঠিকভাবে ডলচুন ব্যবহার করেনি। ফলে এমন রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মীদের মাঠে না যাওয়ার অভিযোগ বিষয়ে তিনি জানান, তা পুরোপুরি সত্য নয়। আমাদের কর্মীরা মাঠে রয়েছেন এবং কৃষকদের সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2343753274189643402

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item