কিশোরগঞ্জে ছাত্রকে পিটিয়ে ছাত্রের মা কে গলা ধাক্কা দিল প্রধান শিক্ষক

প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে বিচার দাবি 




মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ ॥  দুই দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় ও বার্ষিক পরীক্ষার জন্য একশত টাকা ফি জমা না দেয়ায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র সুমন মিয়াকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিটিয়েছে প্রধানশিক্ষক আফতাবুজ্জামান। এতে ছাত্রটি আহত হয়। সোমবার বেলা ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের সয়রাগন্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এ দিকে ঘটনার কথা জানতে পেরে ছাত্রটির মা শেফালী বেগম ছুটে এসে প্রতিবাদ করলে তাকেও গলা ধাক্কা দেন প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে তার অপসারন দাবি করে ।সুমন ওই ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম গ্রামের কৃষক মখমোল হোসেনের ছেলে। সে ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র রোল নম্বর ২৪।

স্কুলটির শিক্ষার্থী জানায় বার্ষিক পরীক্ষার জন্য ছবি সহ একশত করে টাকা দাবি করে প্রধান শিক্ষক। সোমবার বেলা ১২টার দিকে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র সুমন টাকা দিতে না পেরে শুধু তার ছবি জমা দেয় প্রধান শিক্ষকের কাছে। টাকা না দেওয়ার কারনে  ও দুই দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারনে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে সুমনের হাত ও পায়ে পিটায় প্রধান শিক্ষক। খবর পেয়ে সুমনের মা ছুটে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে ছেলেকে পিটানোর প্রতিবাদ করে ফি এর ১০০ টাকা জমা দেয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ফি এর টাকা ও সুমনের ছবি ছুড়ে ফেলে দিয়ে তাকে আর বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দিবেনা জানিয়ে সুমনের মা কেও গলা ধাক্কা দিয়ে প্রধান শিক্ষকের রুম হতে বের করে দেয়।ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষজন ওই স্কুলে ছুটে এসে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে তার অপসারন দাবি করে।।
পরে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন ও সদস্য আরজুল হক এসে এলাকাবাসীকে প্রধান শিক্ষকের বিচার করা হবে বলে আশ্বস্ত করলে প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ হতে মুক্তি পায়। প্রধান শিক্ষক আফতাবুজ্জামান সাংবাদিকদের কাছে ছাত্রকে পিটানো ও তার মা কে গলা ধাক্কা দেয়ার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন কথাকাটি হয়েছে। এ জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছেন।
সয়রাগন্ধ্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী আলমগীর হোসেন লাল বলেন,  প্রধান শিক্ষকের খারাপ আচরনে কারনে এর আগে এলাকাবাসী তাঁর বিচার দাবি করেছিল । তাছাড়া তিনি স্কুলের সবার সাথে খারাপ আচরন করেন।
মারুফা আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়েও ওই স্কুলে পরে । আমি আমার বাচ্চার ছবি নিয়ে আসলে তিনি আমার উপর অযথা রাগ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরীফা আক্তার জানান বিষয়টি আমরা শুনেছি। ছাত্রের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7921941784077590233

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item