পঞ্চগড়ে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার- ক্লিনিক, মৃত্যু ঝুকিতে প্রসূতি ও নবজাতক
https://www.obolokon24.com/2018/09/panchagar_24.html
সাইদুজ্জামান রেজা, পঞ্চগড়:
বৈধ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলোর পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অসংখ্য অনুমোদনহীন ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির মাধ্যমে পঞ্চগড়ে চলছে ফ্রি স্টাইলে রমরমা ডায়াগনোস্টিক ও ক্লিনিক ব্যবসা। আর এসব দেখভাল করেন বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি সিন্ডিকেট চক্র। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের শর্তাবলী কাগজে বাস্তবায়ন দেখিয়ে ক্লিনিক গুলো অনুমোদন লাভ করে। এরপর থেকেই এসব শর্ত ভুলে শুরু হয় জনসাধারনের গলাকাটা ব্যবসা। বর্তমানে পঞ্চগড়ে এমন অবৈধ ক্লিনিক রয়েছে অসংখ্য। এসব ক্লিনিকের অধিকাংশে নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স। নার্স সংকট থাকায় বেশির ভাগ ক্লিনিকে আয়া, ওয়ার্ড বয় দিয়ে নার্সের কাজ করানো হয়। অফিস সূত্রে জানা যায়,পঞ্চগড় জেলায় ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার ১৬টি, ক্লিনিক ১২টি অনুমোদন রয়েছে। এ দিকে আটোয়ারী উপজেলার নিরাময় নার্সিং হোম ও আয়েশা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক, বোদা ও পঞ্চগড় শহরের গ্রীন ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার সরকারী কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ক্লিনিক ব্যাবসা। আরো খবর গত সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আটোয়ারীর নিরাময় নার্সিং হোমে আটোয়ারী উপজেলার বড় শিংগীয়া ডুংডুংগীর হাট গ্রামের আলালের স্ত্রী শিউলী প্রসব বেদনা নিয়ে আসলে সেখানে ডাক্তার না থাকায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক রাজকুমার প্রসুতির পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া স্বাভাবিক ডেলিভারি করে বাচ্চা প্রসব করে এতে নবজাতকটির শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি হয়। নবজাতকটি দু'দিন ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করে পরে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর যাওয়ার পথে মারা যায়। স্থানীয়রা জানান গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঐ নিরাময় নার্সিং হোম এর পরিচালক জিলুøর রহমানকে বাকবিতর্ক সহ ধাক্কাধাক্কি করে প্রসুতির আত্মীয় স্বজন। এ নিয়ে আটোয়ারী উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রসুতির স্বামী আলাল জানান নিরাময় ক্লিনিকে আমার স্ত্রীর ডেলিভারি করা হয় এতে আমার সন্তানের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ঠাকুরগাঁও এ চিকিৎসার পর রংপুর নেওয়ার পথে আমার সন্তান মারা যায়। নিরাময় নার্সিং হোমের মালিক জিল্লুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে। পল্লী চিকিৎসক রাজকুমার এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান অনুমোদনহীন কোন নার্সিং হোম বা ক্লিনিক পাওয়া গেলে বা কোন অপকর্ম করলে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিভিল সার্জন, পঞ্চগড় মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান কোন অবৈধ ক্লিনিক, নার্সিং হোম, ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার চলতে দেওয়া হবে না। যদি এমন কোন ক্লিনিক, নার্সিং হোম, ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার পাওয়া যায় তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈধ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলোর পাশাপাশি গড়ে উঠেছে অসংখ্য অনুমোদনহীন ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির মাধ্যমে পঞ্চগড়ে চলছে ফ্রি স্টাইলে রমরমা ডায়াগনোস্টিক ও ক্লিনিক ব্যবসা। আর এসব দেখভাল করেন বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি সিন্ডিকেট চক্র। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের শর্তাবলী কাগজে বাস্তবায়ন দেখিয়ে ক্লিনিক গুলো অনুমোদন লাভ করে। এরপর থেকেই এসব শর্ত ভুলে শুরু হয় জনসাধারনের গলাকাটা ব্যবসা। বর্তমানে পঞ্চগড়ে এমন অবৈধ ক্লিনিক রয়েছে অসংখ্য। এসব ক্লিনিকের অধিকাংশে নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স। নার্স সংকট থাকায় বেশির ভাগ ক্লিনিকে আয়া, ওয়ার্ড বয় দিয়ে নার্সের কাজ করানো হয়। অফিস সূত্রে জানা যায়,পঞ্চগড় জেলায় ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার ১৬টি, ক্লিনিক ১২টি অনুমোদন রয়েছে। এ দিকে আটোয়ারী উপজেলার নিরাময় নার্সিং হোম ও আয়েশা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোষ্টিক, বোদা ও পঞ্চগড় শহরের গ্রীন ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার সরকারী কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ক্লিনিক ব্যাবসা। আরো খবর গত সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আটোয়ারীর নিরাময় নার্সিং হোমে আটোয়ারী উপজেলার বড় শিংগীয়া ডুংডুংগীর হাট গ্রামের আলালের স্ত্রী শিউলী প্রসব বেদনা নিয়ে আসলে সেখানে ডাক্তার না থাকায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক রাজকুমার প্রসুতির পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া স্বাভাবিক ডেলিভারি করে বাচ্চা প্রসব করে এতে নবজাতকটির শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি হয়। নবজাতকটি দু'দিন ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করে পরে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর যাওয়ার পথে মারা যায়। স্থানীয়রা জানান গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঐ নিরাময় নার্সিং হোম এর পরিচালক জিলুøর রহমানকে বাকবিতর্ক সহ ধাক্কাধাক্কি করে প্রসুতির আত্মীয় স্বজন। এ নিয়ে আটোয়ারী উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রসুতির স্বামী আলাল জানান নিরাময় ক্লিনিকে আমার স্ত্রীর ডেলিভারি করা হয় এতে আমার সন্তানের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ঠাকুরগাঁও এ চিকিৎসার পর রংপুর নেওয়ার পথে আমার সন্তান মারা যায়। নিরাময় নার্সিং হোমের মালিক জিল্লুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে। পল্লী চিকিৎসক রাজকুমার এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান অনুমোদনহীন কোন নার্সিং হোম বা ক্লিনিক পাওয়া গেলে বা কোন অপকর্ম করলে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিভিল সার্জন, পঞ্চগড় মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান কোন অবৈধ ক্লিনিক, নার্সিং হোম, ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার চলতে দেওয়া হবে না। যদি এমন কোন ক্লিনিক, নার্সিং হোম, ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার পাওয়া যায় তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।