ভাদ্রেও বৃষ্টির দেখা নেই পীরগাছায় আমন চাষাবাদ ব্যাহতের আশংকা
https://www.obolokon24.com/2018/09/no-rain.html
ফজলুর রহমান,পীরগাছা(রংপুর)ঃ
পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রংপুরের পীরগাছায় আমন চাষের জমি গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। ভাদ্র মাসেও চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছে না অনেক কৃষক। প্রচন্ডখরা ও দাবদাহে আমন মাঠঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে কৃষকেরা আমনের চারা রোপণ করতে পারছে না। অনেকে বাধ্য হয়েই ডিজেল ও বৈদ্যুতিক পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করলেও বিপাকে পড়েছে। তাপদাহের মাত্রা এতো বেশি যে, সম্পূরক সেচের মাধ্যমে ধান ক্ষেতের পানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বোরো মৌসুমের শেষের দিকে কৃষকরা আমন আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তারা আমন আবাদের জন্য বীজতলা তৈরী, বীজ বুনন ও পরিচর্যা শুরু করেন। এখন বীজতলার চারা জমিতে লাগানো সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পানির অভাবে চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছেন না। আমন চারা লাগানোর জন্য এঅঞ্চলের কৃষকদের একমাত্র ভরসা বৃষ্টির পানি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কাঙ্খিত সেই বৃষ্টির দেখা মিলছে না। তাই জমিতেও পানি জমছে না। এজন্য বোরো মৌসুমে উৎপাদন খরচের তুলনায় ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া কৃষকরা হতাশায় পড়েছেন।
কৃষকরা বলছেন, বৃষ্টি না হলে জমিতে বৈদ্যুতিক মটর ও ডিজেল চালিত পাম্প দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে আবারও খরচ বেড়ে যাবে। বোরো মৌসুমের মত আমন মৌসুমেও যদি উৎপাদন খরচের তুলনায় ধানের দাম কম হয় তাহলে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নে কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি ৫ বিঘা জমিতে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছিলাম। শুধু আমি না আমাদের এ অঞ্চলের অনেক কৃষক এভাবেই আমন চারা রোপণ করেছেন। কিন্তু আমন চারা রোপণের পর বৃষ্টির অভাবে আমার ক্ষেত ফেটে গেছে। চারা মরে যাচ্ছে। আমন ক্ষেত নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
ছাওলা ইউনিয়নের কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে পানি জমেনি তাই চারা রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছি না। পাট কেটে রেখেছি কিন্তু পানির অভাবে পচাতে পারছি না।
পীরগাছার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের কৃষক মোজাফ্ফর হোসেন জানান, বোরো মৌসুমে উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম কম হওয়ায় এমনিতে ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছি। এরপরও আমন আবাদের জন্য জমিতে সেচ দিতে হলে খরচের পাশাপাশি ঋণ আরো বেড়ে যাবে।
সময়মত আমন চারা রোপণ করতে না পারলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহতেরও আশংকা করছেন অনেকে।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলে আমন আবাদের জন্য বৃষ্টির পানিই একমাত্র ভরসা। বৃষ্টির বিকল্প হিসেবে সেচ দেয়া যেতে পারে তবে এতে কৃষকের খরচ বৃদ্ধি পাবে।
পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রংপুরের পীরগাছায় আমন চাষের জমি গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। ভাদ্র মাসেও চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছে না অনেক কৃষক। প্রচন্ডখরা ও দাবদাহে আমন মাঠঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে কৃষকেরা আমনের চারা রোপণ করতে পারছে না। অনেকে বাধ্য হয়েই ডিজেল ও বৈদ্যুতিক পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করলেও বিপাকে পড়েছে। তাপদাহের মাত্রা এতো বেশি যে, সম্পূরক সেচের মাধ্যমে ধান ক্ষেতের পানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বোরো মৌসুমের শেষের দিকে কৃষকরা আমন আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তারা আমন আবাদের জন্য বীজতলা তৈরী, বীজ বুনন ও পরিচর্যা শুরু করেন। এখন বীজতলার চারা জমিতে লাগানো সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পানির অভাবে চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছেন না। আমন চারা লাগানোর জন্য এঅঞ্চলের কৃষকদের একমাত্র ভরসা বৃষ্টির পানি। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কাঙ্খিত সেই বৃষ্টির দেখা মিলছে না। তাই জমিতেও পানি জমছে না। এজন্য বোরো মৌসুমে উৎপাদন খরচের তুলনায় ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া কৃষকরা হতাশায় পড়েছেন।
কৃষকরা বলছেন, বৃষ্টি না হলে জমিতে বৈদ্যুতিক মটর ও ডিজেল চালিত পাম্প দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে আবারও খরচ বেড়ে যাবে। বোরো মৌসুমের মত আমন মৌসুমেও যদি উৎপাদন খরচের তুলনায় ধানের দাম কম হয় তাহলে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নে কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি ৫ বিঘা জমিতে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছিলাম। শুধু আমি না আমাদের এ অঞ্চলের অনেক কৃষক এভাবেই আমন চারা রোপণ করেছেন। কিন্তু আমন চারা রোপণের পর বৃষ্টির অভাবে আমার ক্ষেত ফেটে গেছে। চারা মরে যাচ্ছে। আমন ক্ষেত নিয়ে আমি খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
ছাওলা ইউনিয়নের কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে পানি জমেনি তাই চারা রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছি না। পাট কেটে রেখেছি কিন্তু পানির অভাবে পচাতে পারছি না।
পীরগাছার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের কৃষক মোজাফ্ফর হোসেন জানান, বোরো মৌসুমে উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম কম হওয়ায় এমনিতে ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছি। এরপরও আমন আবাদের জন্য জমিতে সেচ দিতে হলে খরচের পাশাপাশি ঋণ আরো বেড়ে যাবে।
সময়মত আমন চারা রোপণ করতে না পারলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহতেরও আশংকা করছেন অনেকে।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলে আমন আবাদের জন্য বৃষ্টির পানিই একমাত্র ভরসা। বৃষ্টির বিকল্প হিসেবে সেচ দেয়া যেতে পারে তবে এতে কৃষকের খরচ বৃদ্ধি পাবে।