সাড়া ফেলেছে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ থিউরী
https://www.obolokon24.com/2018/09/No-helmet-no-petrol_6.html
মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে ঃ
সড়কে প্রায়ই ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চালক নয়তো আরোহী। আবার অনেকে অকালেই প্রাণ হারাচ্ছেন। কারো কারো জীবনে নেমে আসছে পঙ্গুত্ব। মাথায় হেলমেট না থাকার কারণে বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের নিদারুণ যন্ত্রণা খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ সবচেয়ে বেশি পায় পুলিশ সদস্যরা। তাদেরই একজন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) সাইফুর রহমান সাইফ।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল থিউরী থ্রো করেছেন তিনি। যার ফলে রংপুর সহ আশপাশের জেলাগুলোতে পাম্প ব্যবসায়ীরা হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালককের কাছে পেট্রল ও অকটেন বিক্রি করছেন।
গত ২৯ আগষ্ট দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা সরোয়ার টিটুকে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকের কাছে পেট্রল বিক্রি না করতে অনুরোধ জানান তিনি। এই অনুরোধে সাড়া দেয় ব্যবসায়ীরা। পরের দিন নিজে থেকেই নগরীর বিভিন্ন পাম্পে পাম্পে গিয়ে তেল নিতে আসা মোটরসাইকেল চালকদের সাথে কথা বলেন সাইফুর রহমান।
দুইদিনের মধ্যে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ থিউরীটি সাড়া ফেলে নগরজুড়ে। শনিবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাম্প ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সাথে নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন পুলিশ প্রশাসন। ওই সভায় হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালকের কাছে তেল বিক্রি না করতে ঐক্যমতে পৌঁছেন ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে নগরীর প্রতিটি পেট্রল পাম্পে পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়।
রংপুরে কর্মরত পুলিশ কর্তকর্তাদের মধ্যে এডিশনাল এসপি সাইফুর রহমান সাইফের নামটি বেশ পরিচিত। অনেকেই তাকে জনবান্ধব পুলিশও হিসেবে ডাকেন। সংস্কৃতি পল্লীতে তিনি গানের পাখি হিসেবেও পরিচিত। সবার প্রিয় এই পুলিশ কর্মকর্তার আহ্বানে শুরুতে নগরবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও বেশিরভাগ মানুষই এখন সাইফুর রহমানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
রংপুর জেলা পেট্রল পাম্প ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব টিটো জানান, ‘শনিবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আমাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে হেলমেট ছাড়া কারও কাছে পেট্রল বিক্রি না করার অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছি। হেলমেট ছাড়া কারও কাছে পেট্রল বিক্রি করা হচ্ছে না। ’
এদিকে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ কর্মসূচির উদ্যোক্তা রংপুর এ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালালে দুর্ঘটনা ঘটলেই চালক মারা যায়। দুর্ঘটনা রোধ করতে আমরা সচেতন করার চেষ্টা করছি। বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচার-প্রচারণা চলছে। ইতোমধ্যে আমরা পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে হেলমেট ছাড়া পেট্রোল বিক্রি করা যাবে না। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচী সফল হবো না ততোদিন এই অভিযান চলবে।’
এদিকে রংপুর জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তার ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ কর্মসূচী সাড়া ফেলেছে পুরো রংপুর বিভাগে। এরই মধ্যে এই বিভাগের আট জেলার মধ্যে লালমনিরহাট, দিানজপুর ও গাইবান্ধাতে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যে পুরো বিভাগেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ কর্মসূচী সফল করতে কার্যক্রম শুরু হবে।
সড়কে প্রায়ই ঘটছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চালক নয়তো আরোহী। আবার অনেকে অকালেই প্রাণ হারাচ্ছেন। কারো কারো জীবনে নেমে আসছে পঙ্গুত্ব। মাথায় হেলমেট না থাকার কারণে বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের নিদারুণ যন্ত্রণা খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ সবচেয়ে বেশি পায় পুলিশ সদস্যরা। তাদেরই একজন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) সাইফুর রহমান সাইফ।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল থিউরী থ্রো করেছেন তিনি। যার ফলে রংপুর সহ আশপাশের জেলাগুলোতে পাম্প ব্যবসায়ীরা হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালককের কাছে পেট্রল ও অকটেন বিক্রি করছেন।
গত ২৯ আগষ্ট দুপুরে রংপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা সরোয়ার টিটুকে হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকের কাছে পেট্রল বিক্রি না করতে অনুরোধ জানান তিনি। এই অনুরোধে সাড়া দেয় ব্যবসায়ীরা। পরের দিন নিজে থেকেই নগরীর বিভিন্ন পাম্পে পাম্পে গিয়ে তেল নিতে আসা মোটরসাইকেল চালকদের সাথে কথা বলেন সাইফুর রহমান।
দুইদিনের মধ্যে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ থিউরীটি সাড়া ফেলে নগরজুড়ে। শনিবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাম্প ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সাথে নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন পুলিশ প্রশাসন। ওই সভায় হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালকের কাছে তেল বিক্রি না করতে ঐক্যমতে পৌঁছেন ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে নগরীর প্রতিটি পেট্রল পাম্পে পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়।
রংপুরে কর্মরত পুলিশ কর্তকর্তাদের মধ্যে এডিশনাল এসপি সাইফুর রহমান সাইফের নামটি বেশ পরিচিত। অনেকেই তাকে জনবান্ধব পুলিশও হিসেবে ডাকেন। সংস্কৃতি পল্লীতে তিনি গানের পাখি হিসেবেও পরিচিত। সবার প্রিয় এই পুলিশ কর্মকর্তার আহ্বানে শুরুতে নগরবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও বেশিরভাগ মানুষই এখন সাইফুর রহমানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
রংপুর জেলা পেট্রল পাম্প ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব টিটো জানান, ‘শনিবার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আমাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে হেলমেট ছাড়া কারও কাছে পেট্রল বিক্রি না করার অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছি। হেলমেট ছাড়া কারও কাছে পেট্রল বিক্রি করা হচ্ছে না। ’
এদিকে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ কর্মসূচির উদ্যোক্তা রংপুর এ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ বলেন, আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি, হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালালে দুর্ঘটনা ঘটলেই চালক মারা যায়। দুর্ঘটনা রোধ করতে আমরা সচেতন করার চেষ্টা করছি। বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচার-প্রচারণা চলছে। ইতোমধ্যে আমরা পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে হেলমেট ছাড়া পেট্রোল বিক্রি করা যাবে না। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচী সফল হবো না ততোদিন এই অভিযান চলবে।’
এদিকে রংপুর জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তার ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ কর্মসূচী সাড়া ফেলেছে পুরো রংপুর বিভাগে। এরই মধ্যে এই বিভাগের আট জেলার মধ্যে লালমনিরহাট, দিানজপুর ও গাইবান্ধাতে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যে পুরো বিভাগেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘নো হেলমেট-নো পেট্রল’ কর্মসূচী সফল করতে কার্যক্রম শুরু হবে।