জাপান থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজনের পিএইচডি ডিগ্রী লাভ



মামুনুর রশিদ মেরাজুল পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে ঃ

তাঁরা দুজন স্বামী-স্ত্রী। একজন  ড. মো. আব্দুস সবুর তালুকদার (সোহেল) আর তারঁ স্ত্রী ড. শিরিণ আক্তার ঝুমুর। প্রথম জন মরহুম আব্দুস ছাত্তার তালুকদার এর বড় ছেলে, গ্রাম: খেজমতপুর (তালুকদার পাড়া), ডাকঘর: খেজমতপুর, উপজেলা: পীরগঞ্জ, জেলা: রংপুর এর বাসিন্দা।  তাঁর স্ত্রী জন্মসূত্রে দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা, এবং র্বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে, ভেটেরিনারী অনুষদের প্যারাসাইটোলজী বিভাগে সহযোগী প্রফেসর হিসেবে কর্মরত রযেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষে ২০১১ খ্রি. একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৪-১৭ খ্রি. সময়ে জাপানের, হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি কোর্সে মানুষের কালাজ্বর নিয়ে গবেষণা করেন। এ রোগটি অন্যান্য প্রাণী বিশেষ করে-কুকুর থেকে মানুষে সংক্রামিত হয়ে থাকে, এ ধরণের রোগ সংক্রমন কে বিজ্ঞানের ভাষায় জুনোটিক  রোগ বলা হয়। এ বিষয় নিয়েই তিনি তাঁর গবেষণা সম্পন্ন করে দেশে অধ্যাপনার পাশাপাশি বিশেষ প্রকল্পও পরিচালনা করছেন। তাঁর গবেষণার উপর একাধিক প্রবন্ধ বিখ্যাত র্জার্নালে প্রকাশ হয়েছে। মো. আব্দুস সবুর তালুকদার, এলাকায় তিনি ‘সোহেল’ নামেই বেশ পরিচিত। নিজের এলাকায় অবস্হিত চান্দেঁর বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ খ্রি. মাধ্যমিকে কৃতিত্বের সাথে উর্ত্তির্ণ হন, তার বাবাও একই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণীপ্রজনন ও কৈালীবিজ্ঞান বিষ( স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর র্কোর্স সম্পন্ন করেন। তাদের একজন পাঁচ বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। চাকুরী জীবনের শুরুতে তিনি প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরে  বৈজ্ঞানিক র্কর্মকর্তা হিসেবে কর্মৃরত ছিলেন, পরে বাংলাদেশ দুগ্ধ উতপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লি: (মিল্কভিটা), বাঘাবাড়ীঘাট, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জে সিনিয়র অফিসার হিসেবে র্কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে ২০১৪ খ্রি. উচ্চ শিক্ষার (পিএইচডি) জন্য পরিবারসহ জাপানের, সাপ্পোরো শহরে হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটিতে  পাড়ি জমান।  জাপানে তিনি তাঁর স্নাতোকত্তোর কোর্সের সঙ্গে সঙ্গতির্পূর্ণ বিষয় গবাদিপশুর বিশেষ করে-গাভীর  কম সময়ের মধ্যে বায়োর্মার্কার  এর মাধ্যমে র্গর্ভধারণ পরীক্ষা   বিষয়ক গবেষণা র্দীর্ঘ তিন বছর চালিয়ে তাঁর থিসিস সম্পন্ন করেন। মানুষের মতো গাভীতে এখনও অল্প সময়ের মধ্যে র্গর্ভধারণ র্নির্ণয়ের  কোনো ধরণের বায়োর্মার্কার (ইরড়সধৎশবৎ) পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়নি,  তিনিই গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন (পাল) দেওয়ার পর থেকে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে রক্তের লিউকোসাইট কোষে (ইষড়ড়ফ খবঁশড়পুঃবং) বিশেষ ধরণের জ্বীনের (এবহবং) উপস্হিতি সনাক্তের মাধ্যমে র্গর্ভধারণ র্নির্ণয়ের উপর গবেষণা চালিয়েছেন এবং সফল হয়েছেন। তাঁর গবেষণার মূল ফলাফল আমেরিকার বহুল প্রচলিত বিখ্যাত র্জার্নাল-রিপ্রোডাকশন (জবঢ়ৎড়ফঁপঃরড়হ) এ প্রকাশ হয়। এছাড়াও তিনি এ বিষয়ে একাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। আমাদের দেশে সঠিক সময়ে র্গর্ভধারণ (চৎবমহধহপু ফরধমহড়ংরং)  নিশ্চিতকরণ একটি প্রকট সমস্যা। এ সমস্যার কারনে প্রতিনিয়ত দুগ্ধ খামারীরা অনেক র্অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তাঁর মেধা ও গবেষণার ফলাফল দেশে প্রয়োগ করে অল্প সময়ের মধ্যে গাভীর র্গর্ভ পরীক্ষা করে খামারী পরর্যায়ে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। তাদের এই সাফল্যে সহর্কর্মী, আতœীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ এলাকার সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আগামীতে দেশের স্বার্র্থে আরও ভাল কাজ করার জন্য সকলের নিকট দোআ প্রত্যাশী।    

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item